বন্ধু তুমি শত্রু তুমি
কামরুজ্জামান
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ | ০৬:৩৬
দেশে একটি কথা প্রচলিত– ‘সৎসঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎসঙ্গে সর্বনাশ।’ জীবনের যে কোনো পর্যায়ে মানুষের ভুল হতে পারে। আর ভুল সবচেয়ে বেশি হয় বন্ধুর সংস্পর্শে। বিশেষ করে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বন্ধুর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়ে। স্কুল-কলেজের বাইরেও কে কার সঙ্গে মিশছে, কার সঙ্গে চলাফেরা করছে, আড্ডা দিচ্ছে, গল্প করছে, সময় পার করছে– এগুলো গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমানে আমরা যে সময় পার করছি, এই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেমেয়ে পাঠিয়েও নিরাপত্তার জায়গাটা থাকছে না। আগে আমরা দেখেছি, বিশ্ববিদ্যালয়ে ছেলেমেয়ে ভর্তি হলে মা-বাবা, আত্মীয়স্বজন রাজনৈতিক দলাদলি আর মারামারির ভয় পেতেন। এখন মাদক, নেশা, অসৎসঙ্গ ও অপসংস্কৃতি হচ্ছে আতঙ্কের নাম। কিন্তু কেন? আমরা কি একবারও ভেবে দেখছি, এসবের পেছনে
কারণ কী?
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা অধ্যয়ন করতে আসে, তারা বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল ও শ্রেণি-পেশার মানুষের সন্তান। যেসব ছেলেমেয়ে গ্রাম থেকে এসেছে; তার চালচলন, পোশাক-পরিচ্ছদ, আচার-আচরণ এক রকম। আবার যেসব ছেলেমেয়ে শহুরে; তার চলাফেরা, আচরণ অন্য রকম। তবে যারা জীবন সম্পর্কে সচেতন তারা সাফল্যের দিকে এগোয়। আর যারা অসচেতন তারা বন্ধুর আহ্বানে খারাপ পথে এসে আস্তাকুঁড়ে পড়ে যায়।
মনে রাখতে হবে, নেশাগ্রস্তরাই আরেকজনকে নেশায় মত্ত রাখতে চেষ্টা করে। মাদক ব্যবসায়ীদেরও মূল টার্গেট থাকে তরুণ সমাজ। ছেলেমেয়ের বন্ধুত্ব নির্বাচনে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। যেসব ছেলেমেয়ে মাদকাসক্ত, কথায় কথায় মিথ্যা বলে, তারা কখনও ভালো বন্ধু হতে পারে না। তাদের এড়িয়ে চলাই উত্তম। বন্ধুত্ব নির্বাচনে ভুল হওয়ার কারণেই অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। এতে যে শুধু একটা ছেলে বা মেয়ের জীবন নষ্ট হচ্ছে, তা-ই নয়; তাদের পরিবারও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই সঙ্গে ফুটে উঠছে ঘুণে ধরা সমাজের নৈতিক স্খলনের চিত্র।
এ ক্ষেত্রে অভিভাবক হিসেবে অবশ্যই মা-বাবাকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সন্তান হোক স্কুল, কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র– সব জায়গায় সচেতন থাকতে হবে।
nসহকারী অধ্যাপক, মুক্তিযোদ্ধা
কলেজ, গাজীপুর