ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

কর্মসংস্থানে আরবি ভাষা

কর্মসংস্থানে আরবি ভাষা

তামজিদুর রহমান 

প্রকাশ: ২৫ মে ২০২৪ | ০০:৪৮

বিশ্বের প্রায় সব দেশে নিজেদের ভাষার পর দ্বিতীয়, তৃতীয়, এমনকি প্রয়োজনবোধে চতুর্থ ভাষাও রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃত। অনেক দেশ ইংরেজিকে তাদের দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে গ্রহণ করেছে। ইংরেজরা ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে গেলেও ইউরোপীয় ইউনিয়নের টিভি চ্যানেল ‘ইউরো নিউজ’ এখনও ইংরেজিতে প্রচারিত হচ্ছে। তারপর গুরুত্বের দিক থেকে বিবেচনা করে ফরাসি ও জার্মান ভাষাকেও রেখেছে। সিয়েরা লিওন একমাত্র দেশ, যার অধিবাসীরা শান্তিরক্ষা মিশনে আমাদের সৈনিকদের ব্যবহারে মুগ্ধ হয়ে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে গ্রহণ করেছে। 
ওমান থেকে মরক্কো, সুদান থেকে সিরিয়া পর্যন্ত বিশাল ভূখণ্ডে সবাই আরবিভাষী। এই বিশাল ভূখণ্ডে প্রায় এক কোটি বাংলাদেশি কাজ করছে। আমাদের এই বিশাল জনশক্তি এসব দেশে কর্মরত থেকে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে মুদ্রাভান্ডার 
পুষ্ট করছে।
এসব কর্মজীবী বাংলাদেশি আরবি ভাষা শেখার কোনো সুযোগ পায়নি। ভাষাজ্ঞানের অভাবে তারা মনিবের আদেশ-নিষেধ সঠিকভাবে বুঝতে পারছে না। এমনকি নিজের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলো নিয়েও দরকষাকষি করতে পারছে না। ফলে একতরফাভাবে তাদের নির্যাতন সহ্য 
করতে হচ্ছে। 
ভাষাজ্ঞানসম্পন্ন একজন শ্রমিককে দক্ষ ধরা হয় এবং তাদের বেতনও বেশি।
আরবি ভাষাজ্ঞানের অভাবে বাংলাদেশি শ্রমিকরা মধ্যপ্রাচ্যের দাপ্তরিক ক্ষেত্রে প্রবেশ করতে পারে না। বাংলাদেশের অনেক অমুসলিম কর্মজীবীও মধ্যপ্রাচ্যে কর্মরত। সুতরাং আরবি ভাষায় যদি আমাদের দেশের শ্রমিকরা যথেষ্ট দক্ষতা অর্জন করতে পারে তাহলে তারাও মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন দপ্তরে কাজ করার সুযোগ পাবে এবং আর্থিকভাবে হবে সচ্ছল; তাদের চাকরি হবে টেকসই। কাজেই উপরোল্লিখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশে আরবিকেও রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া উচিত। 

nতামজিদুর রহমান: বাংলাদেশ বিমানের সাবেক উপপ্রধান প্রকৌশলী

আরও পড়ুন

×