শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়াই

ফাইল ছবি
মুহাম্মদ আবদুল হামিদ
প্রকাশ: ১০ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৩:৩৮
শহরের তুলনামূলক কম শীতকে উপেক্ষা করে গ্রামের হাড়কাঁপানো শীত অনেক বেশি উপভোগ্য। গ্রামে যারা বাস করে, বলতে গেলে বেশির ভাগই গরিব। অভাবের কারণে অনেককেই কনকনে শীতে খালি পায়ে থাকতে হয়। এমনকি শীত নিবারণের জন্য তেমন গরম কাপড়ও তাদের নেই। যে কারণে শীতের রাত ও সকালে অনেক বাড়ির আঙিনাতে ছোট-বড় সবাইকে খড়কুটো জ্বালিয়ে শরীর থেকে শীত তাড়াতে দেখা যায়। তবুও শীতকাল দুর্লভ এক মজার মনে হয় সবার কাছে। দাগ কেটে যায় প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে।
শীত মানেই হিমহিম কনকনে ঠান্ডার অনুভূতি। ইউরোপ, আমেরিকা বা অন্যান্য শীতপ্রধান দেশে শীতকালে বরফ পড়ে। তাপমাত্রা নেমে যায় হিমাঙ্কের অনেক নিচে। জীবনযাত্রা হয়ে পড়ে স্থবির। অনেক মানুষ মারাও যায়। শুধু ইউরোপ, আমেরিকা বা আফ্রিকার বিভিন্ন দেশ নয়, বরং আমাদের এশিয়ার অনেক দেশেই চলে হাড়কাঁপানো শীতের দাপট। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের শীতকাল অনেকটা সহনীয়। শীতকালে এখানে বরফ পড়ে না। ভয়াবহ তুষার ঝড় এ দেশের প্রকৃতিকে লন্ডভন্ড করে দেয় না। তাপমাত্রাও থাকে হিমাঙ্কের ওপরে। তবে কোনো কোনো বছর উত্তরাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় তাপমাত্রা অস্বাভাবিকভাবে কমে যাওয়ার রেকর্ডও আছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমাদের দেশের আবহাওয়া অনেক সময় অস্বাভাবিক আচরণ করে। অকালবৃষ্টি, অকালবন্যা, অকালশীত, তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, তীব্র তাপদাহ– আবহাওয়ার এমন বৈরী আচরণ আমাদের প্রায়ই সহ্য করতে হয়। শীতকালে বিশেষ করে পৌষ ও মাঘ মাসের কনকনে শীতে আমাদের দেশের অনেক হতদরিদ্র মানুষ খুবই কষ্ট পায়। এমনকি শীতের প্রকোপে কোনো কোনো বছর অনেকের মৃত্যুর খবরও পাওয়া যায়।
মুহাম্মদ আবদুল হামিদ: শিক্ষক
hamidsylbd@gmail.com
- বিষয় :
- শীত