- আইন ও বিচার
- খালেদা জিয়ার ১১ মামলার শুনানি ফের পেছাল
খালেদা জিয়ার ১১ মামলার শুনানি ফের পেছাল

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলার শুনানি ফের পিছিয়ে আগামী ১৫ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।
খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার সাংবাদিকদের জানান, সোমবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ আগামী বছর ১৫ মার্চ এসব মামলায় শুনানির জন্য নতুন করে দিন ঠিক করে দিয়েছেন।
কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের ২ নম্বর ভবনে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাসে এসব মামলার কার্যক্রম চলছে। এসব মামলার কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত থাকার কথা জানিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবীরা সোমবার শুনানি পেছানোর আবেদন করেন। পরে আদালত তা মঞ্জুর করেন। খালেদা জিয়া এই সব মামলায় জামিনে আছেন।
মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানায় করা নাশকতার আটটি, যাত্রাবাড়ী থানার দুটি ও রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা। সব মামলার কার্যক্রম খালেদা জিয়ার পক্ষে স্থগিত করেছে হাইকোর্ট। গত বছর ১০ আগস্ট এসব মামলার শুনানির তারিখ থাকলেও করোনাভাইরাসের প্রার্দুভাবের কারণে আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ ছিল।
পরবর্তীতে আদালতের কার্যক্রম শুরু হলে গত ২৪ অগাস্ট এসব মামলায় শুনানির জন্য ২০ অক্টোবর তারিখ দেওয়া হয়। সেদিনও সময় আবেদন করা হলে ২২ নভেম্বর দিন ঠিক করেছিল আদালত।
১১ মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় সোমবার অভিযোগ গ্রহণের বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। বাকি ১০ মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানির তারিখ ছিল।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগে ২০১৬ সালের ২৫ জানুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়।
যাত্রাবাড়ী থানার মামলায় বলা হয়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরী পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রোল বোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে আহতদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামে বাসের এক যাত্রী। ওই ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার এসআই কে এম নুরুজ্জামান।
এই মামলায় একই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ।
এছাড়া ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
২০১৭ সালের বিভিন্ন সময়ে এসব মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাগুলোয় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
এছাড়া দুর্নীতির দুই মামলায় খালেদা জিয়াকে মোট ১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পরিবারের আবেদনে সরকার নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত রাখায় বর্তমানে তিনি বিশেষ শর্তে সাময়িকভাবে মুক্ত আছেন।
মন্তব্য করুন