অতিমারির পর যুদ্ধ পরিস্থিতিতে বদলে গেছে বৈশ্বিক প্রেক্ষাপট, বদলেছে কর্মজগৎ। এখন বিশ্বজুড়ে বাড়ছে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা। এমনই এক সময় একসঙ্গে ১৭টি চাকরি পেয়ে সবাইকে চমকে দিলেন পশ্চিমবঙ্গের কলেজ ছাত্র অরিজিৎ রায়। 

পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার বালি ঘোষপাড়ার বাসিন্দা অরিজিৎ হুগলি জেলার চুঁচুড়ার ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি কলেজর ছাত্র।

করোনা অতিমারির জন্য গত দুই বছর একাধিক সেক্টরে চাকরির আকাল তৈরি হয়। বহু সংস্থা তাদের কর্মী ছাঁটাই শুরু করে। তবে পরিস্থিতি উন্নতি হতে শুরু হওয়ার পর আবার বিভিন্ন সেক্টরে কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলোতে শুরু হয়েছে বন্ধ থাকা ক্যাম্পাসিং। অনলাইন ক্যাম্পাসিং থেকে সরাসরি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ শুরু হয়। 

এর মধ্যে সম্প্রতি যাদবপুরের কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র বিশাখ মন্ডলের প্রায় দুই কোটি টাকা বার্ষিক বেতনের চাকরি পাওয়ার খবর সামনে আসে। আর অরিজিৎ গত দুই মাসে ১৭টি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছে। তার মত ওই কলেজ থেকে আরও কয়েকজন ছাত্র উইপ্রো, টিসিএস, ইনফোসিস, এক্সেঞ্চার, বাইজুস এর মতো ইউনিকর্ন কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছেন।

অরিজিৎ জানান, কম্পিউটার সায়েন্সের মূল বিষয় হলো— প্রোগ্রামিং। যেটি খুব ভালো করে শিখতে পারায় চাকরি পেতে সুবিধা হয়েছে। প্রত্যেকটি বিষয় খুব ভালোভাবে পড়ায় মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিগুলো চাকরি পেতে সাহায্য করেছে। কোভিডের কারণে ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার দেশগুলোতে কর্মহীন হয়েছে বহু মানুষ। এখন তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো থেকে কিছুটা কম বেতনে কর্মী নিয়োগ করে সেই অভাব পূরণ করতে চাইছে তারা।তাই সার্ভিস বেস্ট কোম্পানিগুলো নিয়োগ শুরু করেছে। কোভিডের সময় যে পরিস্থিতি ছিল তার পরিবর্তন হতেও শুরু করেছে। 

তবে অরিজিৎ বলছেন, অতিমারি ও যুদ্ধ বদলে দিয়েছে বৈশ্বিক চাহিদা। আইটি ইঞ্জিনিয়ার যারা তাদের সামনে অনেক সুযোগ আছে।

কলেজের অধ্যক্ষ ড. স্মিতধী গাঙ্গুলী বলেন, করোনার জন্য অনেকের চাকরি চলে গেছে এটি ঠিক। তবে আমাদের কলেজের পড়ুয়াদের চাকরির সুযোগ এসেছে। কলেজ বন্ধ থাকার সময় অনলাইনে পাঠ এবং প্র্যাকটিক্যাল ঠিকমতো করানো হয়েছে। পড়ুয়াদের প্রশিক্ষণ এবং চাকরির ক্ষেত্রে অনেক উন্নতি হয়েছে।