ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলামের অঢেল সম্পদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়ের করার পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াত সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার রিটকারী আইনজীবীকে এ পরামর্শ দেন। শুনানিতে ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে উষ্মা প্রকাশ করে হাইকোর্ট বলেন, এভাবে দুর্নীতি-অনিয়ম চলতে পারে না। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। সবকিছুর জবাবদিহিতা থাকতে হবে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ স্যায়েদুল হক সুমন। অন্যদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের ( দুদক) পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ খুরশীদ আলম খান। এর আগে গত ৫ আগস্ট একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় ওসি মনিরুলের অঢেল সম্পদ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে ৮ আগষ্ট ব্যারিস্টার সুমন ওই প্রতিবেদনটি হাইকোর্টের নজরে আনেন। তখন হাইকোর্ট তাকে এ বিষয়ে রিট দায়ের করার পরামর্শ দেন। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার তিনি জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিটটি দায়ের করেন। রিটে দুদক চেয়ারম্যান, আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিবসহ সংশ্লিস্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

শুনানিতে ব্যারিস্টার সুমনকে উদ্দেশ করে হাইকোর্ট বলেন, আপনার মনোভাবের সঙ্গে আমরা শতভাগ একমত। ওসি মনিরুলের বিপুল সম্পদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধর বাড়ি দখলের অভিযোগের বিষয়ে দুদকে একটি আবেদন করুন। দুদক যদি ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা দেখব। পরে এ রিটের শুনানি আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত মুলতবি রাখা হয়।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, 'ওসি মনিরুল ঢাকায় আটতলা বাড়ি করেছেন। বানাচ্ছেন আরেকটি ডুপ্লেক্স বাড়ি। ঢাকার কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জে তার রয়েছে চারটি প্লট। রাজধানীর মোহাম্মদপুর হাউজিং সোসাইটিতে এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলেরও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।'