দেশে দেশে বড়দিন উদযাপনের নানা রীতি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২১ ডিসেম্বর ২০২২ | ২২:৫৭ | আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০২২ | ০০:২৬
সামনেই বড়দিন। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড়দিন উদযাপনের নানা আয়োজন চলছে। বিভিন্ন শহরের অলিগলি থেকে শুরু করে ছোট-বড় রেস্তরাঁ কিংবা ক্যাফে, শপিং মল— সবই সেজে উঠেছে বড়দিনের জন্য। ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বড়দিন পালন করার নানা নিয়ম আছে। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে বড়দিনকে ঘিরে বিভিন্ন দেশের নানা ঐতিহ্যের কথা।
স্পেন: স্পেনের ক্যাটালোনিয়া অঞ্চলে বড়দিনের কয়েক দিন আগেই শিশুদের জন্য বাড়িতে ‘পুপিং লগ’কিনে আনা হয়। ‘পুপিং লগ’ আসলে একটি পুতুলের মতো। শিশুরা মনে করে, এই পুতুল বড়দিনে তাদের নানা উপহার দেবে। ৮ ডিসেম্বর পুতুলটি এনে বসার ঘরে টেবিলে রেখে দেয় শিশুরা। তার পর প্রতিদিন রাতের খাওয়া সেরে পুতুলটিকে চকোলেট, কমলালেবুর খোসা, বাদাম পরিবেশন করা হয়। তার যেন ঠান্ডা না লাগে, সে জন্য তার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয় কম্বলও। বড়দিনের সন্ধ্যায় পুতুলকে ঘিরে চলে গানবাজনার আয়োজন। সে দিনই কম্বলের তলায় মেলে অনেক অনেক উপহার।
আইসল্যান্ড: আইসল্যান্ডের বাসিন্দাদের মতে, বড়দিনে সান্তা বুড়ো নয়, রাক্ষসীর আগমন হয়। মনে করা হয়, পর্বতের চূড়ায় থাকা গ্রিলা নামে রাক্ষসী বড়দিনের আগে দুষ্টু শিশুদের ব্যাগে ভরে নিয়ে যায়। তারপর তাদের রান্না করে খায়। বড়দিনের ১৩ দিন আগে থেকে সেখানকার শিশুরা জানালায় জুতা দেয়। তাদের বিশ্বাস, ভাল শিশুদের রাক্ষসী উপহার দেবে। দুষ্টু শিশুরা উপহারের পরিবর্তে পায় পচা আলু।
বুলগেরিয়া: বুলগেরিয়ার বাসিন্দারা ২৪ ডিসেম্বর রাতে নিরামিষ খান। ওই রাতে বিজোড় সংখ্যার পদ দিয়েই রাতের খাওয়া সারেন তারা। সেই রাতে শুকর বলি দেওয়ারও রেওয়াজ আছে। বড়দিনের ৪০ দিন আগে থেকেই তারা নিরামিষ খাবার খান। ২৫ তারিখ থেকে তারা আবার আমিষ খেতে শুরু করেন। ২৪ তারিখ তারা একটি আখরোট ভেঙে দেখেন, সারাটা বছর তাদের কেমন কাটবে।
রাশিয়া: রাশিয়ায় বড়দিন ২৫ ডিসেম্বর নয়, উদযাপন করা হয় জানুয়ারি মাসের ৬ তারিখে। ৬ থেকে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত চলে তাদের বড়দিনের ছুটি। রুশরা মনে করেন, ভবিষ্যতে কী হবে, এই সময়টা তা জানার জন্য আদর্শ। বিশেষ করে মেয়েরা এই সময়ে নানা উপায়ে তাদের ভবিষ্যৎ জানার চেষ্টা করেন। কেউ কাগজ পুড়িয়ে, কেউ আয়না দিয়ে, কেউ আবার মোমবাতি দিয়ে ভবিষ্যৎ জানতে যান। বাড়ি-বাড়ি চলে ভবিষ্যৎ জানার এই চেষ্টা। কেউ কেউ আবার জ্যোতিষীর কাছে ছোটেন এই সময়ে।
জার্মানি: তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ‘সিক্রেট স্যান্টা’ ব্যপারটি বেশ জনপ্রিয়। এর অর্থ হলো চুপি চুপি একে অপরকে উপহার দেওয়ার কৌশল। কিন্তু জার্মানিতে তরুণ-তরুণীরা একে অপরকে নতুন নয়, বাড়িতে থাকা পুরনো জিনিস উপহার দেন। এই রীতির মাধ্যমে বাড়িতে থাকা অপ্রয়োজনীয় জিনিস বার করে দেওয়া হয়।
- বিষয় :
- বড়দিন উদযাপন
- বড়দিনের উঃসব