বিশ্বে এই প্রথম কোনো নবজাতকের দেহে যকৃতের স্টেম সেল প্রতিস্থাপনে সফলতা পাওয়া গেছে। জাপানের ন্যাশনাল সেন্টার ফর চাইল্ড হেলথ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের একদল চিকিৎসক এই সফলতা পান। প্রতিষ্ঠানটির এক বিবৃতিতে আশা প্রকাশ করা হয়, এ সফলতায় নবজাতকদের যকৃতের চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে। এক্ষেত্রে মানব ডিম্বাণুকে নিষিক্ত করে তৈরি করা হয় ভ্রূণ। সেই ভ্রূণের কোষ থেকেই তৈরি করা হয় যকৃতের স্টেম সেল। এরপর স্টেম সেলগুলো নবজাতকের যকৃতে প্রতিস্থাপন করা হয়।

বিবৃতি জানানো হয়, শিশুটি ইউরিয়া সাইকেল ডিজঅর্ডারে ভুগছিল। তার যকৃতের ক্ষমতা ছিল না রক্তের বিষাক্ত অ্যামোনিয়াকে ভেঙে ফেলার। তাই যকৃৎ প্রতিস্থাপনের বিকল্প ছিল না। কিন্তু মাত্র ছয় দিন বয়েসি শিশুর পক্ষে এ ধরনের অস্ত্রোপচারের ধকল সামলানোর সক্ষমতা থাকে না। এ জন্য শিশুর বয়স তিন থেকে পাঁচ মাস এবং ওজন ছয় কিলোগ্রাম হতে হয়। তাই শিশুটির একটি 'মধ্যবর্তী চিকিৎসা'র কথা ভাবা হয়। সেই চিন্তা থেকেই মানব ভ্রূণ থেকে যকৃতের স্টেম সেল তৈরি করেন। অবশেষে শিশুটির যকৃতের রক্তনালিতে অন্তত এক কোটি ৯০ লাখ যকৃৎ কোষ ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়। এরপর শিশুর রক্তে আর অ্যামোনিয়ার মাত্রা বাড়তে দেখা যায়নি। ফলে শিশুটির অস্ত্রোপচারের জন্য অপেক্ষা করা সম্ভব হয়। শিশুটির ওজন ও বয়স অনুকূল হওয়ার পর বাবার দেওয়া যকৃৎ প্রতিস্থাপন করা হয়। জন্মের ছয় মাসের মাথায় অবশেষে সুস্থ হয়ে শিশুটি হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছে। এই প্রথম কোনো ক্লিনিক্যাল ট্রায়েলে যকৃতের রোগে রোগীকে স্টেম সেল দিয়ে চিকিৎসা করা নিরাপদ বলে প্রতীয়মান হলো। সূত্র :এএফপি