করোনা মহামারির কারণে গোটা বিশ্বে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত হচ্ছে। অন্যান্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির পাশপাশি শিশুদের টিকা দান সেবাও ঝুঁকির মুখে পড়েছে। করোনা মহামারির এ সময় শিশুদের টিকা দেওয়া আদৌ ঠিক কিনা, কোথায় বা তাদের টিকা দেবেন তা নিয়ে অনেক অভিভাবকই চিন্তায় পড়েছেন।

জাতিসংঘের শিশু তহবিল ইউনিসেফের ‘কভিড-১৯ ও টিকা দান: অভিভাবকদের যা জানা প্রয়োজন’ শীর্ষক প্রতিবেদনে কভিড-১৯ মহামারির সময় কিভাবে নিরাপদে শিশুদের টিকা দেবেন সে সম্পর্কে জানানো হয়েছে বিস্তারিত তথ্য।

ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কভিড-১৯ দৈনন্দিন জীবন যাপন ব্যাহত করলেও, করোনা মহামারির মধ্যেও শিশুদের নিয়মিত টিকা দেওয়া  ঠিক রাখতে হবে। যেখানে সেবাটি মিলছে সেখান থেকে নিজের সন্তানকে টিকা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। শিশু ও নবজাতককে সঠিক সময়ে তাদের টিকাগুলো দিয়ে ফেলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, ওইসব টিকা তাদের জটিল রোগ থেকে রক্ষা করে।

ইউনিসেফ বলছে, টিকা দেওয়ার অর্থ হচ্ছে, আপনার সন্তান যখন অন্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশা করতে যাবে, তখন কিছু রোগের সংক্রমণ থেকে তারা সুরক্ষিত থাকবে।

প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়েছে, এই সময় কোথা থেকে টিকা নেবেন তা যদি না জানেন অথবা টিকাদান কার্যক্রম যদি চালু না থাকে, তাহলে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীর সহযোগিতা চাইতে পারেন। কারণ, কভিড-১৯ পরিস্থিতি প্রতিদিন পরিবর্তন হচ্ছে এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীরা পরিস্থিতি পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তাদের সেবা প্রদান পদ্ধতিও বদলে ফেলছেন। আপনার শিশুর নির্ধারিত পরবর্তী টিকা নিতে আপনি যদি ক্লিনিকে যেতে না পারেন; তবে এই সেবা চালু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবার চেষ্টা করার জন্য কোথাও একটি নোট লিখে রাখুন।

ইউনিসেফ বলছে, টিকা কতটা মূল্যবান তা এই করোনাভাইরাসের মহামারি আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। এই মহামারি পরিস্থিতি আমাদের বুঝিয়ে দিচ্ছে, যখন কোনো রোগের টিকা থাকে তখন অবশ্যই শিশু ও আমাদের নিজেদের যথা সময়ে সেই টিকা নেওয়া উচিত। আর টিকা নেওয়া না থাকলেই মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং এর পরিণতি হয় ভয়াবহ। যেমন, হাম ও অন্য কিছু রোগ এখনো মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু আমরা খুবই ভাগ্যবান যে, এসব রোগের টিকা রয়েছে।