বাদাম শরীরের জন্য সবচেয়ে খারাপ কোলেস্টেরল 'এলডিএল' কমিয়ে দেয় এবং ভালো কোলেস্টেরল বা 'এইচডিএল' বাড়াতে সাহায্য করে।

সময় কাটাতে বাদাম খাননি এমন কেউ কি আছেন? কাঁচা অবস্থায় বাদাম খাওয়া গেলেও আসলে ভাজা বাদাম খেতে বেশি মজাদার। বাদাম দিয়ে অনেক মুখরোচক খাবার তৈরি হয়, পাশাপাশি রান্নার কাজেও এর ব্যবহার নানামাত্রিক। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় বাদামের রয়েছে আশ্চর্য কিছু গুণাবলি, যা আমরা অনেকেই জানি না। আসুন দেখে নেওয়া যাক।

পুষ্টিগুণ এবং শরীরিক উপকারিতার দিক থেকে দেখতে গেলে বাদামের কোনো বিকল্প হয় না বললেই চলে। এতে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন-ই, ফাইবার, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যামাইনো অ্যাসিড, পটাশিয়াম এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং আরও কত কী, যা নানাভাবে শরীরের কাজে লেগে থাকে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ: অনেক উচ্চমাত্রার ক্যালরিসম্পন্ন খাবারের তুলনায় সামান্য পরিমাণ বাদাম আপনার দৈনন্দিন প্রয়োজনের ক্যালরি পূরণে সক্ষম। কাজেই বাদাম খান আর অতিমাত্রার ক্যালরিসম্পন্ন খাবার দূরে রাখুন। আর ওজন রাখুন নিয়ন্ত্রণে।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ: বাদাম শরীরের জন্য সবচেয়ে খারাপ কোলেস্টেরল 'এলডিএল' কমিয়ে দেয় এবং ভালো কোলেস্টেরল বা 'এইচডিএল' বাড়াতে সাহায্য করে। এভাবে বাদাম রক্তে কোলেস্টেরলের তারতম্য ঠিক রাখে। সঙ্গে হৃদযন্ত্রের করোনারি ধমনিতে যে কোনো প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সহায়তা করে।

স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়: বাদামে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। বাদাম বিষণ্ণতা কমাতে সাহায্য করে।

ক্যান্সার প্রতিরোধ: বাদাম টিউমারের বৃদ্ধিজনিত ক্যান্সারের বিরুদ্ধে কাজ করে। গবেষণায় দেখা যায়, সপ্তাহে কমপক্ষে দু'বার বাদাম খেলে পুরুষদের ২৭ শতাংশ ও নারীদের ৫৮ শতাংশ পর্যন্ত কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কম থাকে।

ডায়াবেটিস কমায়: বাদামে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি-৩, ফলিক অ্যাসিড ও প্রোটিন রয়েছে। ম্যাঙ্গানিজ হার্টের জন্য খুব ভালো। বাদাম খনিজের দারুণ উৎস। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, বাদাম খেলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ২১ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।

হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে: বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে, বাদামে উপস্থিত ফসফরাস শরীরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু কাজ করে, যার প্রভাবে হাড়ের ক্ষমতা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। তাই তো প্রতিদিন এক বাটি করে বাদাম খাওয়া শুরু করলে হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।