স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবসের একশ’ দিনের গণনা শুরু হয়েছে শুক্রবার দিবাগত রাত বারোটা ১ মিনিটে। আগামি ১০ অক্টোবর নবম বারের মতো এই দিবস উদযাপিত হবে। বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম ও রোটারি ইন্টারন্যাশনাল ডিস্ট্রিক্ট ৩২৮১ যৌথভাবে ১২০ দিনের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। ১১টি সংগঠনের সমন্বয়ে গঠিত স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বয়ে ২০১৩ সাল থেকে ১০ অক্টোবর স্তন ক্যান্সার সচেতনতা দিবস পালন করছে। ২০১৭ সালে রোটারি এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে।

স্তন ক্যান্সার বাংলাদেশের নারীদের প্রধান ক্যান্সার। সময়মতো নির্ণয় করা গেলে এবং সঠিক ও পরিপূর্ণ চিকিৎসায় শতকরা ৯৫ জনের বেশি রোগী সুস্থ হওয়া সম্ভব। এর জন্য দরকার স্তন ক্যান্সারের বিভিন্ন ঝুঁকি সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা এবং ঝুঁকিপূর্ণ নারীদের প্রাথমিক পরীক্ষা অর্থাৎ স্ক্রিনিং-এর আওতায় নিয়ে আসা।

ইতোমধ্যে স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরাম ও রোটারির যৌথ বিভিন্ন কর্মসূচি সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলতে পেরেছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় গোলাপি সড়ক শোভাযাত্রা, সহজ বাংলায় লেখা তথ্যপত্র বিতরণ, স্ক্রিনিং সেন্টার ও ক্যাম্প পরিচালনা, কাউন্সেলিং সেবা পরিচালিত হচ্ছে।

শনিবার দিবসের প্রথম প্রহরে আয়োজিত দিনগণনা অনুষ্ঠানে বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ স্তন ক্যান্সার সচেতনতা ফোরামের উদ্যোক্তা ও প্রধান সমন্বয়কারী, রোটারির জেলা স্তন ক্যান্সার সচেতনতা কমিটির চেয়ারম্যান এবং জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ক্যান্সার রোগতত্ত্ব বিভাগের প্রধান ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। অন্যান্যের মধ্যে বক্ত্য দেন রোটারির ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী, গভর্নর নমিনি টিআইএম নুরুল কবির, কমিউনিটি অনকোলজি সেন্টার ট্রাস্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক সাবেরা খাতুন ও সম্পাদক মোসাররত সৌরভ, কমিউনিটি অনকোলজি ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. সারিয়া তাসনিম, রাজশাহী ক্যান্সার হাসপাতালের উদ্যোক্তা ডা. প্যাট্রিক বিশ্বাস, সাংবাদিক নাদিরা কিরণ ও জুলহাস আলম প্রমুখ।

আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন এলাকা ও পেশাভিত্তিক সচেতনতা ও উদ্বুদ্ধকরণের পাশাপাশি রেটারির বিভিন্ন ক্লাব ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে স্যাটেলাইট অনকোলজি ক্লিনিক চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে। এর বাইরে এলাকা ও কর্মস্থলভিত্তিক ক্যাম্প পরিচালনা ও সন্দেহজনক রোগীদের স্বল্প খরচে আল্ট্রাসনোগ্রাম, এফএনএসি পরীক্ষার জন্য একটি নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা হবে। গভর্নর ব্যারিস্টার ফারুকী ও গভর্নর নমিনি নুরুল কবির রোটারি থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

অনুষ্ঠানে আরও অংশগ্রহণ করেন ওয়াইডব্লিউসিএ’র স্বাস্থ্যবিভাগের প্রধান মেরি মার্গারেট রোজারিও, অপরাজিতার চেয়ারপারসন তাহমিনা গাফফার, সাংবাদিক শাহনাজ পারভিন এলিস, পল্লীমা সংসদের প্রতিষ্ঠাতা হাফিজুর রহমান ময়না, বাংলাদেশ রেলওয়ের সাবেক মহাপরিচালক তফাজ্জল হোসেন, ইনার হুইলের সাবেক ডিস্ট্রিক্ট চেয়ারপার্সন নাইমা শাখাওয়াত, নারীপক্ষের আফরিনা, রোটারিয়ান তাহমিনা লাভলী, সাবিকুননাহার তাজি, শাহিদা নাজ হুদা, রেজাউল হক, আরমান খান, মাসুদ করিম, জিয়াউদ্দিন তানিম, মহুয়া খায়ের, ডালিয়া প্রমুখ।

এই কার্যক্রমে অংশ নিতে আগ্রহী ব্যক্তি, সংগঠন, রোটারি ক্লাব ও প্রতিষ্ঠান ০১৯৭৭৫৯১৯০৭ নম্বরে যোগাযোগ করতে আহ্বান জানানো হয়।