জীবনযাত্রার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের ব্যস্ততা বেড়েছে। ব্যস্ততা যত বাড়ছে মানুষের মধ্যে অবসাদও তত বাড়ছে। অনেক সময়েই কাজের চাপে নিজের দিকে নজর দেওয়ার সময় হয়ে ওঠে না। এতে ধীরে ধীরে শরীর-মন ক্লান্ত হয়ে ওঠে। আর  ক্লান্তি থেকে বাড়ে একের পর এক দুশ্চিন্তা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ব্যস্ত জীবনের মধ্যেও মানসিক সুস্থতা অনেক জরুরি। তা না হলে শরীরের ওপরও তা প্রভাব ফেলে। মানসিক ক্লান্তি কাটাতে যা  করবেন-

একাধিক কাজ না করা : একই সঙ্গে একাধিক কাজ হাতে নিলে তা দিনের শেষে আরও বেশি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। এ কারণে যার যতটা ক্ষমতা, তার থেকে বেশি দায়িত্ব বা কাজ না নেওয়াই ভালো।

গান শোনা : যখন বুঝবেন মানসিকভাবে অতটা তাড়াহুড়ো করতে পারছেন না, তখন খানিক ক্ষণ চোখ বন্ধ করে পছন্দের গানটি বা সুরটি চালিয়ে দিন। এতে ক্লান্ত এবং দুশ্চিন্তাগ্রস্ত মন কিছুটা হলেও শান্ত হবে।

শ্বাসের ব্যায়াম  : বড় শ্বাস নিয়ে তার পর খানিক ক্ষণ ধরে রেখে আস্তে আস্তে ছাড়ুন। এই পুরো পদ্ধতিটা দশ বার করুন। এটি  হৃৎপিণ্ডের উপর চাপ এবং মানসিক অস্থিরতা দুটিই কমিয়ে আনবে।

ঘুমের সঙ্গে আপোস করা যাবে না : যতই কাজ থাকুক, সেই কাজের ছাপ যেন কোনও মতেই ঘুমের উপর এসে না পড়ে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। কাজের চাপের কারণে ঘুম কম হলে তা আপনার শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।

প্রয়োজন হলে রুটিন মেনে চলুন
: যদি একান্তই সমস্যা হয় কাজের জন্যে, তা হলে রুটিন বানিয়ে সেটা মেনে চলতে পারেন। অনেক সময়েই কাজের বাড়তি চাপ দিনের অনেকটা সময়ের উপর চেপে বসে, তখন আপনার দিনের বাকি কাজের জন্য সময় কমে যায়। এমন হলে সব কিছুতেই তাড়াহুড়ো দেখা দেয়। এতে শারীরিক এবং মানসিক ক্লান্তি বাড়ে।