গ্রীষ্মকালে ছত্রাক থেকে তৈরি হওয়া ত্বকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই সময়ে সবচেয়ে বেশি যে ছত্রাকটির সংক্রমণ দেখা যায়, তার নাম 'টিনিয়া'।  শরীরের বিভিন্ন অংশে জমে থাকা ঘাম এবং ধুলোবালিও বিভিন্ন ধরনের ক্ষত ও চুলকানি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে যে অংশে চামড়া ভাঁজ হয়ে থাকে, সেই অঞ্চলগুলিতে এই ধরনের সমস্যা তৈরির আশঙ্কা বেশি থাকে। ঘরোয়া কিছু পদ্ধতিতে এই সময় চুলকানীর সমস্যা কমাতে পারেন। যেমন-

১. ত্বকের যে অঞ্চল অধিকাংশ সময় ঘেমে থাক্‌ সেই অঞ্চলে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা বেশি। এ কোরণে এসব জায়গা যতটা সম্ভব শুকনো রাখতে হবে। গোসল বা ব্যায়াম করার পর একটি পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে এসব অঙ্গ ভাল ভাবে শুকিয়ে নিন।

২. নিয়মিত পরিচ্ছন্ন পোশাক পরতে হবে। যারা প্রচুর ঘামেন, তাদের দিনে একাধিক বার পোশাক ও অন্তর্বাস পরিবর্তন করা উচিত। এ সময় সুতির হাল্কা জামা-কাপড় পরুন।

৩. আঁটোসাঁটো পোশাক এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত আঁটোসাঁটো পোশাক পরলে, পোশাকের সঙ্গে ত্বকের অধিক ঘর্ষণের ফলে যে ক্ষত তৈরি হয় তাতে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে।

৪.একাধিক ব্যক্তির সঙ্গে একই প্রসাধনী ব্যবহার না করাই ভাল। অন্যের পোশাক, তোয়ালে, মোজা, এমনকি জুতোর মাধ্যমেও ছত্রাক ছড়িয়ে পড়া সম্ভব।

৫. হাত ও পায়ের আঙুলের নখ নিয়মিত কাটুন। লম্বা নখের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের জীবাণু বাসা বাঁধে। চুলকানি হলে নখ দিয়ে চুলকালে ক্ষত বেড়ে যায়। পাশাপাশি সংক্রমণও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

৬. ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে অনেকেই বিভিন্ন রকমের রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করেন। দেহের কোনও অংশে চুলকানি বা ঘা হলে ত্বকের সেই অংশে এই ধরনের সামগ্রী ব্যবহার না করাই ভাল। যদি চুলকানি কমাতে কোনও ক্রিম বা লোশন মাখতে চান, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।