আর মাত্র কয়েকদিন পরেই উদযাপিত হবে মুসলমানদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর। নতুন পোশাকের পাশাপাশি এদিন বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার খাওয়ার মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপিত হয়।  তবে এক মাস রোজা রাখার পর হঠাৎ করে অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার খেলে শরীরে খারাপ হতে পারে। এ কারণে পুষ্টিবিদরা খাবারের ব্যাপারে সচেতন হওয়া পরামর্শ দিয়েছেন।

 স্বাস্থ্যকর ঈদ নিশ্চিত করতে কিছু টিপস অনসুরণ করতে পারেন। যেমন-

১. প্লেটে এক গাদা খাবার না নিয়ে সারাদিনে অল্প পরিমাণে খান। তা না হলে বদহজম হতে পারে।

২. অতিরিক্ত রেড মিট এড়িয়ে চলুন। একান্তই রখেতে হতে মাংসের চর্বিযুক্ত অংশ বাদ দিন। যাদের উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যা আছে তারা মাংসের পরিবির্তে এদিন মাছ যোগ করতে পারেন খাদ্যতালিকায়।

৩. ঈদে প্রায় প্রত্যেকের বাড়িতেই মিষ্টিজাতীয় খাবার তৈরি হয়। খুব বেশি মিষ্টি খাবার খাবেন না । তা না হলে অসুস্থ বোধ করতে পারেন।

৪. ঈদের দিন মাংসের পাশাপাশি সবজির সালাদ খেতে পারেন। এতে শরীরে স্বস্তি বোধ করবেন।

৫. অনেকেই ভারী খাবার খাওয়ার পর কোমল পানীয় খান। কিন্তু কার্বনেটেড পানীয় ভারী খাবার হজম করতে সাহায্য করে না বরং এতে চিনির পরিমাণ বেশি থাকায় এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর। যতটা সম্ভব এসব পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকুন। কার্বনেটেড পানীয়ের পরিবর্তে ডাবের পানি, টক দই, লাচ্ছি, পুদিনা পানি এবং জিরা পানি খেতে পারেন। এতে হজম ভালো হবে।

৬. যেহেতু এখন প্রচণ্ড গরম, এ কারণে সারাদিনে পর্যাপ্ত পানি করতে হবে।

৭. ঈদে সুস্থ থাকতে নির্দিষ্ট সময়ে খান। ঘন ঘন খাবেন না। খাবারকে সম্পূর্ণরূপে হজম করতে সাহায্য করার জন্য কয়েক ঘণ্টা বিরতি দিন।  

৮. খাবার হজম করতে হাঁটাহাঁটি, হালকা ব্যয়াম করুন।