- জীবনশৈলী
- শিশুর মালিশের জন্য কোন তেল ভালো
শিশুর মালিশের জন্য কোন তেল ভালো

প্রতীকী ছবি
ছোট্ট শিশুদের তেল মালিশের প্রচলন প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। গোসলের আগে অনেক শিশুকে তেল মালিশ করানো হয়। এই মালিশে আদর, ভালবাসার স্পর্শ মিশে থাকে।
নবজাতকের ত্বক ভাল রাখা, পেশির বিকাশ, হাড় মজবুত হওয়ার মতো নানা স্বাস্থ্য উপকারিতা লুকিয়ে আছে তেল মালিশের মধ্যে। আগেকার দিনে মালিশের তেল হিসেবে ছিল শুধু সরিষা আর নারকেল তেল। তবে এখন বাজারে নানা রকম মালিশের তেল বেরিয়েছে। তেল মালিশে শিশুর আরও যা উপকার হয়-
১.তেল মালিশ বিভিন্ন ইন্দ্রিয়কে সক্রিয় করতে সহায়তা করে।
২. মাংসপেশিতে আরাম ও ক্লান্তি দূর হয়। মাংসপেশি মজবুতও হয়।
৩. শিশুদের হাড়ের কাঠামো গঠনে সহায়তা করে।
৪. হাড় শক্তিশালী করতে সহায়তা করে। ত্বক শান্ত করে।
৫. শিশুদের ঘুম ভাল হয়।
৬. হজম ক্ষমতা এবং রক্ত সঞ্চালন খুব ভালভাবে হয়। শ্বাস-প্রশ্বাস নিতেও কোনও সমস্যা হয় না। শরীরে গ্যাস কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে।
৭. শরীরে তেল মালিশ করলে শিশুদের স্নায়ুতন্ত্র উত্তেজিত হয়।
শিশুদের তেল মালিশের জন্য যেসব তেল উপকারী-
নারকেল তেল: নারকেল তেল গরম এবং আর্দ্র আবহাওয়ায় ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত। নারকেল তেল হালকা হওয়ার কারণে মালিশের সময় ত্বকে খুব সহজেই শোষিত হয়। এতে থাকা ভিটামিন-ই এবং পলিফেনল বায়োঅ্যাকটিভ যৌগ, ত্বকে পুষ্টি জোগায়। এছাড়াও, এই তেলটিতে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যও রয়েছে, যা একজিমা, ব়্যাশ, প্যাচি স্কিন, ডার্মাটাইটিস এবং ক্র্যাডল ক্যাপ নিরাময় করতে সহায়তা করে।
তিলের তেল : গবেষণায় দেখা গেছে, তিলের তেল দিয়ে শিশুদের মালিশ করলে তাদের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ভাল হয় এবং ভাল ঘুমও হয়। এছাড়া, তিলের তেল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিপাইরেটিক বৈশিষ্ট্য সমৃদ্ধ। এটি প্রদাহ এবং ব্যথা কমাতে সহায়তা করে।
অলিভ অয়েল : নবজাতকদের ম্যাসাজের জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহারের পরামর্শ দেন অনেক চিকিৎসক। এই তেল ত্বক হাইড্রেট রাখতে সহায়তা করে। তবে শিশুর ত্বক যদি অতিরিক্ত সংবেদনশীল হয়, তাহলে এই তেল ব্যবহারের আগে অবশ্যই একজন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ কিংবা চর্মরোগ বিশেষজ্ঞর পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আমন্ড অয়েল : আমন্ড অয়েলে থাকা না বৈশিষ্ট্য ত্বকের বর্ণ এবং স্কিন টোন উন্নত করতে সহায়তা করে। তাছাড়া এটি অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও ত্বককে রক্ষা করতে পারে।
গ্রেপসিড অয়েল : গ্রেপসিড অয়েল হল এক ধরনের কোল্ড-প্রেসড অয়েল। শিশুদের মালিশের জন্য এই তেল ব্যবহার করতেই পারেন।
জোজোবা তেল : একজিমায় আক্রান্ত শিশুদের জন্য এই তেল ব্যবহারের পরামর্ম দেওয়া হয়। এটি ত্বকের সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে। এতে ভিটামিন-ই আছে।
মন্তব্য করুন