- লাইফস্টাইল
- আনোয়ারায় ভোটার হালনাগাদ দলের ১৩ সদস্যকে মারধর, গ্রেপ্তার ১
আনোয়ারায় ভোটার হালনাগাদ দলের ১৩ সদস্যকে মারধর, গ্রেপ্তার ১

গ্রেপ্তার মোহাম্মদ রাশেল
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমে নিয়োজিত নির্বাচন অফিসের একটি দলের ১৩ সদস্যকে মারধর ও ডিভাইস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৬টায় উপজেলার রায়পুর ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় জড়িত মোহাম্মদ রাশেল (২১) নামে এক যুবককে পুলিশ গ্রেপ্তার করে শনিবার দুপুরে আদালতে পাঠায়। রাশেল রায়পুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুল করিমের ছেলে।
এর আগে এই ঘটনায় ৩ জনের নাম উল্লেখ করে টিম লিডার ফয়সাল মিয়া বাদী হয়ে আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। ঘটনার পরই পুলিশ অভিযুক্ত আসামি রাশেলকে গ্রেপ্তার করে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, রায়পুর ইউনিয়নে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের নিবন্ধনকৃত ভোটারদের ছবি তোলার শেষ দিন ছিল শুক্রবার। বিকেল ৫টার পর ছবি তোলার জন্য লাইনে আর কোনো ভোটার না থাকায় কার্যক্রম বন্ধ করা হয়। কার্যক্রম বন্ধের পর রাশেল এক লোক তার আত্মীয় পরিচয়ে হেলালের ছবি তোলার অনুরোধ করেন।
এ সময় টিমের সদস্যরা তাদেরকে বাদপড়া ভোটারদের পরবর্তী তারিখে ছবি তোলা হবে বলে জানান। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে স্থানীয় লোকজন ডেকে এনে টিমের সদস্যদের সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদেরকে কেন্দ্রে অবরুদ্ধ করে রাখে। ওই সময় টিমের সবাইকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও মারধর এবং ভোটার নিবন্ধন কাজে ব্যবহৃত ল্যাপটপসহ ডিভাইস ভাঙচুর করে দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি করেন তারা। হামলায় ওই টিমের ১৩ সদস্য আহত হন। আহতদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ছৈয়দ নুর ও রায়পুর ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইয়াছিন জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগে রাশেল লোকজন নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে নির্বাচন অফিসের লোকজনকে গাড়িতে তুলে দেওয়া হয়।
এই ব্যাপারে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আমিন শরীফ বলেন, ছবি তোলার কার্যক্রম শেষে রায়পুর ইউনিয়ন পরিষদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলক ঘটনাটি ঘটিয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু জাফর ছালেহ বলেন, এ ঘটনায় টিম লিডার ফয়সাল মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
আনোয়ারা থানার ওসি এস এম দিদারুল ইসলাম সিকদার বলেন, ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রমের সদস্যদের মারধরের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ঘটনার মূলহোতা রাশেলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ আদালতে পাঠিয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
মন্তব্য করুন