বয়স বাড়লে হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়। তাই হাড়ের গঠন সুদৃঢ় করতে নিজের জীবনযাপন পদ্ধতিতে কিছু পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে শরীরচর্চা, সবদিকেই নজর দেওয়া প্রয়োজন।

হাড়ের গঠন ভাল রাখতে যা জরুরি-

ক্যালসিয়াম
: হাড়ের গঠন সঠিক ভাবে বজায় রাখতে হলে এবং ক্ষয় রুখতে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হতে দেওয়া চলবে না। সেক্ষেত্রে ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে নারীদের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা যায়। তাই দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এর ফলে শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হবে না।

শরীরচর্চা: নিয়মিতভাবে শরীরচর্চা প্রয়োজন। তবে নিজের ক্ষমতান বাইরে গিয়ে শরীরচর্চা করা উচিত নয়। অর্থাৎ খুব ভারী কোনও ব্যায়াম করতে গিয়ে যদি আপনি হঠাৎ করে আঘাত পেয়ে যান তাহলে হাড়ের ক্ষয় হওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন সতর্ক হয়ে।

তামাক এবং অ্যালকোহল : এই দুই উপকরণ নানাভাবে শরীরের ক্ষতি করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, তামাক সেবন করলে অর্থাৎ ধূমপানের ফলে হাড়ের ক্ষয় হয়। তাই ঘনঘন সিগারেট খাওয়ার প্রবণতা থাকলে তা ত্যাগ করা প্রয়োজন। এর পাশাপাশি অ্যালকোহল বা মদ্যপানও হাড়ের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। শরীরে অতিরিক্ত অ্যালকোহল থাকলে অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ : শরীরের ওজন যতটা হওয়া উচিত (উচ্চতা অনুযায়ী), তার থেকে বেশি হলে সেই অতিরিক্ত ভার পড়ে হাড়ের উপর। এতে হাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেইসঙ্গে হাড়ের ক্ষয়ও হতে পারে। মূলত পায়ের উপর শরীরের সমস্ত ওজন থাকে। তাই সেক্ষেত্রে ওজন বেশি হলে পায়ের হাড়ের উপর চাপ পড়ে সবচেয়ে বেশি।

মূলত শরীরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি দেখা দিলেই হাড়ের ক্ষয় হতে পারে। আর হাড় ক্ষয়ে গেলে স্বভাবতই এর গঠন নষ্ট হয়। এর ফলে শরীরের বিভিন্ন অস্থিসন্ধিতে প্রবল যন্ত্রণা হতে পারে। সমস্যা আরও বাড়লে অস্টিওআর্থ্রারাইটিস বা অস্টিওপোরোসিসের মতো গুরুতর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এজন্য সময় থাকতেই সাবধান হওয়া প্রয়োজন।