সরকারি নানা সুযোগ-সুবিধা থাকলেও বাংলাদেশে স্তন ক্যান্সার বিষয়ে সচেতনতার অভাব আছে। এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি জরুরি।

মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) খন্দকার মোকাররম হোসেন বিজ্ঞান ভবনে 'ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব, প্রতিরোধ ও ব্যবস্থাপনা' শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।

'ইকো ফিকা' উৎসব উপলক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করে সুইডেন অ্যালামনাই নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ। স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ খাবারকে উৎসাহিত করে বিশ্বব্যাপী এ উৎসব পালন করে সুইডিশরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাকসুদ কামাল বলেন, স্তন ক্যান্সার হরমোনাল, জেনেটিক বা নন-হরমোনালভাবে হতে পারে। এ ক্ষেত্রে জীবনযাপনের ধরন গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন বিষয় নারীকে স্তন ক্যান্সারের দিকে নিয়ে যেতে পারে। পর্যাপ্ত স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং সঠিক চিকিৎসার ফলে এর প্রতিরোধ সম্ভব।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মাহবুবা নাসরীন বলেন, স্বাস্থ্যের ব্যাপারে আমাদের সচেতনতার অভাব আছে। তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সুস্বাস্থ্য ও ভালো থাকা জরুরি। একটি অন্যটির সঙ্গে জড়িত। তাই অর্গানিক খাবারে গুরুত্ব দিতে হবে।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য দেন ঢাকায় সুইডেন দূতাবাসের রাজনীতি, ব্যবসা ও যোগাযোগ বিভাগের প্রধান অ্যানা সভান্টেসন। সভাপ্রধান ছিলেন সুইডেন অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারপারসন অধ্যাপক ইকবাল রউফ মামুন।

এরপর বিজ্ঞান সেশনে আলোচনা করেন জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রুশকীন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক মুস্তাক ইবনে আইয়ুব, সভাপ্রধান ছিলেন রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ শোয়েব।