- লাইফস্টাইল
- চাপমুক্ত থাকুন
চাপমুক্ত থাকুন

অনেক সময় কাজের মধ্যে বেশ চাপ অনুভূত হয়। নির্দিষ্ট সময়ে কাজ জমা দেওয়ার তাড়া থাকে। আর ঠিক সময়ে তা সম্পন্ন না হলে অতিরিক্ত কাজের চাপে মেজাজ বিগড়ে যায়। আচার-আচরণ খিটখিটে হয়ে যায়। নিজেকে চিনতে কঠিন হয়। এ জন্য কিছু নিয়ম অনুসরণ করলে মানসিক চাপ থেকে কিছুটা মুক্তি মেলে।
ব্যায়াম :নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে শরীর থেকে এন্ডোফিনের মতো কিছু হরমোন নিঃসৃত হয়। এ হরমোনগুলো শরীর ও মন চাঙ্গা রাখে। অনেক সময় স্ট্রেসের কারণে পেশি টান টান অবস্থায় থাকে। ফলে শরীরে এক ধরনের অস্বস্তি অনুভূত হয়। এ জন্য ব্যায়াম খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। ব্যায়ামের ক্ষেত্রে পুরো ওয়ার্কআউটের প্রয়োজন নেই। নিয়ম করে এলাকার চারপাশ ঘুরে আসা, ২০ বার জাম্পিং জ্যাক, হাঁটার মধ্যে দৌড়ানো অথবা ইয়োগা করা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো।
গুছিয়ে কাজ করুন :যখন অনেক কাজ এসে জমা হয় এবং সেগুলো দ্রুত ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার তাড়া থাকে, তখন মানসিক চাপে পড়ার আশঙ্কার বিষয়টি থেকে যায়। কাজের তালিকা তৈরি করুন। সময় খরচে একটু কৌশলী হলে জমে থাকা কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা সম্ভব।
এ জন্য একটু ঠান্ডা হয়ে বসুন। কোন কাজটা কখন করতে হবে এমন তালিকা তৈরি করুন। প্রতিটি কাজ শেষ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিন। যে কাজটি আগে শেষ করতে হবে, তার প্রতি গুরুত্ব দিন। যে কাজটি পরে করলেও হয় বা অন্য কারও মাধ্যমে করা সম্ভব, সেটি পরে করুন। প্রতিটি কাজ শেষ করতে কত সময় লাগতে পারে, সে ব্যাপারে বাস্তববাদী হোন। কাজের মধ্যে বিরতি নিন। নিজের জন্য কিছু আলাদা সময় বেছে নিন।
শ্বাস নিন :মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ শ্বাস-প্রশ্বাসকে প্রভাবিত করতে পারে। এতে শরীর ও মনে তার মারাত্মক প্রভাব পড়ে। গভীর শ্বাস নিলে শ্বাস ও হূৎস্পন্দনের গতি কমে আসে, যা পেশির ওপর চাপ কমায় এবং মন শান্ত থাকে।
নিজের জন্য সময় বের করুন :অতিরিক্ত কাজের চাপে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলেও নিজের জন্য সময় বের করে নিন। মানসিক চাপ আবেগ, আচরণ, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। মানসিক চাপের কারণে আচরণ খিটখিটে হয়, অল্পতেই রাগ আসে কিংবা সহজেই বিচলিত বা উত্তেজিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। যখন আপনি বুঝতে পারবেন, মানসিক চাপের কারণে আপনার অনুভূতি ও আচরণ প্রভাবিত হচ্ছে, ঠিক সেই সময় যা করছেন তা থেকে দূরে সরে আসুন। কিছু সময় স্থির থেকে নিজেকে সময় দিন। এ সময় বই পড়ে কিংবা গান শুনে সময় উপভোগ করা যেতে পারে। বিশ্বস্ত বন্ধু কিংবা সহকর্মী যাঁদের নির্দি্বধায় বলা যায় সব কথা, তাঁদের সঙ্গে কেমন অনুভব করছেন সে বিষয়ে কথা বলুন। প্রতি সপ্তাহের সময়সূচিতে কিছু 'নিজের সময়' রাখুন। এ সময়গুলোতে স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখার পাশাপাশি এমন কিছু কাজ করুন, যা আপনাকে অনেক আনন্দ দেয়।
ধ্যান করুন :আপনি যদি এখনও মননশীলতা, ধ্যান বা মন হালকা করার ব্যায়াম না করে থাকেন, তবে এখনই শুরু করুন। মানসিক চাপ কমাতে এবং চাপ থেকে মুক্তি পেতে ধ্যান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত। কখনও মানসিক চাপ অনুভূত হলে কিংবা ভালো বোধ না করলে মননশীলতা, ধ্যান বা মন হালকা করার ব্যায়াম প্রতিরোধক হিসেবে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। া
সূত্র :কুইন্সল্যান্ড হেলথ
ব্যায়াম :নিয়মিত ব্যায়ামের ফলে শরীর থেকে এন্ডোফিনের মতো কিছু হরমোন নিঃসৃত হয়। এ হরমোনগুলো শরীর ও মন চাঙ্গা রাখে। অনেক সময় স্ট্রেসের কারণে পেশি টান টান অবস্থায় থাকে। ফলে শরীরে এক ধরনের অস্বস্তি অনুভূত হয়। এ জন্য ব্যায়াম খুব কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে পারে। ব্যায়ামের ক্ষেত্রে পুরো ওয়ার্কআউটের প্রয়োজন নেই। নিয়ম করে এলাকার চারপাশ ঘুরে আসা, ২০ বার জাম্পিং জ্যাক, হাঁটার মধ্যে দৌড়ানো অথবা ইয়োগা করা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো।
গুছিয়ে কাজ করুন :যখন অনেক কাজ এসে জমা হয় এবং সেগুলো দ্রুত ও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমা দেওয়ার তাড়া থাকে, তখন মানসিক চাপে পড়ার আশঙ্কার বিষয়টি থেকে যায়। কাজের তালিকা তৈরি করুন। সময় খরচে একটু কৌশলী হলে জমে থাকা কাজ নির্দিষ্ট সময়ে শেষ করা সম্ভব।
এ জন্য একটু ঠান্ডা হয়ে বসুন। কোন কাজটা কখন করতে হবে এমন তালিকা তৈরি করুন। প্রতিটি কাজ শেষ করার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নিন। যে কাজটি আগে শেষ করতে হবে, তার প্রতি গুরুত্ব দিন। যে কাজটি পরে করলেও হয় বা অন্য কারও মাধ্যমে করা সম্ভব, সেটি পরে করুন। প্রতিটি কাজ শেষ করতে কত সময় লাগতে পারে, সে ব্যাপারে বাস্তববাদী হোন। কাজের মধ্যে বিরতি নিন। নিজের জন্য কিছু আলাদা সময় বেছে নিন।
শ্বাস নিন :মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ শ্বাস-প্রশ্বাসকে প্রভাবিত করতে পারে। এতে শরীর ও মনে তার মারাত্মক প্রভাব পড়ে। গভীর শ্বাস নিলে শ্বাস ও হূৎস্পন্দনের গতি কমে আসে, যা পেশির ওপর চাপ কমায় এবং মন শান্ত থাকে।
নিজের জন্য সময় বের করুন :অতিরিক্ত কাজের চাপে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকলেও নিজের জন্য সময় বের করে নিন। মানসিক চাপ আবেগ, আচরণ, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে। মানসিক চাপের কারণে আচরণ খিটখিটে হয়, অল্পতেই রাগ আসে কিংবা সহজেই বিচলিত বা উত্তেজিত হওয়ার মতো ঘটনা ঘটতে পারে। যখন আপনি বুঝতে পারবেন, মানসিক চাপের কারণে আপনার অনুভূতি ও আচরণ প্রভাবিত হচ্ছে, ঠিক সেই সময় যা করছেন তা থেকে দূরে সরে আসুন। কিছু সময় স্থির থেকে নিজেকে সময় দিন। এ সময় বই পড়ে কিংবা গান শুনে সময় উপভোগ করা যেতে পারে। বিশ্বস্ত বন্ধু কিংবা সহকর্মী যাঁদের নির্দি্বধায় বলা যায় সব কথা, তাঁদের সঙ্গে কেমন অনুভব করছেন সে বিষয়ে কথা বলুন। প্রতি সপ্তাহের সময়সূচিতে কিছু 'নিজের সময়' রাখুন। এ সময়গুলোতে স্বাস্থ্যের প্রতি খেয়াল রাখার পাশাপাশি এমন কিছু কাজ করুন, যা আপনাকে অনেক আনন্দ দেয়।
ধ্যান করুন :আপনি যদি এখনও মননশীলতা, ধ্যান বা মন হালকা করার ব্যায়াম না করে থাকেন, তবে এখনই শুরু করুন। মানসিক চাপ কমাতে এবং চাপ থেকে মুক্তি পেতে ধ্যান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এটি বৈজ্ঞানিকভাবেও প্রমাণিত। কখনও মানসিক চাপ অনুভূত হলে কিংবা ভালো বোধ না করলে মননশীলতা, ধ্যান বা মন হালকা করার ব্যায়াম প্রতিরোধক হিসেবে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। া
সূত্র :কুইন্সল্যান্ড হেলথ
মন্তব্য করুন