তুলার মূল্য বেড়ে যাওয়া এবং যোগান কমে আসায় নন-কটন গার্মেন্টস পণ্যের দিকে ঝুঁকেছে বিশ্ব ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি। বিশ্ববাজারের সাথে তাল মিলিয়ে, ম্যান-মেড-ফাইবারের চাহিদা বাড়ছে স্থানীয় তৈরি পোশাক শিল্পে। এমন তথ্য তুলে ধরে, ঢাকায় সফররত ওয়েলসের ব্যবসায়ীদের বস্ত্রখাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছে এফবিসিসিআই।

শনিবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে যুক্তরাজ্যের অল ওয়েলস ট্রেড, ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড এডুকেশন মিশনের প্রতিনিধি দলের সাথে এক বৈঠকে এ আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট রপ্তানির প্রায় ৮৩ শতাংশ আসে তৈরি পোশাক খাত থেকে। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর ইউরোপের বাজারে জিএসপি প্লাস সুবিধা পেতে রপ্তানি পণ্যের সিংহভাগ ভ্যালু অ্যাডিশন হতে হবে দেশেই। এক্ষেত্রে বস্ত্র শিল্প, বিশেষ করে ম্যান-মেড-ফাইবার অন্যতম একটি সম্ভাবনাময় বিনিয়োগ খাত হবে।
পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি, সিরামিক, আসবাবপত্র, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং মানবসম্পদ উন্নয়ণে বিনিয়োগ সম্ভানার কথাও জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। এসব খাতে ওয়েলসের ব্যবসায়ীদের একক কিংবা যৌথ বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে বলে জানান তিনি। বিনিয়োগে আগ্রহী উদ্যোক্তাদের সহযোগিতা প্রদানের বিষয়ে আশ্বাস দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
বৈঠকে বাংলাদেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্প্রসারণে ওয়েলসের আগ্রহের কথা জানান প্রতিনিধি দলের প্রধান এবং চেম্বার ওয়েলসের এপিকিউটিভ চেয়ারম্যান মি. পল স্লেভিন। তিনি বলেন, বাণিজ্য, শিক্ষা এবং সংস্কৃতি সব ক্ষেত্রেই পারস্পারিক সহযোগিতার সুযোগ রয়েছে ওয়েলস এবং বাংলাদেশের। সব ধরণের উন্নয়ন কর্মকান্ডে বেসরকারি খাতকে অংশীজন করতে উভয় সরকারে প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে, দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এবং ইন্সটিটিউটগুলোর সাথে ওয়েলসের ইন্সটিটিউটগুলোর কারিগরী সহযোগীতার সম্পর্ক উন্নয়নের ওপর জোর দেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু। এ সময় উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী, মো. হাবীব উল্লাহ ডন প্রমুখ।