আবার শুরু হয়েছে করোনার সংক্রমণ। চিনের করোনা পরিস্থিতি নতুন করে জন্ম দিচ্ছে উদ্বেগের। বাড়াচ্ছে চিন্তা। করোনার নতুন উপরূপ বিএফ.৭ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত থাকতে আগে থেকে সতর্ক এবং সুরক্ষিত দুই-ই থাকা প্রয়োজন।

মূলত সর্দি, জ্বর, গলাব্যথা, কাশি, শ্বাসনালির সংক্রমণই করোনার নতুন উপরূপ বিএফ.৭-এর উপসর্গ। এ ছাড়া পেটের সমস্যা, বমি, ডায়রিয়ার মতো লক্ষণও দেখা দিতে পারে। একে শীতকাল তার উপর নতুন করে করোনার সংক্রমণ- এই সময় সুস্থ থাকাটা একটু কঠিন হয়ে দাঁড়া়তে পারে। কিন্তু যেভাবেই হোক সুরক্ষিত থাকাটা জরুরি। এজন্য সবচেয়ে আগে প্রয়োজন শরীরের প্রতিরোধশক্তি বাড়ানো। এই পরিস্থিতিতে করোনার সঙ্গে লড়তে যেসব নিয়ম মানা জরুরি-

টিকা নেওয়া না থাকলে নিয়ে নিন
: করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকতে টিকা নেওয়াটা জরুরি। অনেকেই করোনার দুটি টিকা এবং বুস্টার নিয়ে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। এখনও যদি তা না নিয়ে থাকেন, তাহলে আর দেরি না করে অবশ্যই নিয়ে ফেলুন।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান: করোনার সঙ্গে লড়াই করতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি। বাইরের খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমিয়ে ফেলুন। প্রক্রিয়াজাত খাবার, লবণ যতটা সম্ভব কম খান। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন সবুজ শাকসব্জি। প্রতি দিন অন্তত দুটি করে ফল খেতে ভুলবেন না। প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। ডিম, বাদামের মতো খাবার বেশি খান। প্রতিদিনের খাদ্যতালিতায় দই, পনির, ছানা, দুধের মতো দুগ্ধজাতীয় খাবার রাখুন। ভিটামিন,খনিজ, ফাইবারের মতো স্বাস্থ্যকর উপাদান যাতে শরীরে খাবারের মাধ্যমে প্রবেশ করে, সে দিকে লক্ষ্য রাখুন।

নিয়মিত শরীরচর্চা করুন: অন্য সময় শরীরচর্চা করুন আর না করুন, এই পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকতে অল্প সময়ের জন্য হলেও শরীরচর্চার অভ্যাস তৈরি করুন। এতে শুধু করোনা দূরে থাকবে তা-ই নয়, করোনা নিয়ে আতঙ্কও কাটবে। শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ এবং আরও অনেক সমস্যা থেকে দূরে থাকতেও শরীরচর্চা করা জরুরি।

পর্যাপ্ত ঘুমান
: শরীরের সার্বিক সুস্থতার ভিত্তি হল পর্যাপ্ত ঘুম। ঠিক করে না ঘুমালে প্রতিরোধ শক্তি দুর্বল হয়ে পড়বে। এর ফলে করোনার সঙ্গে লড়াই করা সমস্যাজনক হয়ে উঠবে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমানোর চেষ্টা করুন। তাতে শরীর আর মন দুই-ই ভালো থাকবে।