হত্যা মামলায় ২৩ দিন কারাগারে থাকার পর জামিনে মুক্ত হয়েছেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হেকমত সিকদার। আজ মঙ্গলবার সাগরদিঘী গ্রামে নিজ বাড়িতে ফিরে তিনি দুধ দিয়ে গোসল করেন।

ইউনিয়ন যুবদল নেতা আব্দুল মালেক হত্যার প্রধান আসামি হেকমত সিকদার। তাঁর কারামুক্তির খবর পেয়ে প্রবেশ ঠেকাতে আজ দুপুরে সাগরদিঘী বাজারে জড়ো হয় এলাকাবাসী।

টাঙ্গাইল জেলা যুবলীগের সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, হেকমত সিকদারের মুক্তির খবরে সকাল থেকে সাগরদিঘী বাজারে জগো হতে থাকেন এলাকাবাসী। তবে দুপুরে খাবার খেতে যে যার বাড়িতে গেলে পুলিশ ও ঘাটাইল থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সেখানে আসেন। এরপর বাড়ি ফিরে দুধ দিয়ে গোসল করেন চেয়ারম্যান।

হেকমত সিকদার বলেন, গুটি কয়েক দুস্কৃতকারী বাধার সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু টিকতে পারেনি। তাঁর পরিবারের কেউ জেল খাটেননি। তিনিই প্রথম জেল খেটেছেন। তাই বাড়ি ফেরার পর পরিবারের লোকজন তাকে দুধ দিয়ে গোসল করিয়ে দেন।

ঘাটাইল থানার ওসি আজহারুল ইসলাম সরকার সমকালকে বলেন, চেয়ারম্যানের মুক্তির খবরে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে সাগরদিঘী বাজারে জড়ো হতে থাকে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। সেখানে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

২০১৮ সালে সাগরদিঘি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের আগের রাতে সহিংসতায় নিহত হন ইউনিয়ন যুবদল নেতা আব্দুল মালেক। তাঁর স্ত্রী মর্জিনা আক্তার চেয়ারম্যান হেকমত শিকদারকে প্রধান আসামি করে ২৩ জনের নামে ও অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন। এই মামলায় গত ১ জানুয়ারি হেকমত সিকদারকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। তাঁর গ্রেপ্তারের খবরে এলাকায় মিষ্টি বিতরণ ও আনন্দ মিছিল হয়।