- জীবনশৈলী
- কনসিলারে নিখুঁত
কনসিলারে নিখুঁত

বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের, বিভিন্ন মানের কনসিলার রয়েছে। কেনার আগে ত্বকের রং, ধরন ইত্যাদি বিবেচনা করতে হবে। ত্বকের সঙ্গে মানানসই কনসিলার ব্যবহারে ত্বক দেখাবে লাবণ্যময় ও নিখুঁত।
লিকুইড কনসিলার :একটি লিকুইড কনসিলার দিয়ে বহুমুখী কাজ করা যায়। এটি স্বাভাবিক, তৈলাক্ত বা সংমিশ্রিত ত্বকের জন্য উপযুক্ত। এটি প্রয়োগ করা সহজ। লিকুইড কনসিলার ম্যাট, শিশির ও সাটিনের মতো বিভিন্ন ফিনিশে ব্যবহার করা হয়।
ক্রিম কনসিলার :শুস্ক বা কম্বিনেশন স্কিনের জন্য ক্রিম কনসিলার ভালো কাজ করে। ক্রিম কনসিলারগুলো দীর্ঘ সময় ধরে পরলে ক্রিজ হয়ে যায়। তাই কনসিলার ব্যবহারের পর লুজ পাউডার দিয়ে আপনার কনসিলার সেট করে নিলে এ ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। ব্রণ লুকানোর জন্য কনসিলারের ঘন, শুস্ক সামঞ্জস্য থাকা অপরিহার্য। এক্ষেত্রে ক্রিম কনসিলার হতে পারে উত্তম সমাধান।
স্টিক কনসিলার :স্টিক কনসিলার শুস্ক এবং সংবেদনশীল ত্বকের জন্য প্রযোজ্য। এ ধরনের কনসিলার সাটিন বা পাউডারি ম্যাট ফিনিশের মধ্যে সেট হয়ে যায়। সবচেয়ে জনপ্রিয় স্টিক কনসিলারের মধ্যে রয়েছে টার্টের অ্যামাজনিয়ান ক্লে ওয়াটারপ্রুফ ১২-আওয়ার কনসিলার, অ্যামেজিং কসমেটিকস পারফেকশন স্টিক এবং আওয়ারগ্লাস হিডেন কারেকটিভ কনসিলার।
কনসিলার ব্যবহারে টিপস
কনসিলার ব্যবহারের সময় কিছু টিপস মেনে ব্যবহার করলে মেকআপ দীর্ঘক্ষণ স্থায়ী হয়।
প্রাকৃতিক আলোতে কনসিলার লাগান : কনসিলার লাগানোর সর্বোত্তম জায়গা হলো সূর্যের আলো সরাসরি পৌঁছে এমন জানালার কাছে দাঁড়িয়ে কনসিলার লাগান, যাতে প্রাকৃতিক আলোয় আপনার কনসিলার কেমন কাজ করছে তা আপনি দেখতে পারেন।
ট্রায়াঙ্গল কনসিলার ট্রিক :চোখের নিচের অংশে কনসিলার ডট করা এবং সোয়াইপ করার পরিবর্তে, কনসিলার লাগানোর সময় একটি ত্রিভুজ আঁকুন এবং এটি একটি ছোট কনসিলার ব্রাশ বা একটি মেকআপ স্পঞ্জ দিয়ে মিশ্রিত করুন। এভাবে কনসিলার ব্যবহার করলে টি-জোনের পুরো এরিয়া হাইলাইট হয়। এতে মেকআপ নিখুঁত হয়।
চোখের পাতায় কনসিলার :যদি আলাদা করে আইশ্যাডো প্রাইমারগুলো ব্যবহার করতে না চান, তাহলে আপনার চোখের পাতায় কিছু কনসিলার হালকা করে চেপে চেপে বসান। এভাবে ব্যবহার করলে এটি কনসিলার আইশ্যাডো প্রাইমারের মতোই উজ্জ্বলভাবে কাজ করবে।
লিপস্টিক পপ করুন :যারা লিপস্টিক পরতে পছন্দ করেন, তাঁরা একটি সূক্ষ্ণ টিপ ব্রাশ এবং কিছু কনসিলার দিয়ে আপনার ঠোঁটের বাইরে আস্তরণ তৈরি করতে পারবেন। আপনার ঠোঁটের আকৃতি বাড়াতে পারবেন। ঠোঁট আগের চেয়ে আরও বেশি আকর্ষণীয় করতে পারবেন।
কনসিলার দিয়ে কনট্যুরিং এবং হাইলাইটিং :একটি কনসিলারের সাহায্যে ত্বকের চেয়ে দুই শেড গাঢ় এবং ত্বকের থেকে দুই শেড হালকা মেকআপ পেতে পারেন। একটি কনসিলার দিয়েই কনট্যুরিং ও হাইলাইট করা যায়। পেন্সিল কনসিলার দিয়ে এই কাজটি করলে প্লেসমেন্টের ওপর আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকবে।
টিস্যু দিয়ে দাগ :কনসিলার লাগানোর পর চোখের চারপাশে একটি টিস্যু দুটি স্তরে বিভক্ত করে অতিরিক্ত মেকআপটি হালকাভাবে মুছে ফেলুন। একটি সহজ পদক্ষেপ কতটা ভালো কাজ করে তা দেখে আপনি অবাক হবেন। া
মডেল : তাহমিনা ইলা; ছবি :ফাহিম
মন্তব্য করুন