
চল্লিশের পর হাড়ের সমস্যার মোকাবিলায় প্রয়োজন হতে পারে ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্টেরও। হাড়ের গঠনে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণভাবে শরীর রক্তে ক্যালসিয়ামের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখার চেষ্টা করে। কিন্তু যদি ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হয়, তখন শরীর হাড় থেকে ক্যালসিয়াম আহরণ করতে শুরু করবে। ফলে হাড় দুর্বল হয়ে পড়বে। ক্যালসিয়ামের মূল উৎস ডায়েট। ছোটবেলা থেকেই ডায়েটে যথেষ্ট ক্যালসিয়াম থাকা প্রয়োজন। যদি ক্যালসিয়ামের নেগেটিভ ব্যালান্স শরীরে দেখা যায়, তাহলে নারীর ক্ষেত্রে চল্লিশের পর ও পুরুষের পঁয়তাল্লিশের পর ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট হিসেবে নেওয়া যেতে পারে।
দীর্ঘদিন ধরে ক্যালসিয়াম খেলে কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে, তা পুরোপুরি নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে শরীর একটি নির্দিষ্ট মাত্রার বেশি ক্যালসিয়াম অ্যাবজর্ব করতে পারে না।
অতিরিক্ত ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট খেলে শরীর তা পেট থেকে বের করে দেবে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা দিতে পারে। সাধারণভাবে ডায়েটারি ক্যালসিয়াম প্রাথমিকভাবে খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। দুধ, চিজ, ছানা ইত্যাদি খাওয়া দরকার। ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স না থাকলে দুধ সবার সহ্য হয়। কিন্তু অনেকেই ছোটবেলা থেকে দুধ খেতে খেতে এক ধরনের মেন্টাল ব্লকেজে ভোগেন। ফলে আর দুধ খেতে চান না। দুধ ফুটিয়ে ঠান্ডা করে খান। ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স হলে সয়া মিল্ক্ক খেতে পারেন। না হলে দই, ছানা, চিজ খান। ৪০ থেকে ৫০ বছর বয়সে দু'মাস সাপ্লিমেন্ট খেতে পারেন ডাক্তারের পরামর্শে। আবার এক মাস বন্ধ রেখে খেলেন। মেনোপজের পর টানা চার-পাঁচ মাস খেয়ে এক মাস বন্ধ রেখে আবার খেতে পারেন। ক্যালসিয়ামের অভাবের প্রাথমিক লক্ষণ অজানা ব্যথা। সাধারণ আঘাতেও যদি হাড় ভেঙে যায়, ক্লান্তি আসে তাহলে এগুলো ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে হতে পারে। ভিটামিন-ডি শরীরে ক্যালসিয়ামের আত্তীকরণের জন্য প্রয়োজন। সূর্যের আলো লাগানো খুব জরুরি।
বিষয় : ক্যালসিয়াম সাপ্লিমেন্ট হাড়ের সমস্যা
মন্তব্য করুন