অনেক সময় সন্তান কথা শুনতে চায় না। এতে বাবা-মায়েরা রেগে যান এবং তার ওপর চিৎকার -চেঁচামেচি করেন। কেউ কেউ সন্তান কথা শুনতে না চাইলে মারধরও করেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাবা-মায়ের এ ধরনের আচরণ শিশুর ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করতে পারে। বরং শিশু কী কারণে বাবা-মায়ের কথা উপেক্ষা করছে তা জানার চেষ্টা করতে হবে। 

শিশুর বড়দের কথা না শোনার অভ্যাসের পেছনে একাধিক বিষয় কাজ করতে পারে। এর মধ্য়ে অনেকটাই নির্ভর করে বাবা-মায়ের উপর। অনেক সময় এখনকার দিনে বাবা ও মা দুজনেই নিজেদের পেশাগত জীবন নিয়ে এত বেশি ব্যস্ত থাকেন যে সন্তানকে যথেষ্ট সময় দিতে পারেন না। সন্তানের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় তারা ভুলে যান যে তারা একটি ছোট শিশুর সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন। শিশুর সঙ্গে শিশুর মতোই আচরণ করা জরুরি। সন্তানকে শাসন করার বদলে তাকে ভালো করে সময় নিয়ে খারাপ ও ভালোর মধ্যে পার্থক্য করতে শেখান।

সন্তান কথা না শুনলে কিছু টিপস অনুসরণ করুন। যেমন-

সন্তানের সঙ্গে তার বয়সের মতো করেই মিশুন। ঠিক তার মতো করেই বোঝার চেষ্টা করুন কেন সে কথা শুনতে চাইছে না। বন্ধুর মতো করে কথা বললে সন্তান আপনার কাছে তার মনের কথা বলবে।

সন্তানের সঙ্গে কথা বলার সময় তার চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলুন। কথা বলার সময় আই কনট্যাক্ট খুবই জরুরি। এতে আপনার প্রতি আস্থা তৈরি হবে সন্তানের মধ্যে।

সন্তানের সঙ্গে কথা বলার সময় মাথা গরম করে ফেলবেন না। এতে সন্তান হয় ভয় পাবে, নয়তো বিরক্ত হবে।

সন্তান আপনার কথায় ভয় পেয়ে গেলে মজার কিছু বলে পরিস্থিতি হালকা করে দিন।

আপনি তার কী চাইছেন সে ব্যাপারে তাকে সঠিক নির্দেশনা দিন। আপনার কথার গুরুত্ব ও প্রাসঙ্গিকতা তাকে ব্যাখ্যা করুন।