অফিসে বসে কাজ করছেন। হঠাৎ মাথায় ব্যথা শুরু হলো। কিছুতেই আর ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারছেন না। কিংবা ছুটির দিনে দুপুরের খাওয়া সেরে সবে আয়েশ করে বইয়ের পাতায় চোখ রেখেছেন। মাথার এক পাশে টনটন করে উঠল। মাঝে মাঝে এমন মাথার যন্ত্রণায় অনেকেই ভুগে থাকেন। ব্যথানাশক ওষুধ খেয়ে প্রাথমিক ভাবে তা কমেও যায়। বারবার এই ধরনের ওষুধ খাওয়া শরীরের পক্ষে একেবারেই ঠিক নয় বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। মাথা যন্ত্রণার বিভিন্ন কারণ থাকে। সব সময়ে যে একটানা টিভি দেখার কারণে বা গ্যাসের জন্য ব্যথা করছে বলে ধরে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। মাথার ঠিক কোন অংশে ব্যথা করছে, তা দেখে প্রাথমিকভাবে ব্যথার কারণ বুঝতে পারা যায়।

-মাথার তালুতে ব্যথা করলে, তা মানসিক কোনো চাপ বা উদ্বেগ থেকে হচ্ছে বলে মনে করা হয়। ব্যথার তীব্রতা হালকা থেকে মাঝারি থাকে। কোনো কারণে মানসিক কোনো চিন্তায় থাকলে এমন ব্যথা হয়। বিশ্রাম নিলে, পর্যাপ্ত ঘুমালে অনেকটা স্বস্তি পাওয়া যায়।

-অনেক সময়ে ঘাড় থেকে ব্যথা শুরু হয়ে মাথার পেছনের দিকে ছড়িয়ে পড়ে। চিকিৎসকরা বলছেন, সার্ভিকোজেনিক মাথাব্যথার লক্ষণ এটি। অন্য কোনো শারীরিক অসুস্থতা এই ধরনের ব্যথা জন্ম নেয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই ব্যথা বাড়তে থাকে। সাম্প্রতিক একটি গবেষণা বলছে, এই লক্ষণগুলো মাইগ্রেনের ব্যথার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। মাইগ্রেনের ক্ষেত্রেও ঘাড়ের পেছন থেকে ব্যথা শুরু হয়।

-মাথাব্যথার অবস্থান চিহ্নিত করার পাশাপাশি, কী ধরনের ব্যথা হচ্ছে, সেদিকেও নজর দেওয়া জরুরি। মাথার মধ্যে দপদপ করলে, মাথা কামড়ানো, সেই সঙ্গে বমি ভাব, চোখের দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিলে ফেলে রাখা ঠিক হবে না। ব্যথা কমাতে ওষুধ খাওয়া জরুরি। তবে কী ওষুধ খাবেন, তা চিকিৎসকের কাছ থেকে জেনে নেওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া, হঠাৎ মাথাব্যথা শুরু হলে ঘর অন্ধকার করে বিশ্রাম নিতে পারেন।

মাথা ও ঘাড়ে গরম-ঠান্ডা পানির সেঁক দিতে পারেন। ব্যথা কিছুটা হলেও কমতে পারে।

বিষয় : মাথাব্যথা হঠাৎ মাথাব্যথা

মন্তব্য করুন