পরিবার এমন এক জায়গা যেখান থেকে ব্যক্তির বেড়ে ওঠার ভিত তৈরি হয়। এ কারণে সন্তানদের প্রয়োজনীয় মূল্যবোধ,জীবনের নানা বিষয়ে শিক্ষা দেওয়াটা বাবা-মায়ের কর্তব্য। সন্তানকে সম্পর্কের গভীরতা শেখানোটাও বাবা-মায়ের দায়িত্ব। কারও একাধিক সন্তান থাকলে ভাইবোনদের সাথে কীভাবে সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে তাও শেখানো উচিত বাবা-মায়ের ।

সাইকোথেরাপিস্ট এমিলি এইচ স্যান্ডার্সের মতে, নিরাপত্তার অভাব ছাড়া ভাইবোনের সম্পর্ককে কিছুই নষ্ট করে না। প্রতিযোগিতা এবং পক্ষপাতিত্ব হলো নিরাপত্তাহীনতা তৈরির এবং সম্পর্ক নষ্ট করার সবচেয়ে বড় কারণ। ভাইবোনের মধ্যে সুস্থ-সুন্দর সম্পর্ক ধরে রাখতে এই সাইকোথেরাপিস্ট বাবা-মা কী করবেন ও কী করবেন না তা জানিয়েছেন ‘হিন্দুস্তান টাইমসে’র এক প্রতিবেদনে।

কী করবেন-

১. প্রতিটি শিশুই আলাদা। সব কিছুর সাথে তাদের মানিয়ে নিতে বলার পরিবর্তে ভাইবোনের মধ্যে পার্থক্যগুলি মেনে নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। বাবা-মায়ের এটা নিশ্চিত করা উচিত শিশুরা একে অপরের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারছে।

২. শিশুদের জন্য কিছু মজার টাস্ক তৈরি করা উচিত যেখানে তারা একে অপরকে মোকাবেলা করতে শিখবে এবং একসাথে জিনিসগুলি করা উপভোগ করবে।

৩.ভাইবোন যাতে একে অপরের প্রতি স্নেহ বা সম্মান দেখায় তা শেখাতে হবে।

৪. ভাইবোনের মধ্যে ছোটখাটো ঝামেলা হলে তাদেরকে মেটাতে দিন। যদি তা তীব্র হতে শুরু করে তখন অবশ্যই বাবা-মায়ের হস্তক্ষেপ করা উচিত।

৪. যেসব মজার কর্মকাণ্ডে ভাইবোন আনন্দ পায় সেসব কাজে তাদের উৎসাহ দিন। এতে তারা আনন্দ পাবে।  এতে তারা একে অপরের সাথে আরও হৃদ্যতা অনুভব করবে।

যেসব বিষয় এড়িয়ে চলবেন-

১. বাবা-মায়ের কখনই কোনো সন্তানের প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা ঠিক নয়। এতে ভাইবোন একে অন্যকে শত্রু হিসাবে দেখতে শুরু করবে।

২. বাবা-মায়ের কখনো ভাইবোনের মধ্যে প্রতিযোগিতা তৈরি করতে উৎসাহিত করা ঠিক নয়। এর পরিবর্তে, তাদের একে অপরকে আলিঙ্গন করতে এবং সর্বদা একসাথে থাকতে শেখানো উচিত।

৩. বাবা-মা অবশ্যই ভাইবোনের মধ্যে পরস্পরের যত্ন নেওয়া শেখাবেন। কিন্তু তাদেরকে এ ব্যাপারে জোর করবেন না।

৪. কোনো কারণে ভাইবোনের মধ্যে যদি সম্পর্কে অবনতি ঘটে তাহলে তা ঠিক করতে অবশ্যই বাবা-মায়ের হস্তক্ষেপ করা জরুরি।

/টিএম/

বিষয় : ভাইবোনের সম্পর্ক

মন্তব্য করুন