ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। লেবু শুধু শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেই সাহায্য করে না বরং শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে শরীরকে ডিটক্সিফাই করতেও ভূমিকা রাখে। প্রচণ্ড গরমে লেবু পানি পান খুবই উপকারী। গ্রীষ্মে শরীরে পানির পরিমাণ কমতে শুরু করে, যার ফলে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা যেমন ডিহাইড্রেশন, মাথাঘোরাসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। এ পরিস্থিাততে লেবু পানি পান এবং অন্যান্য উপায়ে লেবু খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। একই সঙ্গে  শরীরে পানির মাত্রাও বজায় থাকে।

বিভিন্ন খাবারের স্বাদ বাড়াতে লেবু ব্যবহার করা হয়। এই স্বাদ বাড়াতে গিয়ে অনেকসময় বিপদের ঝুঁকি বাড়ে। কিছু কিছু খাবার আছে যেগুলোর সঙ্গে লেবু ব্যবহার ঠিক নয়। যেমন-

টমেটো: অনেকেই  সালাদের সঙ্গে লেবুর রস মাখিয়ে স্বাদ করে খান। এটা ঠিক নয়। কারণ সালাদে থাকা টমেটো আর লেবুর সমন্বয় মারাত্মক হতে পারে। এছাড়াও টমেটোর চাটনিতে কেউ কেউ লেবু দেন। কেউ আবার চাটনি খাবার পরই লেবু চিপে খান। এই দুটি খাবার একসঙ্গে বা পরপর খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে। লেবু-টমেটো একসঙ্গে খেলে পরিপাকতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। এর ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ভারী হওয়া এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা হতে পারে।

দই: লেবুর সঙ্গে দই খাওয়া ঠিক নয়। কারণ এর দুটিই একে অপরের বিপরীত বলে বিবেচিত হয়। আসলে, দইয়ের সঙ্গে যে কোনও ধরনের সাইট্রাস ফল খেলে শরীরে ক্ষতিকারক টক্সিনের পরিমাণ বেড়ে যায়। যার ফলে চুলকানি, অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া এবং সর্দি-কাশির মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।

পেঁপে: পেঁপের সঙ্গে কখনই লেবু খাওয়া উচিত নয়। বলা হয় লেবু ও পেঁপের প্রভাব ও পুষ্টিগুণ আলাদা। সেজন্য লেবু ও পেঁপে একসঙ্গে খেলে তা শরীরের উপকারের বদলে ক্ষতি করতে পারে। এর পাশাপাশি পেঁপে ও লেবু একসঙ্গে খেলে শরীরে দুর্বলতা তৈরি হয় এবং রক্তস্বল্পতা বাড়ে।

 দুগ্ধজাত খাবার: দুধ ও দুগ্ধজাত খাবারের সঙ্গে লেবু খাওয়া উচিত নয়। লেবুতে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড দুধের সঙ্গে একত্রে পরিপাকতন্ত্রকে প্রভাবিত করতে পারে। এর ফলে হজমসংক্রান্ত বিভিন্ন ধরণের সমস্যা যেমন- বদহজম এবং অ্যাসিডিটি বাড়তে পারে।

/টিএম/