- লাইফস্টাইল
- সানস্ক্রিন মাখলেই মুখ ঘামছে?
সানস্ক্রিন মাখলেই মুখ ঘামছে?

প্রকৃতিতে চলছে তীব্র খরতাপ। এই আবহাওয়ায় ত্বক বাঁচাতে সানস্ক্রিন লাগানোর বিকল্প নেই। অনেকেই আছেন,যাদের ত্বক শরীরের তুলনায় বেশি ঘামে। তার উপর সানস্ক্রিন মাখলে আরও বেশি ঘাম হয়। এ কারণে ত্বক পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকলেও সানস্ক্রিন মাখতে চান না কেউ কেউ।
রূপ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবল ট্যানের হাত থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিনের ব্যবহার করা হয়, এটা ঠিক নয়। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করাই সানস্ক্রিনের মূল কাজ। সানস্ক্রিনের ব্যবহার না করলে ত্বকে অকালেই বয়সের ছাপ পড়ে, ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে, ত্বকের কালচে দাগছোপ পড়ে। সানস্ক্রিন থাকা‘সান প্রিভেনটিভ ফ্যাক্টর’বা এসপিএফ সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এ কারণে গরম কিংবা শীত সব ঋতুতেই সানস্ক্রিন ব্যবহার করা প্রয়োজন। এছাড়া বাড়িতে থাকুন বা বাইরে, দিনের বেলা সানস্ক্রিন ব্যবহার করা জরুরি।
অতিরিক্ত ঘাম এড়াতে কী করবেন?
কেবল ঘাম হওয়া নয়, সানস্ক্রিন লাগলে মুখ সাদা দেখায় বলে অনেকেই এটি ব্যবহার করতে চান না। রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, সানস্ক্রিন কেনার সময়ে সেটি যেন টিন্টেড সানস্ক্রিন হয়, সে বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। আর সানস্ক্রিন মাখার আগে অবশ্যই তাতে সামান্য পানি মিশিয়ে নিন। সানস্ক্রিনের সঙ্গে পানি মেশালে তা পাতলা রোমকূপের ভিতর ভালো করে ঢুকবে। পানি ত্বকের রোমকূপকে ঠান্ডা রাখবে। ফলে ঘাম কম হবে।
কোন ত্বকের জন্য কত এসপিএফের সানস্ক্রিন লাগানো উচিত?
বাজারে বিভিন্ন মাত্রার এসপিএফের সানস্ক্রিন পাওয়া যায়। তবে কার ত্বকের জন্য কোনটা উপযুক্ত তা বুঝে উঠতে পারেন না অনেকে। রূপ বিশেষজ্ঞদের মতে, তৈলাক্ত ও স্পর্শকাতর ত্বক হলে এসপিএফ ৩০ ব্যবহার করতে পারেন। ত্বকের ধরন স্বাভাবিক হলে এসপিএফ ৪০ আর যাদের খুব বেশি ট্যান পড়ে, তাদের জন্য এসপিএফ ৫০ সানস্ক্রিন ব্যবহার ভালো।
মন্তব্য করুন