- লাইফস্টাইল
- কানাডার দাবানলের ধোঁয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বহু জায়গায় দূষিত বায়ু
কানাডার দাবানলের ধোঁয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের বহু জায়গায় দূষিত বায়ু

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে লিংকন মেমোরিয়ালে দাবানলের ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন আকাশ। ছবি: রয়টার্স
কানাডার অপ্রতিরোধ্য দাবানলের ধোঁয়ায় ছেয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্রের বহু শহর। রাজধানী ওয়াশিংটনসহ অনেক জায়গায় ফ্লাইট বিলম্ব এবং ঘরের বাইরের অনেক কর্মকাণ্ড স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছেন এসব শহরের বাসিন্দারা। খবর: সিবিসি ও বিবিসি’র।
কানাডার ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় বনাঞ্চলের দাবানল মানুষের বসবাসের এলাকার জন্যও হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। সেখানে দুই হাজার মানুষকে নিরাপদে সরে যেতে বলা হয়েছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি ধোঁয়া যাচ্ছে কানাডার কুইবেক থেকে, যেখানে দেড়শর মতো দাবানল জ্বলছে। এরই মধ্যে কুইবেকের ইতিহাসের ভয়াবহতম আগুন হিসেবে আখ্যায়িত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার কানাডার অনেক এলাকার বায়ুদূষণ ক্ষতিকর মাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। আলবার্টার জানভিয়ের শহরে বাতাসের মান সূচক (একিউআই) ৩৩৮, যেটি কিনা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির ২৯৩-এর চেয়ে অনেক বেশি। ইউএস ন্যাশনাল ওয়েদার সার্ভিস নিউ ইংল্যান্ড থেকে সাউথ ক্যারোলাইনা এবং মধ্যপশ্চিম অঞ্চলের ওয়াইও, ইন্ডিয়ানা ও মিশিগানে বাতাসের নিম্ন মানের কারণে সতর্কতা জারি রেখেছে। দাবানলে ধোঁয়া নরওয়ে পর্যন্ত পৌঁছে গেছে বলে জানিয়েছেন স্ক্যান্ডিনেভিয়ার বিজ্ঞানীরা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বৃহস্পতিবার কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলেছেন। যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৬০০ জনের বেশি ফায়ার সার্ভিসের কর্মী কানাডায় দাবানল নিয়ন্ত্রণের কাজে সহযোগিতা করতে পাঠানো হয়েছে।
দাবানলের ফলে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রসহ উত্তর আমেরিকা মহাদেশের প্রায় ১০ কোটি মানুষ দূষিত বায়ুর সম্মুখীন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালে উত্তর আমেরিকায় বায়ুদূষণ চরমে পৌঁছে। ওয়াশিংটন ডিসি, ফিলাডেলফিয়া ও নিউ ইয়র্কের বাতাসের মান লাহোর, ঢাকা ও হ্যানয়ের মতো নিম্ন স্থানে পৌঁছে যায়। যুক্তরাষ্ট্রের এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সি’র একিউআই এমনটি জানিয়েছে।
বাইরে দূষিত বায়ুর কারণে যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে অনেক জায়গায় স্কুল, খেলাধুলার আয়োজন, শরীরচর্চার জন্য বাইরে যাওয়া এবং রাজধানীতে হোয়াইট হাউসের প্রাইড সেলেব্রেশান্স স্থগিত করা হয়েছে। মার্কিন জাতীয় চিড়িয়াখানাও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এমতাবস্থায় জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আরও তৎপর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।
জলবায়ু পরিবর্তন গরম শুষ্কতা ও এমন আবহাওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়, সম্ভাব্য এসব কারণে দাবানলও জোর পায়।
শিল্প যুগ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা ১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। কার্বন নি:সরণের মাত্রা কমিয়ে আনতে বিশ্বের ক্ষমতাধর ও অপরাপর রাষ্ট্রগুলো পদক্ষেপ না নিলে দিনকে দিন এই বৈশ্বিক তাপমাত্রা বাড়তেই থাকবে।
দাবানলের ধোঁয়ায় মানুষের যেসব স্বাস্থ্যগত সমস্যার ফিরিস্তি বিশেষজ্ঞরা দিয়েছেন, সেগুলো হলো শ্বাসপ্রশ্বাসে অসুবিধা, বুক, চোখ, নাক ও গলা ব্যথা।
/ওয়াইএ/
মন্তব্য করুন