ঢাকা বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

নুসেইরাত নৃশংসতার এক দিন পর হাসপাতাল-স্কুলে হামলা  

নুসেইরাত নৃশংসতার এক দিন পর হাসপাতাল-স্কুলে হামলা  

ফাইল ছবি

সমকাল ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | ০২:০২

গাজায় বোমা হামলা করে মানুষ হত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। উপত্যকার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে নৃশংসতা চালানোর এক দিন পরই হাসপাতাল ও স্কুলে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল শনিবার জাবালিয়ায় হামলায় এক পরিবারের চার সদস্য নিহত হয়েছেন।

নুসেইরাতে ওই হামলায় ৩৬ জন নিহত হয়েছিলেন, যাদের অধিকাংশই শরণার্থী শিবিরের শেখ আলী পরিবারের সদস্য। গত বছরের ৭ অক্টোবরের পর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এ পর্যন্ত ৪৪ হাজার ৮০০ জন নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশ নারী ও শিশু।

ফিলিস্তিনের সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানায়, গতকাল ইসরায়েল গাজা সিটির উত্তর-পূর্বে একটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে। এতে দু’জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া খান ইউনিসের দক্ষিণে একটি তাঁবুতে হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। এদিন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজা সিটির উত্তর-পশ্চিমে জালা জংশনে এক দল বেসামরিক নাগরিককে টার্গেট করে হামলা চালায়। এতে এক নারী নিহত ও বেশ কয়েকজন আহত হন। দুই মাস ধরে উত্তর গাজায় কঠোর অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী। এ অবরোধের মধ্যে সেখানকার কামাল আদওয়ান হাসপাতাল ও আশপাশের বাড়িঘরে হামলা হয়েছে। 

দেইর আল বালাহ এলাকার চিত্র তুলে ধরে আলজাজিরা জানিয়েছে, ওই হাসপাতালে হামলায় চিকিৎসা কর্মীরা আহত হন; অ্যাম্বুলেন্সে আগুন ধরে যায়। ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী শুধু হাসপাতালে হামলা করেই ক্ষান্ত হয়নি, তারা অ্যাম্বুলেন্স ও মেডিকেল কর্মীদেরও আটকে রাখে। গত মাসে ওই হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটের এক পরিচালককে ড্রোন হামলায় হত্যা করে ইসরায়েল।

সাংবাদিক আবু আজ্জম বলেন, গাজায় জাতিগত নিধনযজ্ঞ অব্যাহত আছে। জাবালিয়া, বেইত লাহিয়া ও বেইত হানুনে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গত ১৭ দিন ধরে স্থলাভিযান চালাচ্ছে। তারা এসব এলাকা থেকে ফিলিস্তিনিদের উৎখাত করতে চায়। গাজায় জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয়কারী মুহনানাদ হাদি বলেন, উপত্যকায় এখন মানবিক সংকট প্রকট। ইসরায়েলি হামলায় অসংখ্য মানুষ পঙ্গু হয়ে গেছেন, যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু। 

আরও পড়ুন

×