রাজনীতি হচ্ছে বুদ্ধির খেলা। বুদ্ধির খেলা খেলে রাষ্ট্র শাসনক্ষমতা অর্জন করা বা ধরে রাখা হচ্ছে রাজনীতির উদ্দেশ্য। রাজনীতির উদ্দেশ্য দর্শন চর্চা নয়, বিভিন্ন ভাগীদারের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করা। ক্ষমতার ভারসাম্য সৃষ্টি করে যে নিজেকে ভারসাম্যের কেন্দ্রে স্থাপন করতে পারে সেই ক্ষমতাবান হয়। ক্ষমতার শৌর্য আছে, সম্মান আছে। ক্ষমতা থাকলে অর্থ পদানত হয়। অর্থ থাকলে যা কিছু পাওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয়। অনেক কিছু থাকলে আবারও তা শৌর্য বাড়ায়, সম্মান বাড়ায়। মানুষ মূলত সম্মানের কাঙাল। যুগে যুগে মানুষ ক্ষমতা অর্জন করতে চেয়েছে, চায়। রাজনীতি ক্ষমতা অর্জনের পথ। ক্ষমতা অর্জন করতে কিছু দর্শনকে সামনে রাখতে হয়। দর্শনের মাধ্যমে মানুষের সমর্থন আদায় করা সবচেয়ে সহজ এবং তা দীর্ঘস্থায়ী হয়। অর্থ বা সন্ত্রাস দিয়েও মানুষের বশ্যতা আদায় করা যায়। তবে তা দিয়ে সমর্থন বেশিদিন ধরে রাখা যায় না।

প্রাচীনকালে মিসরীয়, চীনা, হরপ্পা, মহেঞ্জোদারো, আসিরীয়, গ্রিক, রোমান ইত্যাদি সভ্যতায় নগর রাষ্ট্র সৃষ্টি হয়েছিল। এই রাষ্ট্রগুলো সৃষ্টিতে ব্যক্তিস্বার্থের সমন্বয় ও জাতীয়তাবাদ ভূমিকা রেখেছে অনেক বেশি। দশের শক্তিকে এক করতে পারলে অনেক বেশি শক্তিশালী হওয়া যায়। রাষ্ট্র গঠন করা যায়। রাষ্ট্রের শক্তি তখন সমাজনীতি, বিজ্ঞান, পণ্য, সেবা, বাণিজ্য, অর্থনীতি, শিল্প সৃষ্টিতে ব্যাপক গতিশীলতা এনে একেকটা বড় বড় নগর রাষ্ট্রের সৃষ্টি করে। এসব সভ্যতায় রাষ্ট্রনায়করা নাগরিকদের নিরাপত্তা দান করে আরও বেশি বেশি আদিম নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীগুলোকে একত্রিত করে তাদের সাম্রাজ্য বৃদ্ধি করেছে। যে যত শক্তি সঞ্চয় করতে পেরেছে সে তত বেশি সমাজকে স্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তা দিতে পেরেছে, তত বেশি রাজ্য বিস্তার করতে পেরেছে।

প্রাচীন যুগে কিছু মানবিক নীতির সঙ্গে 'জোড় যার মুল্লুক তার' নীতির মিশেল দিয়ে চলেছে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র। কোনো কোনো জনগোষ্ঠীকে সেকালের ক্ষমতাধররা দাস বানিয়েছে। দাসপ্রথা ছিল প্রাচীন নগর রাষ্ট্রের মূল অর্থনৈতিক ভিত্তি। একদল মানুষকে শোষণ করে আরেক দল মানুষ সচ্ছল হয়েছে, সল্ফ্ভ্রান্ত হয়েছে। প্রাচীন নগর রাষ্ট্রে ধর্ম খুব বড় ভূমিকা রাখতে পারেনি। ধর্ম নিজে তখন পরবর্তী সময়ের তুলনায় দুর্বলও ছিল বটে। তারা মধ্যযুগ তো বটেই, এমনকি বর্তমান সময়ের তুলনায়ও বেশি ধর্মনিরপেক্ষ ছিল। মিসরের রাজারা নিজেদের ঈশ্বরের সন্তান ঘোষণা দিয়ে, নিজস্ব দেব-দেবী নিয়ে বিশাল সময় ধরে মিসর শাসন করেছে। কেউ তাদের ধর্মকে চ্যালেঞ্জ করেনি। ভারত বা চীনের পরিস্থিতিও কমবেশি একই রকম ছিল। যদিও তারা মিসরীয় রাজবংশের মতো অত দীর্ঘকাল একসঙ্গে রাজ্য শাসন করতে পারেনি।

মধ্যযুগে এসে ব্যাপারটা আর তেমন থাকল না। মধ্যযুগের সামন্তবাদী সমাজে ধর্মের দর্শনকে রাষ্ট্র পরিচালনার নীতিতে রাপান্তর করে তা দিয়ে রাজনীতি করা হয়। শত শত বছর ধরে তা চলেছে। এক ধর্মকে অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে উস্কে দিয়ে রাজনীতি হয়েছে। বহু মানুষ ধর্মের জন্য জীবন দিয়ে রাজশক্তিকে শক্তিশালী করেছে বা নতুন রাজশক্তি সৃষ্টি করেছে। রাজন্যবর্গ নতুন নতুন ধর্ম গ্রহণ করে টিকে থেকেছে বা শক্তিশালী হয়েছে। রোমানরা খ্রিষ্টধর্ম, চীনারা বৌদ্ধধর্ম, ভারতের সম্রাট অশোক বৌদ্ধধর্ম গ্রহণ করেছে একই উদ্দেশ্যে। ধর্মকে রাষ্ট্র দখলের হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহার করা হয়েছে। তারও উদাহরণ আছে ভূরি ভূরি। পরাজিত ধর্মের মানুষকে দূর করে দিয়েছে, দাস বানিয়েছে, শোষণ করেছে। যখন একই দেশে বা রাষ্ট্রে একই ধর্মের মানুষের সংখ্যাই বেশি হয়ে গিয়েছিল তখন এক ধর্মকে অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে কাজে লাগানো যায়নি। তখন ধর্মকে ভাঙার দরকার পড়েছে শাসন করার জন্য। এর ফলে দেখা যায় প্রতিটি ধর্মের মধ্যে অনেক অনেক উপধর্ম। পরাজিত উপধর্মের মানুষদের নির্যাতন করা হয়েছে, তাদের সম্পদ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ধর্মের নামে ক্ষমতা দখল হয়েছে, শোষণ চলেছে।

সবকিছুরই শেষ আছে। ইউরোপে ব্যাপকভাবে ধর্ম নিয়ে রাজনীতি শেষ হয়েছে রেনেসাঁ যুগে। অন্যান্য জায়গায় তা আরও কিছুকাল চলেছে। বিভিন্ন দেশে এখনও সে খেলা টিকে আছে কিছু মাত্রায়। এখনও ইউরোপ আমেরিকায় রক্ষণশীল দলগুলো নির্বাচন এলে কিছু ধর্মীয় ইস্যু (এবরশন, স্টেমসেল গবেষণা, ইত্যাদি) তুলে সাধারণ ধর্মপ্রাণ নাগরিকদের ভোট পাওয়ার চেষ্টা করে। সে চেষ্টা ফলও দেয়। জার্মানির অ্যাঙ্গেলা মার্কেলের মৌলবাদী দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি টানা চার টার্ম ধরে ক্ষমতায় রয়েছে। ধর্মের পর রাজনীতি করার জন্য আবিস্কার হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ দর্শনগুলো। ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, কমিউনিজম, লিবেরালিজম, নিওলিবেরালিজম ইত্যাদি। রেনেসাঁকালে জাতীয়তাবাদ আবারও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বর্তমান সময়ে এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে মানবতাবাদ, প্রকৃতিবাদ, জলবায়ু পরিবর্তন, বিশ্বায়ন ইত্যাদি। একেক সময় একেকটা বা একাধিক রাজনৈতিক দর্শন সামনে রেখে চলে ক্ষমতার লড়াই। এ দর্শন মন ভোলানো আসল উদ্দেশ্য ক্ষমতা আর ক্ষমতা প্রয়োগ করে অর্থনীতিটা ক্ষমতাধরের নিজের মতো করে চালানো; জনসাধারণকে শোষণ করে শাসকগোষ্ঠীর আভিজাত্য অর্জন। জনবান্ধব ক্ষমতাধর অর্থনীতি চালালে তা জনগণের কল্যাণ সাধন করে, সমাজ প্রগতির পথে চলে আর শোষক মনোবৃত্তির ক্ষমতাধর অর্থনীতি চালালে জনগণের দুর্ভোগ বাড়ে।

প্রযুক্তি, অর্থনীতি এবং রাজনীতি- এই তিনটি জিনিস একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। নতুন কোনো প্রযুক্তি এলে তা অর্থনীতিকে বদলে দেয়। যুগ পরিবর্তনকারী আগুন, কৃষি, চাকা, ব্রোঞ্জ, লোহা, ছাপাখানা, ইস্টিম ইঞ্জিন, বিদ্যুৎ, কম্পিউটার, ইত্যাদি আবিস্কারের ঘটনা যার যার সময়ের অর্থনীতিকে ব্যাপকভাবে বদলে দিয়েছে। ছোটখাটো প্রযুক্তির পরিবর্তনও অর্থনীতির ওপর প্রভাব ফেলে। যারা এসব আবিস্কারের কাছে পিঠে ছিল বা আবিস্কারটাকে বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহার করতে পেরেছে তাদের ঘরে অর্থের স্রোত এসেছে। এই স্রোত অর্থনীতির অন্য উপকরণগুলোকেও বদলে দিয়েছে। অর্থনীতি বদলে গেছে। কিছু মানুষের অর্থ প্রবাহ বেড়েছে, কারও কমেছে। অর্থযোগের সঙ্গে সঙ্গে নতুন অর্থশালীরা রাষ্ট্রক্ষমতার ভাগ দাবি করেছে। এতে ক্ষমতার উৎস বদলে গেছে। ক্ষীর্ণকায় হওয়া উৎসের ক্ষমতা নতুন উৎসগুলোতে সরবরাহ করে রাষ্ট্র নতুন ভারসাম্য সৃষ্টি করেছে। রাষ্ট্র টিকে থেকেছে। নতুন ভারসাম্যে যে রাষ্ট্র বা ক্ষমতাধর তৈরি করতে পারেনি বা নতুন প্রযুক্তির সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারেনি সে ধীরে ধীরে বিলুপ্ত হয়েছে। রাজনীতি বদলে গেছে। বদলে যাওয়া রাজনীতি নতুন অর্থনীতিকে ধারণ করে তার সময়ের উপযোগী রাষ্ট্রীয় নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। এভাবে রাজনীতি আবার অর্থনীতিকে প্রভাবিত করেছে। রাষ্ট্রীয় নীতিমালা জ্ঞানচর্চার সুযোগ বাড়িয়ে বা কমিয়ে প্রযুক্তির ওপরে প্রভাব ফেলতে পারে। অর্থনীতি শক্তিশালী হলে তা বড় ব্যয়সাপেক্ষ জ্ঞানচর্চাকে এগিয়ে নিতে পারে। এভাবে একে ওপরের ওপর প্রভাব বিস্তার করে সভ্যতাকে এগিয়ে নেয়।

ক্ষমতা গ্রহণ করা বা দখল করা এবং তা থেকে উৎসারিত অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ ভালো এবং খারাপ দুই ভাবেই প্রয়োগ হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষমতাধর ক্ষমতাকে সাধারণ নাগরিকের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। কেউ কেউ বুঝে কিংবা না বুঝে শুধু নিজ এবং নিজের গোষ্ঠীর স্বার্থে ব্যবহার করেছেন; বিপুল জনগোষ্ঠী বঞ্চিত হয়েছে। জনগণ দীর্ঘদিন বঞ্চনা সহ্য করে না। বঞ্চিত হতে হতে তারা বিদ্রোহী হয়, বিপ্লবী হয়। রাষ্ট্র ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। বুদ্ধিমান শাসক এ কথা জানে। সব বুদ্ধিমান শাসক গণমুখী ছিলেন। শুধু নির্বোধেরাই জনগণকে একচেটিয়া শোষণ করেছে। শাসক ভালো না মন্দ তা বিবেচনা করার সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে শাসকের সময়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক ভারসাম্যের বিচার করা। যে শাসকের সময়ে সাধারণ নাগরিকের সঙ্গে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষমতার অধিকারীদের সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক বৈষম্য যত কম সে শাসক তত বেশি ভালো শাসক হিসেবে বিবেচিত হন।

বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর কেন্দ্রে আসলে রাজনীতিবিদরা নেই। কথাটা পুরোপুরি সঠিক না হলেও অনেকখানি সঠিক। রাজনীতিবিদদের রাষ্ট্রের চালকের আসনে দেখা যায়। তবে চালককে চালায় বড় পুঁজির অধিকারীরা। বর্তমানের রাষ্ট্রনায়কদের একজন গাড়ির চালকের সঙ্গে তুলনা করা চলে। গাড়ির যাত্রী কে হবে, গাড়ি কোন পথে চলবে, কোন গন্তব্যে যাবে, কোন দোকানের তেল কিনবে, কোন গ্যারেজে মেরামত করবে তার সবকিছুই নির্ধারণ করে দেয় গাড়ির মালিক, চালক নন। পৃথিবীর বেশিরভাগ তথাকথিত গণতান্ত্রিক দেশের সংসদে সবচেয়ে বেশি সংখ্যায় আছে ব্যবসায়ীরা। রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তাও নির্ধারণ করেন টাকাওয়ালারা। ইউরোপ, আমেরিকাতে তো বটেই- স্বল্পোন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশেও একই চিত্র। টাকাওয়ালারা রাজনৈতিক দলগুলোকে এবং দলের নেতাদের অর্থায়ন করে তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। যদিও বলা হয় জনগণের নির্বাচন। বাস্তবে দেখা যায় নির্বাচনে যে যত বেশি টাকা খরচ করতে পারে জয়ের পাল্লা তার দিকেই ভারী হয়। নির্বাচনের জয়-পরাজয় তো বটেই, এমনকি আইন পরিষদে আইন পাসের পেছনেও থাকে টাকার খেলা। টাকাওয়ালারা টাকা খরচ করে আইনকে নিজেদের সুবিধা মতো করে তৈরি করে নেয়। তাতে তাদের ঘরে আরও বেশি টাকা আসে। আরও বেশি টাকা তাদের রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা আরও বেশি বাড়িয়ে দেয়। বর্তমান পৃথিবীর অর্ধেক মানুষের সমান সম্পদ রয়েছে মাত্র ২৬ জন ধনীর হাতে। প্রতিদিন এই ধনীদের সম্পদে যোগ হচ্ছে ২১,২৫০ কোটি টাকা।

রাষ্ট্র ব্যবস্থা যখন থেকে শুরু হয়েছে তখন থেকেই রাষ্ট্র পুরোপুরি নির্ভর করেছে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা আর অর্থনীতির ওপর। পুলিশ, সেনাবাহিনী সুশৃঙ্খল করে সাজিয়ে আর আইন পাস করে আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে রাখা হয়েছে বেশ ভালোভাবেই। সামাজিক শৃঙ্খলার বিরুদ্ধে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোথাও কেউ দাঁড়াতে পারে না। রাজনীতির দর্শন আর আইনশৃঙ্খলার ব্যাপারটা সাধারণ মানুষ সহজেই বুঝতে পারে। অর্থনীতিটা জটিল। সাধারণ মানুষকে ধোঁকা দিয়ে টাকাওয়ালাদের স্বার্থ নিশ্চিত করতে গিয়ে দিনকে দিন অর্থনীতি জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে- সাধারণ মানুষের বুদ্ধির বাইরে থেকে যাচ্ছে। দিনকে দিন তা আরও দূরে সরে যাচ্ছে। রাষ্ট্র কীভাবে একটা ওষুধ আইন বা খাদ্যদ্রব্য সম্পর্কিত আইন বা কর বিষয়ক আইন করে সাধারণের টাকা টাকাওয়ালাদের পকেটে ভরে দেয় তা বুঝে ওঠা সাধারণ মানুষ তো বটেই, অনেক বিশেষজ্ঞের পক্ষেও সম্ভব হয় না। যারা বোঝেন তাদের প্রায় সবাই কোনো না কোনো স্বার্থের কারণে মুখ বুঁজে থাকে। সামান্য কয়েকজন বুঝে চিৎকার করে। ক্ষমতাবানরা, সম্পদশালীরা তাদের পাগল ট্যাগ লাগিয়ে দেয় টাকাওয়ালাদের কেনা বুদ্ধিজীবীরা; টাকাওয়ালাদের কেনা মিডিয়া তাই প্রচার করে। নোয়াম চমস্কি নীতিনির্ধারকদের কাছে অপাঙতেও হয়ে যান। ব্রিটেনের নির্বাচনে জনকল্যাণের ইশতেহার দিয়ে বারবার হেরে যান জেরেমি করবিন; মার্কিন নির্বাচন করার টিকেট পান না বার্নি স্যান্ডার্স। জনগণ ডুবে থাকে মেসি, রোনাল্ডো, লেডি গাগা, দীপিকা পাড়ুকোনদের মাঝে। যাদের বিষয়গুলো বোঝা দরকার তাদের বোঝানো যায় না; টাকাওয়ালারা টাকার খেলা খেলে যান। ধনী আর দরিদ্রের দূরত্ব বাড়তেই থাকে।

১০ এপ্রিল, ২০২০
কলাবাগান, ঢাকা।