চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আমিনুর রহমান বলেছেন, সঠিক পরিমাণ ও পুষ্টিমানসম্পন্ন খাদ্য খেতে না পারা অপুষ্টির মূল কারণ। বুদ্ধিবৃত্তিক জাতি গঠনে পুষ্টি পরিকল্পনার সঠিক বাস্তবায়ন জরুরি। খাদ্যাভ্যাসের মধ্যে ডিম, দুধ, ফলমূল, শাক-সবজি ও ডাল জাতীয় শস্য গ্রহণের মাত্রা বাড়াতে হবে।

বৃহস্পতিবার নগরের দি পেনিনসুলা হোটেলে দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনা (২০১৬-২০২৫) বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বিভাগীয় বহুখাতভিত্তিক রিসোর্স দলের (ডিএমআরটি) সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের কার্যালয় এ সভার আয়োজন করে। 

বাংলাদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের (বিএনএনসি) মহাপরিচালক ডা. হাসান শাহরিয়ার কবীরের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবার পরিকল্পনার চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক গোলাম মোহাম্মদ আজম। স্বাগত বক্তব্য দেন ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) ডা. সুমন বড়ুয়া। সভায় মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের বর্তমান পুষ্টি পরিস্থিতি, কার্যক্রম ও নীতি, জাতীয় পুষ্টি পরিষদ ও দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা (২০১৬-২০২৫), বহুখাতভিত্তিক পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন বিএনএনসির উপপরিচালক ডা. জেহান আখতার রানা, উপপরিচালক ডা. নুসরাত জাহান, উপপরিচালক ডা. হাসনিন জাহান ও নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনালের ন্যাশনাল প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. মোশতাক আহমদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের এমওসিএস ডা. মোহাম্মদ নওশাদ খান। 

সভায় বক্তারা বলেন, শিশু জন্ম নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের বুকের শাল দুধ দিতে হবে। দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধের পাশাপাশি পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার দিতে হবে। পুষ্টির অভাবে একজন শিশু প্রতিবন্ধী বা বিকলাঙ্গ হতে পারে।

বিষয় : বুদ্ধিবৃত্তিক জাতি বুদ্ধিবৃত্তিক জাতি গঠন পুষ্টি পরিকল্পনা

মন্তব্য করুন