- মিউজিক
- ‘সবাই এখন নিজেদের পছন্দের শিল্পীর সঙ্গে অভিনয় করতে চায়’
‘সবাই এখন নিজেদের পছন্দের শিল্পীর সঙ্গে অভিনয় করতে চায়’

ফারিয়া শাহরিন
ফারিয়া শাহরিন। মডেল ও অভিনেত্রী। বাংলাভিশনে প্রচার হচ্ছে তাঁর অভিনীত নাটক ‘কুইন প্যালেস’। নতুন এ ধারাবাহিক নাটক ও অন্যান্য প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে–
‘কুইন প্যালেস ’ নাটকটি এ সময়ের অন্যান্য ধারাবাহিক থেকে কতাটা আলাদা?
অনেকটা আলাদা। এটি হোষ্টেলের গল্প নিয়ে এ ধারাবাহিক। গতনুগতিক নাটকের ভিড়ে এটিকে সহজেই আলাদা করা যায়। হোষ্টেলের বেশ কয়েকজন মেয়ের গল্প নিয়ে এ নাটকটি নির্মাণ করেছেন বি ইউ শুভ। গল্পের মতো চরিত্রগুলোয় চেনা জানা মানুষের ছায়া খুঁজে পাওয়া যাবে।
শুনেছি, আসছে ঈদের কাজ শুরু করেছেন। ‘বিজয়ের গল্প’ নাটকে অভিনয়ে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
বেশ ভালো। ইশতিয়াক আহমেদ রুমেল ভাইয়ের ‘কবুতর’ নাটকটি দেখে তাঁর নির্মানের ভক্ত হয়েছি। এমন একজন মানুষের কাজের প্রস্তাব আর ফেলতে পারিনি। সামাজিক মাধ্যম একজন মানুষের জীবনে কখনও কখনও ক্ষতি বয়ে আনতে পারে তা দেখানো হয়েছে নাটকে। এতে আমার বীপরীতে অভিনয় করেছেন রাশেদ সীমান্ত। সহশিল্পী হিবেবে তিনি দারুন। সবমিলিয়ে কাজটি বেশ আনন্দ নিয়ে করেছি।
ওটিটিতে [ওভার দ্য টপ] কাজের আগ্রহ কেমন?
ওটিটিতে অবশ্যই কাজ করতে চাই। তবে আমার কাছে এখন পর্যন্ত যে ধরনের গল্প এসেছে কোনটাই পছন্দ হয়নি। ভাল গল্প ও চরিত্রটি খুঁজছি। পেলে যে কোন সময়ই কাজের বিষয়ে জানাতে পারবো।
অনেকে বলছেন নাটকে সিন্ডিকেট আছে। আপনার কী মনে হয়?
সবাই এখন নিজেদের পছন্দের শিল্পীর সঙ্গে অভিনয় করতে চায়। তবে আমি কোন সিন্ডিকেটে নেই।
গ্লামারাস চরিত্রে বাইরে আপনাকে দেখাই যায় না...
এটা ঠিক বলেছেন। বড় লোকের মেয়ে ও গ্লামারা চরিত্রের জন্যই আমার ডাক আসে। একই ধরনে চরিত্রে অভিনয় করেও আমিও ক্লান্ত। আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কাজের জন্য মুখিয়ে থাকি। ভালো গল্প ও চরিত্রে কাজ করতে চাই, যেখানে অভিনয়ের সুযোগ আছে। কিন্তু আমার কাছে সেরকম কাজের প্রস্তাব আসছে কম ।
কাজের সমালোচনাকে কীভাবে দেখেন?
আমার কাজের বড় সমালোচক আমার মা। সবার আগে সেই আমার অভিনয়ের ভুলক্রটি ধরিয়ে দেয়। আমি ভুল থেকেই শিক্ষা নেই।
পনের বছরের বেশী সময়ের ক্যারিয়ার। পেছনে ফিরে তাকালে কী দেখতে পান?
জীবন থেকে এতগুলো বছর কীভাবে চলে গেলে টেরই পাইনি। পড়ালেখার জন্য অনেক সময় ব্যয় হয়েছে। দেশের বাইরেও শিক্ষাজীবন কেটেছে। যে কারনে অনেকের চেয়ে আমি একটু পিছিয়ে গেছি। দেশের বাইরে যাওয়ার আগে যাদের সঙ্গে কাজ করেছি দেশে ফিরে দেখি তাঁরা অনেক বড় তারকা। তাঁদের সঙ্গে কাজ করতে গেলে অনেক ধাপ পার হওয়া লাগে। এ নিয়ে কোন আফসোস নেই। ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’ নাটকের এর কল্যানে অনেক মানুষ আমাকে নতুন করে আবিস্কার করেছে। ভালোবেসেছে। রাস্তায় দেখলে ‘অন্তরা বলে দৌড়ে আসে। এটা অনেক এনজয় করি। সৃষ্টিকর্তার প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা। নির্মাতা কাজল আরেফিন অমি, প্রযোজকের কাছে অনেক ঋনী। তাঁরা আমাকে একটা ভালো কাজের সুযোগ করে দিয়েছেন। মিডিয়া ছেড়ে গেলেও এখন কষ্ট কম হবে।
মন্তব্য করুন