
দুবাইয়ের মরুভূমিতে তমা মির্জা
অনেকে প্রশ্ন করেন- টাকা দিয়ে তুই কী করিস? আমি হেসে বলি, ঘুরে বেড়ানোর জন্য জমাই। এ কারণে আমার সঞ্চয় খুব কম। টাকা জমলেই ভ্রমণের পরিকল্পনা করি। এ কথা অনেকে বিশ্বাস করেন, কেউ আবার করেন না। যাঁরা করেন তাঁরা জানেন দেশ-বিদেশে ঘোরা আমার নেশায় পরিণত হয়েছে। ঘুরতে সবারই ভালো লাগে। সুন্দর এই সময়ে প্রিয় মানুষ পাশে থাকলে ভ্রমণটি আরও আনন্দদায়ক হয়। এই তো চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে একটি পুরস্কার বিতরণী আয়োজনে অংশ নিতে দুবাই গিয়েছিলাম। সংযুক্ত আরব আমিরাতের আলো ঝলমলে শহর দুবাই ঘুরে ঘুরে দারুণ কয়েকটি দিন কেটেছে। উঠেছিলাম দুবাইয়ের বিলাসবহুল হোটেল ফাইভ পাম জুমেইরিয়াহতে। তিন বছর আগেও আমি দুবাইয়ে গিয়েছিলাম। তবে এবার নতুন করে আবার দেখা হয়েছে। বুর্জ খলিফা, মিরাক্কেল গার্ডেন, গ্লোবাল ভিলেজসহ অনেক দর্শনীয় স্থানে গিয়ে দারুণ একটা সময় পার করেছি।
দুবাইয়ে গিয়ে মরুভূমিতে না গেলে চলে! মরুর বুকে ঘুরে বেড়িয়েছি। সামাজিক মাধ্যমে এর কিছু ছবিও দেখেছেন অনেকে। প্রথমবার যখন এসেছিলাম তখন এমন আবহাওয়া পাইনি। এবার আবহাওয়া ভালো থাকায় ঘুরেও আরাম পেয়েছি। দুবাইয়ে সাধারণত খুব গরম থাকে। এ কারণে দিনের বেলা বের হওয়া একটু মুশকিল। রাতে বের হয়ে যতটুক ঘোরা হয়। কিন্তু এই ট্যুরে দিনের বেলায়ও ঘুরেছি। সন্ধ্যার পর একটু ঠান্ডাও ছিল। দুবাইতে আমার কয়েকজন বন্ধু আছে। তাদের সঙ্গে অনেক আড্ডাবাজি হয়েছে। আমার মামাও থাকেন। তাঁর সঙ্গেও দেখা হয়েছে। সব মিলিয়ে এবারের সফরটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
দেশের বাইরে জীবনে প্রথম আমি থাইল্যান্ড গিয়েছিলাম। প্রথম সিনেমার দৃশ্যধারণের সুবাদে সেখানে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। শুটিং টিমের সঙ্গে দারুণ কিছু মুহূর্ত ছিল। পরিবারের সঙ্গে ভ্রমণ করতে বেশি পছন্দ করি। প্রথম ভ্রমণে মা ছিলেন সঙ্গে। তাঁকে নিয়ে ঘুরেছি। থাইল্যান্ড ভ্রমণের স্মৃতি ভোলার নয়।
জীবনে নানা দেশে যাওয়া হয়েছে। তবে বেশ কয়েকবার আমেরিকায় গিয়েছি। এক জায়গায় অনেকবার গেলে জায়গাগুলো পরিচিত হয়ে যায়। আমেরিকা অনেক বড়। দেখা যায়, আমেরিকা থেকেও অনেকের সব স্টেট ঘোরার অভিজ্ঞতা নেই। আমি প্রচুর শপিং করি। এটি সবাই কমবেশি জানে। আমেরিকায় ঘোরাঘুরি ও শপিং করতে ভীষণ ভালো লাগে। বাংলাদেশের মধ্যে সিলেট, শ্রীমঙ্গল আমার খুব প্রিয়। তবে আমার নানুবাড়ি বাগেরহাটে গেলে অন্য রকম প্রশান্তি পাই।
মন্তব্য করুন