কাছের মানুষ পাশে থাকলে প্রিয় মুহূর্তগুলো অন্যরকম হয়ে ওঠে। এই তো কিছুদিন আগে স্বামী আশফাকুর রহমান রবিন ও কন্যা আরশিয়া উমায়জাকে নিয়ে সিডনি এসেছি। এই শহরে অনেকদিন ধরেই থাকেন কাছের মানুষ শাবনূর। আমি তাঁকে আপু ডাকি। সিডনি আসার পর শাবনূর আপা তাঁর বাসায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। কিন্তু সময়স্বল্পতার কারণে যাওয়া হয়নি। তবে এখানেই শেষ নয়। তিনি আমাকে চমকে দিয়ে নিজেই চলে এসেছিলেন আমার কাছে। আমি যে আত্মীয়ের বাসায় আছি, সেখানে তিনি এলেন। দীর্ঘদিন পর সেই মায়াময় মুখখানি দেখে মন ভালো হয়ে গেল। একেবারে পরীর মতো মনে হলো তাঁকে। কুশল বিনিময় হলো। আড্ডা শুধু নিজেদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখিনি। ভক্তদের ইচ্ছা ছিল আমাদের দু’জনকে একসঙ্গে দেখার। তাঁদের কৌতূহল মেটাতে শাবনূর আপু আমাকে নিয়ে লাইভে এসেছিলেন। খুশির ভাগ সবার মাঝে ছড়িয়ে দিতে সেই আড্ডার ভিডিও ভক্তদের মাঝে শেয়ার করেছি। সামাজিক মাধ্যমের কল্যাণে অনেকেই এটি দেখেছেন। আমার ও শাবনূর আপার মধ্যে দা-কুমড়ো সম্পর্ক আছে বলে অনেকেই মনে করেন। লাইভে এসে আমাদের সুসম্পর্কের কথা জানান দেন আপু। শাবনূর আপু আমার অনুপ্রেরণা। তিনি অভিনয়ের ইনস্টিটিউশন। এখনও অভিনয় করতে গেলে তাঁর কথা মনে পড়ে। একসঙ্গে অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছি। অনেক সহযোগিতাপরায়ণ একজন শিল্পী। তাঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি। এই তো সেদিনের কথা। এখনও চোখে জ্বলজ্বল করছে। তখন ইন্ডাস্ট্রিতে আমি নতুন। শাবনূর আপুর জন্য ইন্ডাস্ট্রিতে অনেক বকা খেয়েছি। যখনই শুটিং করতাম, পরিচালকরা বলতেন কি এক্সপ্রেশন দাও? শাবনূরের মতো করার চেষ্টা করো। তাঁর চোখ, ঠোঁট কথা বলে। এগুলো শুনে অনেক সময় কান্না করতাম। অনেকদিন একসঙ্গে অভিনয় করছি। এফডিসির সেই দিনগুলো খুব মিস করি। শাবনূর আপু বলেছেন, হয়তো অস্ট্রেলিয়ায় আমাদের একসঙ্গে সিনেমায় কাজ হবে। তবে দু’জনের সময় মিলিয়ে কাজ করা অনেক কঠিন। এটি সম্ভব কিনা–এ প্রশ্নের উত্তর সময়ই বলে দেবে।