মিয়ানমারে খনি এলাকায় চলছিল খোঁড়াখুঁড়ি। হঠাৎ বেরিয়ে আসে একটি অ্যাম্বার খণ্ড, যার মধ্যে দেখা যায় ফসিল বা জীবাশ্ম। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় জেলা হামটিতে পাওয়া এই অবশেষ নিয়ে আগ্রহ জাগে জীবাশ্মবিদদের। তারা পরীক্ষা করে জানান, এটি ১১ কোটি বছর আগের সরীসৃপের ফসিল। কিন্তু প্রচলিত বা এ যাবৎ আবিস্কার হওয়া কোনো প্রাণীর সঙ্গে এর হুবহু মিল নেই। এটি নতুন প্রজাতির টিকটিকির অবশেষ। যার নাম দেওয়া হয়েছে রেটিনোসরাস হামটিয়েনসিস। এরা ক্রেটাসিয়াস যুগের শুরুর দিকে এ অঞ্চলে বিচরণ করত। এই টিকটিকি আরুকারিয়া নামের একটি গাছের রেসিনে আটকা পড়েছিল। পরে সেই রেসিন অ্যাম্বারে পরিণত হয় এবং আটকেপড়া প্রাণীটি সেখানে ফসিল হয়ে যায় বলে ধারণা করা হচ্ছে। অ্যাম্বারের মধ্যে যে কোনো জীবাশ্ম সুরক্ষিত থাকে বলে দাবি করেছেন স্লোভাকিয়ার কমেনিয়াস ইউনিভার্সিটির গবেষক ড. আন্দ্রেজ সার্নাস্কি। তিনি বলেন, সাধারণত অ্যাম্বারের মধ্যে যেসব ফসিল পাওয়া যায় সেগুলো প্রায় অক্ষত থাকে। এগুলো থেকে সংশ্নিষ্ট প্রাণী সম্পর্কে অনেক

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়। অনেক সময় নরম টিস্যুগুলোও সুরক্ষিত থাকে। ভিলানোভা ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আরোন বাউয়ার বলেন, রেটিনোসরাস হামটিয়েনসিস এমন সময় এই অঞ্চলে বাস করত যখন এর আশপাশে ডাইনোসরের বিচরণ ছিল। সূত্র :সায়েন্স নিউজ।