ভারতের কর্ণাটকের এক যুবক তিনটি বিষধর কোবরা সাপ নিয়ে ‘স্টান্টবাজি’ করছিলেন। সেই স্টানবাজির দৃশ্য আবার ধারণ করা হচ্ছিল ভিডিও। উদ্দেশ্য নিজের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করা। কিন্তু এই ভিডিও ধারণ ঘটনার সমাপ্তি হয়েছে খুব খারাপভাবে। কারণ ওই তিনটির মধ্যে একটি বিষধর সাপ ওই যুবককে আক্রমণ করেছিল। 

ওই যুবকের নাম মাজ সাঈদ। কর্ণাটকের সির্সির বাসিন্দা এই যুবক সাপ নিয়ে প্রায়ই এমন করেন। অন্তত তার ইউটিউব চ্যানেল সে কথাই বলে। তবে তার ওই তিন কোবরা নিয়ে স্টানবাজির ভিডিও ধারণকে বিশেষজ্ঞরা ‘ভয়ঙ্কর’ আচরণ বলছেন। ভিডিওতে দেখা যায়, তিনি তিনটি সাপের সামনে বসে কখনো সাপের লেজ নাড়ছেন, কখনো সাপগুলোর সামনে হাত নাড়ছেন। যেন তিনি সাপগুলোকে বশীভূত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু তার এই হাত নাড়ানাড়ি আর লেজ নাড়াকে সাপগুলো হুমকি হিসেবে মনে করেছিল হয়তো, তাই তো একপর্যায়ে হঠাৎ একটি সাপ ওই যুবকের বাম পায়ের হাঁটুতে ছোবল মেরে বসে।  খবর এনডিটিভির।  

সাঈদের ইউটিউব চ্যানেলে এরকম অনেক ভিডিও রয়েছে। এবার তিনি বিপদে পড়েছেন। যদিও এবারের ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। কিন্তু এভাবে হয়তো ভাইরাল হতে চাননি তিনি। ভিডিওর শেষ দিকে দেখা যায়, সাপটি তার হাঁটুতে ছোবল বসিয়েছে। এমনকি তিনি যখন সাপের কামড় ছাড়াতে চাচ্ছিলেন তখনও সাপটি তার অবস্থান ধরে রাখতে দেখা যায়। 

ভিডিওটি শেয়ার করে সুসান্ত নন্দা নামে ভারতের এক বন কর্মকর্তা ওই যুবকের সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, সাপকে বশীভূত করার এটি ভয়ঙ্কর পন্থা…সাপটি তার নাড়াচাড়াকে হুমকি মনে করে সেটি অনুসরণ করছিল। এক সময় তাই সাপটি প্রাণঘাতী প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। 

বিষধর সাপের কমন নাম হলো কোবরা এবং এই নামে পরিচিত সব সাপই বিষধর হয়। সাপের ছোবলের পর তিনি ৪৬ শিশি অ্যান্টি ভেনম ডোজ নিয়েছেন বলে এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে। তিনি এখন কর্ণাটকের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।