নারীবাদী লেখিকা তসলিমা নাসরিনের ৬০ তম জন্মদিন উদযাপিত হয়েছে। আজ শুক্রবার রাজধানীর পরীবাগ সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে তার অনুরাগীরা কেক কেটে নির্বাসিত এ সাহিত্যিকের জন্মদিন পালন করেন।

জন্মদিন পালন কক্ষে অনুরাগীদের ও অনুসারীদের ভিড় ছিল উপচেপড়া। এক ফাঁকে ১০ মিনিটের জন্য অনলাইনে লাইভে এসে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠানে যুক্ত হন লেখিকা। দেশে তার জন্মদিন পালনের জন্য সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান। এ সময় তিনি আবেগ-আপ্লুত হয়ে পড়েন।

সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে লিঙ্গসমতা, মুক্তচিন্তা, ধর্মনিরপেক্ষতা, মানবতাবাদ, মানবাধিকার, নারীর অধিকার ও সকল ধরনের মৌলবাদ ও অসাম্যের বিরুদ্ধে তার লেখনীতে সোচ্চার থাকবেন বলে দৃঢ়মত প্রকাশ করেন। অনুরাগীরা তাঁর দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন কামনা করে পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রে লেখিকার জন্মদিন পালনসন্ধ্যায় বক্তব্য রাখেন ইমতিয়াজ মাহমুদ, পারভেজ মাহমুদ, শতাব্দী ভব, মুশফিকা লাইজু, খোজিস্তা জোনাকি, বেণুবর্ণা অধিকারী, মেজাবাউদ্দিন আহমেদ, সুরভি রয়, মেহেরান সানজানা ও হৈমন্তি শুক্লা।

বক্তারা বলেন, তসলিমা নাসরীন একজন ব্যক্তি নন, একটি প্রতিষ্ঠান। তাঁর আদর্শ বুকে ঘরে ঘরে অগণিত তসলিমার জন্ম হয়েছে, যারা এক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে। তসলিমার দেহতত্ত্ব কবিতাটি পাঠ করেন স্বননের আবৃত্তিকার সুমনা শিল্পী। এরপর কেক কাটা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৯৩ সালে ‘লজ্জা’ নামক তাঁর উপন্যাসটিতে বাংলাদেশের মুসলিমদের দ্বারা সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের ওপর অত্যাচারের বর্ণনা করা হয়। এই উপন্যাসটি প্রকাশের পর অমর একুশে বই মেলায় সন্ত্রাসীরা তসলিমার ওপর শারীরিকভাবে নিগ্রহ করে। ‘লজ্জা’ নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি জানানো হয়।

১৯৬২ সালের ২৫ আগস্ট ময়মনসিংহ শহরে জন্মগ্রহণ করেন তসলিমা নাসরিন। ১৯৯৪ সালে তিনি দেশত্যাগ করেন। বর্তমানে ভারতে বসবাস করছেন।