যৌতুক এমন এক প্রথা যেখানে কনের পরিবার বিয়ের সময় বরের পরিবারকে উপহার বা টাকা দেয়। যৌতুকের মধ্যে নগদ অর্থ, গহনা, গৃহস্থালী সামগ্রী, সম্পত্তি এবং অন্যান্য মূল্যবান জিনিস অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে। তবে কোনো কোনো এলাকায় যৌতুককে নববধূর পরিবারকে নবদম্পতির নতুন জীবনে অবদান রাখার উপায় হিসেবে দেখা হয়।

যৌতুক প্রথা কখনও কখনও কনের পরিবারের উপর মারাত্মক চাপ তৈরি করে। যৌতুক নিয়ে বরের পরিবারের প্রত্যাশা পূরণ না হলে অনেক জায়গায় কনের সঙ্গে নিয়মিত দুর্ব্যবহার কিংবা তাকে মেরে ফেলা ঘটনাও দেখা যায়। অনেক দেশে যৌতুক নেওয়া-দেওয়া আইনত দণ্ডণীয় অপরাধ হলেও এখনও অনেক স্থানে এই প্রথা প্রচলিত।

ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী বিয়ের সময় যৌতুক নেওয়া অপরাধ। দোষী প্রমাণিত হলে ৭ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডেরও আইন রয়েছে। তারপরও দেশটির একাধিক প্রান্তে এখনও এই প্রথা প্রচলিত। চিরাচরিত প্রথার নাম করে পণ আদায়ের ধারা চলে আসছে রাজস্থানের নাগৌর জেলার ধিংসারা গ্রামে। এবার সেই গ্রামের বিশাল পরিমাণ যৌতুকের কথা প্রকাশ্যে এল। জানা গেলে, বোনের বিয়েতে সব মিলিয়ে ৮ কোটি রুপির 'যৌতুক' দিয়েছেন চার ভাই।  

নাগৌর জেলায় এ ধরনের ঘটনা নতুন নয়। তবে এর আগে এত বিশাল পরিমাণ যৌতুক কোনো কনেকে দেওয়া হয়নি।গত ২৬ মার্চ বোন ভানওয়ারী দেবীর বিয়েতে এই বিশাল পরিমাণে 'যৌতুক' দেন তার চার ভাই, অর্জুন রাম মেহরিয়া, ভগীরথ মেহরিয়া, উমেদ জি মেহরিয়া এবং প্রহ্লাদ মেহরিয়া। বোনের স্বামীকে উপহার হিসেবে মোট ৮ কোটি ৩১ লাখ টাকার নানা ‘উপহার’ তুলে দেন চার ভাই। সেই তালিকায় টাকা, গয়না থেকে শুরু করে রয়েছে জমি, ট্র্যাক্টরও।

জানা গেছে, নগদ ২ কোটি ২১ লাখ রুপি, ৪ কোটি টাকা মূল্যের ১০০ জমিসহ ১ কেজি স্বর্ণ, ১৪ কেজি রুপার গহনা দিয়েছেন ভাইয়েরা। পাশাপাশি বোনের বিয়ের খুশিতে গ্রামবাসীদের মধ্যে ৮০০ টি রুপোর কয়েনও বিলি করেছেন চার দাদা।

শুধু তাই নয়, ভাইয়েরা বরকে একটি স্কুটার এবং অন্যান্য উপহারও দেন। শত শত গরুর গাড়ি এবং উট ব্যবহার করে ধিংসারা গ্রাম থেকে রায়ধনু গ্রামে নিয়ে যাওয়া হয় সেসব উপহার সামগ্রী।