বৈশাখে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ জনজীবন। সূর্যের প্রখর তাপে সবার হাঁসফাঁস অবস্থা। দেশের কিছু এলাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস উঠে গেছে। রাজধানী ঢাকায়ও তাপমাত্রার পারদ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে। এই অবস্থায় শুধু ফ্যানের বাতাসে স্বস্তি পাওয়া মুশকিল হয়ে উঠছে। সারাদিনের ক্লান্তি নিয়ে বাড়ি ফিরে বিছানায় পিঠ ঠেকানোরও উপায় নেই। বিছানা গরম হয়ে থাকছে। মানুষ তাই একটু শান্তিতে ঘুমোতে এয়ার কন্ডিশনার কিনতে ভিড় করছেন দোকানে। কিন্তু এগুলোর দামও অনেকের নাগালের বাইরে। তাহলে কী করবেন? রাতে ঘুমোনোর আগে অল্প কয়েকটা মিশরীয় টিপস মেনে চলুন। তাহলেই এসি ছাড়াই এই তীব্র গরমে একটু স্বস্তি পেতে পারেন। দেখে নেওয়া যাক, কী সেই টিপস-

ন্যাচারাল ভেন্টিলেশনঘরে বাতাস চলাচল করতে না পারলে কোনোভাবেই স্বস্তি মিলবে না। তাই সবসময় খোলা জানালার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। বিকেলের পরই ঘরের সব জানালা খুলে রাখা দরকার। 

সাদা রঙের চাদরসাদা বা হালকা রংয়ের সুতির কাপড় বিছানার চাদর হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। কেননা এতে গরমবোধ কম হয় বলে মনে হয়। 

সুতির চাদরসিল্কের বদলে কটনের চাদর ব্যবহার করুন। এতে বিছানা ঠান্ডা থাকবে।

বিছানা রাখতে পারেন ফ্রিজেবন্ধ ব্যাগে বিছানার চাদর, বালিশের কভার ভরে তা রেফ্রিজারেটরে রেখে দেওয়া যেতে পারে। শোয়ার সময় সেগুলো পেতে নিলে আরাম লাগবে। আজকাল অবশ্য কুলিং বালিশ কিনতেও পাওয়া যায়।

ঘর হোক অন্ধকারঅপ্রয়োজনীয় আলো সন্ধ্যার পর থেকে নিভিয়ে রাখাই ভালো। তাতে ঘর ঠান্ডা থাকে।

ঘরের চারপাশে গাছপালা থাকুকবাড়ি ঠান্ডা রাখার জন্য ঘরের চারপাশে গাছপালা লাগাতে পারেন। ঘরের চারপাশে ঘাস বা গুল্মজাতীয় গাছপালা থাকলে ঘর ঠান্ডা থাকে।

গোসল করে ঘুমশোওয়ার আগে স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানিতে গোসল করুন। 

হাইড্রেটেড থাকুনঘুমোতে যাওয়ার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খান।

হালকা পর্দাগরমে ঘরে এমন পর্দা টাঙান, যাতে বাতাস চলাচলে বাধা না হয়। এতে বাইরের তাপ সবচেয়ে ভালো আটকানো যায়। ভিজে কাপড়ও জানালায় টাঙিয়ে রাখতে পারেন।

ভিজে কাপড়ে বিছানা মুছুনএকটি কাপড় বা তোয়ালে ভিজিয়ে নিন। তারপর সেই ভিজে কাপড় দিয়ে বিছানাটা ভালো করে মুছে নিন। এই ভিজে বিছানায় ঘুমোলে ঘুম ভালো হবে।