- মতামত
- শুধু অর্থ দিয়ে পরিবেশের ক্ষতিপূরণ সম্ভব?
জলবায়ু সম্মেলন
শুধু অর্থ দিয়ে পরিবেশের ক্ষতিপূরণ সম্ভব?

ইন্টারগভর্নমেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেইঞ্জের সর্বশেষ রিপোর্ট বলছে, পৃথিবীর দশা খারাপ হচ্ছে দিন দিন। কারণ প্রতিদিনই বায়ুমণ্ডলে জমছে টন টন গ্রিনহাউস গ্যাস। এর খারাপ প্রভাবেই পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে, যা এই গ্রহের দুর্দশার অন্যতম কারণ। ওই গ্যাসের কারণেই আবহাওয়ায় পরিবর্তন ঘটছে। দেখা দিচ্ছে খরা, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বায়ুমণ্ডলে উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় মেরু অঞ্চলের বরফ গলে পড়ছে। এতে উচ্চতা বেড়ে যাচ্ছে সমুদ্রপিঠের। মানুষ বসতি হারিয়ে উদ্বাস্তু হয়ে পড়ছে। বৃষ্টিবাদলের মৌসুমে বৃষ্টি হচ্ছে না। এর ফলে মানুষের সামাজিক-অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জীবনাচারে নেমে এসেছে অস্থিরতা।
এসবই জানে শিল্পোন্নত দেশগুলো। তারা সম্মেলন করে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পর্যায়ক্রমে সেই পথে তারা অগ্রসর হবে। তহবিল দিয়ে বিপর্যস্ত পরিবেশ রক্ষার জন্য এমনসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে, যাতে আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের দুর্দশা ধীরে ধীরে কমে আসে। দরিদ্র, স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশই মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়েছে। জলবায়ু সম্মেলনে ওই গরিব দেশগুলোর ক্ষতি প্রতিরোধেই মূলত আলাপ-আলোচনা হবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য অর্থ দেবে ধনী দেশগুলো। দরিদ্র দেশের সরকারও একটি অংশের দায়িত্ব নেবে। এই লক্ষ্যেই স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ৩১ অক্টোবর শুরু হয়েছে জাতিসংঘের কপ২৬ সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বিশ্বনেতারা, সেই সঙ্গে থাকছেন পরিবেশকর্মী ও সাংবাদিকরা। এই সম্মেলন পর্যালোচনা করতে তারা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আগের কপ সম্মেলনে এবং প্যারিস চুক্তির সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে কতটা পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার পর্যালোচনা। সেই পর্যালোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় হলো নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছে কিনা। এর প্রধান দায়িত্ব হলো ক্ষতির মুখে পড়া গরিব দেশগুলোতে আর্থিক অনুদান ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া, যাতে জলবায়ুর কুপ্রভাব মোকাবিলায় তারা কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে। সেই বিনিয়োগের ফলে পৃথিবীর দরিদ্র ও সমুদ্রপাড়ের স্বল্পোন্নত/উন্নয়নশীল দেশগুলো ক্ষতি কতটা পুষিয়ে উঠতে পেরেছে, সেটাও পর্যালোচনা করে দেখবে। ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সম্মেলন চলবে।
২০১৫ সালে প্যারিস সম্মেলনে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছিলেন বিশ্বনেতারা। বলা হয়েছিল ২১০০ সাল নাগাদ তারা উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির নিচে কমিয়ে আনবেন। লক্ষ্যটি পুনর্বিবেচনা করে তারা বলছেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ২০৬০ সালের মধ্যে কমিয়ে আনবেন শূন্যের কোঠায়। কিন্তু সেই কমিয়ে আনার জন্য যেসব অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না। ২০২০ সালের মধ্যে শিল্পোন্নত দেশগুলো ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। জলবায়ুর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং জনসাধারণের জীবন বাঁচাতে কয়েকটি ফান্ড সৃষ্টি করেছে তারা। ফান্ডগুলো হচ্ছে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড [জিসিএফ], লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রি ফান্ড, অ্যাডাপটেশন ফান্ড ও দ্বিপক্ষীয় অর্থায়ন। সেইসব ফান্ডেই তাদের দেওয়া অর্থ জমা হওয়ার কথা। জিসিএফের মাধ্যমে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে বেশি অর্থ দেওয়ার কথা। প্রকল্প উপস্থাপনের পর ওইসব ফান্ডের পরিচালকরা এমন সব প্রশ্ন তোলেন এবং তার জবাব চান যে মনে হয় তারা ফান্ড দিতে গড়িমসি করছেন। এই গড়িমসির কারণ কী?
বাংলাদেশ ২০১০ সালে জলবায়ু ট্রাস্ট করেছে। ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ সরকার ওই ফান্ডে দিয়েছে। উভয়পক্ষের অর্থই জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ডে জমা হয়। তারপর সেই ফান্ড পরিকল্পিত প্রজেক্টের জন্য অবমুক্ত করা হয়। এর মধ্যেই বাংলাদেশে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।
একটি বিষয়ে আমরা এখনও পরিপূর্ণভাবে জানি না যে, শিল্পোন্নত দেশগুলো গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনতে কোন ধরনের প্রাযুক্তিক জ্ঞান ব্যবহার করছে বা সেই টেকনিক্যাল জ্ঞান উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে হস্তান্তর করছে কিনা। ধরা যাক, আমাদের উপকূলীয় এলাকায় অতিমাত্রায় বিধ্বংসী সামুদ্রিক ঝড় হওয়ায় কারণে জনজীবন বিপর্যস্তই কেবল হয় না, ভূমিধস থেকে শুরু করে উপকূলের নদনদীতে ঢুকে যায় লবণাক্ত পানি, যা বসতিদের উদ্বাস্তুতে পরিণত করে। ৭/৮ বছর আগে ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে আজও পুনর্বাসন সম্ভব হয়নি। উপকূলীয় জীবনে এমন দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য এখনও টেকসই কোনো পদ্ধতি আমাদের জানা নেই। এতে করে আমাদের সামাজিক সংগঠনের চেহারা পাল্টে যাচ্ছে। এই ক্ষতি পূরণে কোন ধরনের প্রাযুক্তিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদের প্রয়োজন, তার সরবরাহও সুনিশ্চিত করতে হবে। শুধু অর্থ দিয়ে কি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি পোষানো যায়?
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান রোডিয়াম গ্রুপের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বিশ্বে নিঃসৃত গ্রিনহাউস গ্যাসের ২৭ শতাংশ নিঃসরণ করছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র নিঃসরণ করেছে ১১ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস। ভারত ৬ দশমিক ৬ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যদি রাজনৈতিকভাবে সমঝোতায় না পৌঁছায়, তাহলে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামিয়ে আনা যাবে না। ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে বিশ্বনেতারা এই গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু গত ৫/৬ বছরে পরিবেশ রক্ষায় তাদের চিন্তার তেমন কোনো হেরফের হয়নি।
কবি ও সাংবাদিক
এসবই জানে শিল্পোন্নত দেশগুলো। তারা সম্মেলন করে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। পর্যায়ক্রমে সেই পথে তারা অগ্রসর হবে। তহবিল দিয়ে বিপর্যস্ত পরিবেশ রক্ষার জন্য এমনসব প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে, যাতে আমাদের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জীবনের দুর্দশা ধীরে ধীরে কমে আসে। দরিদ্র, স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশই মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের সরাসরি ক্ষতির মুখে পড়েছে। জলবায়ু সম্মেলনে ওই গরিব দেশগুলোর ক্ষতি প্রতিরোধেই মূলত আলাপ-আলোচনা হবে এবং সিদ্ধান্ত নেবে। সেই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য অর্থ দেবে ধনী দেশগুলো। দরিদ্র দেশের সরকারও একটি অংশের দায়িত্ব নেবে। এই লক্ষ্যেই স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে ৩১ অক্টোবর শুরু হয়েছে জাতিসংঘের কপ২৬ সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বিশ্বনেতারা, সেই সঙ্গে থাকছেন পরিবেশকর্মী ও সাংবাদিকরা। এই সম্মেলন পর্যালোচনা করতে তারা যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আগের কপ সম্মেলনে এবং প্যারিস চুক্তির সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নে কতটা পদক্ষেপ নিয়েছেন, তার পর্যালোচনা। সেই পর্যালোচনার অন্যতম প্রধান বিষয় হলো নিজেদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করেছে কিনা। এর প্রধান দায়িত্ব হলো ক্ষতির মুখে পড়া গরিব দেশগুলোতে আর্থিক অনুদান ও স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া, যাতে জলবায়ুর কুপ্রভাব মোকাবিলায় তারা কার্যকর ভূমিকা নিতে পারে। সেই বিনিয়োগের ফলে পৃথিবীর দরিদ্র ও সমুদ্রপাড়ের স্বল্পোন্নত/উন্নয়নশীল দেশগুলো ক্ষতি কতটা পুষিয়ে উঠতে পেরেছে, সেটাও পর্যালোচনা করে দেখবে। ৩১ অক্টোবর থেকে ১২ নভেম্বর পর্যন্ত সম্মেলন চলবে।
২০১৫ সালে প্যারিস সম্মেলনে একটি চুক্তিতে উপনীত হয়েছিলেন বিশ্বনেতারা। বলা হয়েছিল ২১০০ সাল নাগাদ তারা উষ্ণতা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির নিচে কমিয়ে আনবেন। লক্ষ্যটি পুনর্বিবেচনা করে তারা বলছেন, গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ ২০৬০ সালের মধ্যে কমিয়ে আনবেন শূন্যের কোঠায়। কিন্তু সেই কমিয়ে আনার জন্য যেসব অর্থনৈতিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল, তা বাস্তবায়নে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী অর্থ পাওয়া যাচ্ছে না। ২০২০ সালের মধ্যে শিল্পোন্নত দেশগুলো ১০০ বিলিয়ন ডলার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। জলবায়ুর ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং জনসাধারণের জীবন বাঁচাতে কয়েকটি ফান্ড সৃষ্টি করেছে তারা। ফান্ডগুলো হচ্ছে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড [জিসিএফ], লিস্ট ডেভেলপড কান্ট্রি ফান্ড, অ্যাডাপটেশন ফান্ড ও দ্বিপক্ষীয় অর্থায়ন। সেইসব ফান্ডেই তাদের দেওয়া অর্থ জমা হওয়ার কথা। জিসিএফের মাধ্যমে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে বেশি অর্থ দেওয়ার কথা। প্রকল্প উপস্থাপনের পর ওইসব ফান্ডের পরিচালকরা এমন সব প্রশ্ন তোলেন এবং তার জবাব চান যে মনে হয় তারা ফান্ড দিতে গড়িমসি করছেন। এই গড়িমসির কারণ কী?
বাংলাদেশ ২০১০ সালে জলবায়ু ট্রাস্ট করেছে। ৪৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ সরকার ওই ফান্ডে দিয়েছে। উভয়পক্ষের অর্থই জলবায়ু পরিবর্তন ফান্ডে জমা হয়। তারপর সেই ফান্ড পরিকল্পিত প্রজেক্টের জন্য অবমুক্ত করা হয়। এর মধ্যেই বাংলাদেশে বেশ কিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং আরও কয়েকটি প্রকল্প বাস্তবায়নের পথে রয়েছে।
একটি বিষয়ে আমরা এখনও পরিপূর্ণভাবে জানি না যে, শিল্পোন্নত দেশগুলো গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনতে কোন ধরনের প্রাযুক্তিক জ্ঞান ব্যবহার করছে বা সেই টেকনিক্যাল জ্ঞান উন্নয়নশীল বা স্বল্পোন্নত দেশগুলোকে হস্তান্তর করছে কিনা। ধরা যাক, আমাদের উপকূলীয় এলাকায় অতিমাত্রায় বিধ্বংসী সামুদ্রিক ঝড় হওয়ায় কারণে জনজীবন বিপর্যস্তই কেবল হয় না, ভূমিধস থেকে শুরু করে উপকূলের নদনদীতে ঢুকে যায় লবণাক্ত পানি, যা বসতিদের উদ্বাস্তুতে পরিণত করে। ৭/৮ বছর আগে ঘূর্ণিঝড় আইলার আঘাতে বাস্তুচ্যুত পরিবারগুলোকে আজও পুনর্বাসন সম্ভব হয়নি। উপকূলীয় জীবনে এমন দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য এখনও টেকসই কোনো পদ্ধতি আমাদের জানা নেই। এতে করে আমাদের সামাজিক সংগঠনের চেহারা পাল্টে যাচ্ছে। এই ক্ষতি পূরণে কোন ধরনের প্রাযুক্তিক জ্ঞান ও প্রযুক্তি আমাদের প্রয়োজন, তার সরবরাহও সুনিশ্চিত করতে হবে। শুধু অর্থ দিয়ে কি জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি পোষানো যায়?
যুক্তরাষ্ট্রের গবেষণা প্রতিষ্ঠান রোডিয়াম গ্রুপের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে বিশ্বে নিঃসৃত গ্রিনহাউস গ্যাসের ২৭ শতাংশ নিঃসরণ করছে চীন। যুক্তরাষ্ট্র নিঃসরণ করেছে ১১ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস। ভারত ৬ দশমিক ৬ শতাংশ গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণ করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যদি রাজনৈতিকভাবে সমঝোতায় না পৌঁছায়, তাহলে গ্রিনহাউস গ্যাস নিঃসরণে তাপমাত্রা দুই ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামিয়ে আনা যাবে না। ২০১৫ সালে প্যারিস চুক্তিতে বিশ্বনেতারা এই গ্যাস নিঃসরণ কমিয়ে আনতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু গত ৫/৬ বছরে পরিবেশ রক্ষায় তাদের চিন্তার তেমন কোনো হেরফের হয়নি।
কবি ও সাংবাদিক
মন্তব্য করুন