সাক্ষাৎকার: শ্রীরাধা দত্ত
নির্বাচনে অনিশ্চয়তা ছিল না, প্রতিদ্বন্দ্বিতাও ছিল না

শ্রীরাধা দত্ত
সাক্ষাৎকার নিয়েছেন ফারুক ওয়াসিফ
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ | ০০:২৯
শ্রীরাধা দত্ত ভারতের জিন্দাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক। একই সঙ্গে সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সিনিয়র রিসার্চ ফেলো। তিনি কাজ করেছেন সিঙ্গাপুর বিশ্ববিদ্যালয়, ভারতের বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশনসহ নামজাদা বিভিন্ন থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সদস্য হিসেবে। সিঙ্গাপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রকাশিত হতে যাচ্ছে তাঁর নতুন বই ‘বাংলাদেশ অন এ নিউ জার্নি: মুভিং বিয়ন্ড দ্য রিজিওনাল আইডেন্টিটি’। কয়েক বছর ধরে ভারতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনীতি ও ভূরাজনৈতিক অবস্থান নিয়ে তিনি তাঁর বিশ্লেষণ হাজির করে গেছেন। সম্প্রতি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল নিয়ে তাঁর সঙ্গে সমকালের আলাপ হয়
সমকাল: বাংলাদেশে আরেকটি নির্বাচন হয়ে গেল। এর আগে দেশে-বিদেশে নির্বাচনের পরিস্থিতি নিয়ে অনেক তর্ক-বিতর্কও হলো। আপনিও তাতে অংশ নিয়েছিলেন। এখন নির্বাচনটাকে আপনার কতটা গ্রহণযোগ্য মনে হলো?
শ্রীরাধা দত্ত: সরকারের ভাষ্যমতে, ৪০ শতাংশ ভোট কাস্টিং হয়েছে। কিন্তু বিদেশি পর্যবেক্ষক ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবরটা একটু ভিন্ন ধরনের। তাদের মতে, ২৭-২৮ শতাংশের বেশি ভোট পড়েনি। তবে ঢাকার মধ্যে একটু কমই ভোট পড়ে। গ্রামীণ অঞ্চলে বেশি হয়। ভোট কাস্টিংয়ের হার যাই হোক না কেন একটা বিষয় মানুষের কাছে জানা ছিল। সেটা হলো, আমি ভোট দিই বা না দিই, তাতে কোনো পরিবর্তন হবে না। সুতরাং আমি বাইরে গিয়ে ভোট দিতে যাব কেন? হয়তো অনেকেই এটা মনে করেছেন এবং নির্বাচনের দিনে এর প্রভাব পড়েছে। এবারের নির্বাচনে একদিকে যেমন অনিশ্চয়তা ছিল না, আবার প্রতিদ্বন্দ্বিতাও ছিল না। তবে আওয়ামী লীগের সমর্থকদের মধ্যে একটা দ্বন্দ্ব চলেছে নিশ্চয়।
সমকাল: এই ধরনের নির্বাচন যদি দক্ষিণ এশিয়ার বাইরে হতো, তাহলে আপনি বিষয়টি কীভাবে দেখতেন?
শ্রীরাধা দত্ত: যদি এ ধরনের নির্বাচনী ফর্মুলা দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের কােনো দেশে প্রয়োগ করা হতো, তাহলে অবশ্যই আমরা একে সমালোচনার দৃষ্টিতেই দেখতাম। দেখুন, বিষয়টি নিয়ে আমি অনেক দিন ধরে লিখছি। যেটা ঘটেছে সেটা অনিবার্য ছিল। বাংলাদেশে রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে শাসন করে আসছে। তাদের দু’পক্ষেরই শক্তপোক্ত গ্রহণযোগ্যতা আছে। তবে এবারের নির্বাচন যেভাবে সাজানো হয়েছে, তাতে মনে হয় বিএনপিকে একেবারে থামিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাহলে কারা থাকল? এত বছর ধরে শেখ হাসিনা আছেন, মুজিবের পরে তিনি আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন। সেই ধারাবাহিকতা হয়তো এখনও চলছে। একই সঙ্গে ভারত, বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার সব দেশের জনসংখ্যার আকার যে রকম, সেখানে নতুন নেতৃত্ব তৈরি না-হওয়া একটা অদ্ভুত ঘটনা। বাস্তবে পুরো দক্ষিণ এশিয়ায় এক ধরনের অসুস্থ রাজনীতি চলছে।
সমকাল: দেশে যদি বিশেষ ধরনের ‘গণতন্ত্র’ থাকে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতাও কমতে থাকে, তাহলে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নতুন নেতৃত্ব কি জনগণের ভেতর থেকে উঠে আসতে পারে?
শ্রীরাধা দত্ত: সেটা ঠিকই বলেছেন। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশে এ ধরনের অবস্থা চলছে। কথা বলতে না দেওয়া, নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা নেওয়া ইত্যাদি। কিন্তু আমি এটাও বিশ্বাস করি, রাজনীতির মাঠকে আসলে সম্পূর্ণভাবে রুখে দেওয়া যায় না। কোনো না কোনো ফাঁকফোকর থেকে নেতৃত্ব বেরিয়ে আসে। যেমন বাংলাদেশের সিভিল সোসাইটির ওপর আমি খুব ভরসা রাখি। যেমন আমরা এরশাদ পতনের ঘটনাটি দেখতে পারি। ষাটের দশকের কথাও বিবেচনা করা যেতে পারে। যদিও এখনকার পরিস্থিতি ঠিক সে রকম নয়। একটা রাজনৈতিক দল বা একজন প্রধানমন্ত্রী যদি ১৫ বছর একটি প্রশাসনিক পদে থাকেন, স্বাভাবিকভাবে তাঁর নিয়ন্ত্রণ একটু বেশিই হয়ে যায়। স্বাভাবিকভাবেই এটা হতে বাধ্য।
সমকাল: এই অবস্থায় বাংলাদেশ বিশ্বরাজনীতির আলোচনার খোরাক হয়েছে। একটি হলো পশ্চিমা ব্লক, যারা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল। অন্যদিকে ভারত, রাশিয়া ও চীন এক অক্ষে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের বিরোধিতা করেছে। সেদিক থেকে বলা চলে যে, পশ্চিমা ব্লকটি পরাজিত। আপনার মন্তব্য কী?
শ্রীরাধা দত্ত: মূলত যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন সবাই নিজেদের স্বার্থটাই দেখছে। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার ইস্যুটি একেবারে ছেড়ে দেবে বলে মনে হয় না। কিন্তু আমরা মনে করি, শেখ হাসিনা যতদিন আছেন ততদিন স্থিতিশীল পরিবেশ বিরাজ করবে, ধর্মনিরপেক্ষতা বিরাজ করবে। তিনি শাসন ক্ষমতায় থাকলে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও বেশি শক্তিশালী হবে। ২০০১ সাল থেকে আমরা দেখেছি আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য দল ক্ষমতায় এলে কী ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। তা ছাড়া বিএনপি নিজেও জায়গা করে নিতে পারছে না। আওয়ামী লীগ যেসব উন্নয়নমূলক কাজ করেছে, এর সবই ঠিক আছে। কিন্তু দেশটি অর্থনৈতিকভাবে এখন বেশ সংকটের মুখোমুখি। আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিএনপির অভিযোগগুলো অনেক ক্ষেত্রে যুক্তিযুক্ত। আওয়ামী লীগ কিছু কিছু সিদ্ধান্ত ভিন্নভাবে নিতে পারত। কিন্তু বাংলাদেশ নিয়ে বিএনপির কোনো ভিশন আছে বলে দেখিনি। যেমন দেশ হিসেবে ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী। দুই দেশের সীমান্ত সুবিধা, যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে বিএনপির একটা বক্তৃতাও চোখে পড়েনি। বাংলাদেশকে তারা কোন জায়গায় নিয়ে যাবে তার কোনো পরিকল্পনা আমাদের চোখে পড়েনি। বর্তমানে কোনো দেশই একলা থাকতে পারে না। যৌথ সম্পর্কের দরকার আছে। সেই জায়গায় বাংলাদেশে ভারতের একটা ভূমিকা আছেই। কিন্তু আমাদের সঙ্গে বিএনপির তেমন কোনো আলাপ হয় না। তাদের অবস্থানও রাজনৈতিকভাবে তেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল না। এই কারণে বোধহয় ভারতবর্ষ শেখ হাসিনার ওপর অনেকটা নির্ভরশীল। তিনি যেভাবে এগিয়ে নিতে পেরেছেন, আর কেউ বোধহয় সেভাবে করবেন না। তবে আপনি যে কথাটি বলেছেন, মানবাধিকার লঙ্ঘনের কারণে সে ধরনের নতুন নেতৃত্ব উঠে আসার সম্ভাবনাও ছিল না। ভূরাজনীতিতে আমার মনে হয়, দক্ষিণ এশিয়ার ব্যাপারে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ভিন্ন নয়। চীনের সঙ্গে আমাদের বিরোধিতা রয়েছে। এই নির্বাচনকে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র একেবারে ভিন্ন চোখে দেখেছে। তবে এ ক্ষেত্রে দুটি দেশের জাতীয় স্বার্থ ছিল। অর্থাৎ বাংলাদেশের নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশ দুটির মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলেও ভবিষ্যতে তারা দক্ষিণ এশিয়ায় একই জায়গায় অবস্থান করবে।
সমকাল: ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোতে বলা হচ্ছে, নির্বাচনপরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ আরও বেশি চীনের বলয়ে চলে যাচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ও চীনের যে ধরনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক, তাতে কার্যত কোন দেশটি এগিয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে?
শ্রীরাধা দত্ত: আমি ‘বাংলাদেশ অন এ নিউ জার্নি: মুভিং বিয়ন্ড দ্য রিজিওনাল আইডেন্টিটি’ নামে একটি বই সম্পাদনা করেছি। সেখানে আমরা এসব ইস্যু তুলে এনেছি। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের কাজ করতেই হবে। একইভাবে ভারতকেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রত্যেকে প্রত্যেকের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেশী রাষ্ট্র। কিন্তু চীনের সঙ্গে পঁচাত্তরের পর যে সম্পর্কটি গড়ে উঠেছে, সেই জায়গাটা বোধহয় আমরা নড়াতে পারব না। আপনি এমন কোনো সেক্টর খুঁজে পাবেন না, যেখানে চীন কাজ করেনি। প্রতিরক্ষার কথা আমরা সবাই জানি। তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বহুমুখী অবকাঠামো প্রকল্প। সামনের দিনগুলোতে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। তবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো থাকবে। চীনের সঙ্গে প্রকল্পগুলো দ্রুত শেষ হয়, ভারতের বেলায় কিছুটা ঢিলেমি দেখা যায়। আমাদের আমলাতান্ত্রিক একটা সমস্যা থাকেই। ভারত ও চীনের ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি একটু আলাদা। চীনের সঙ্গে বিভিন্ন ঋণ চুক্তি হয়েছে। কর্ণফুলী, পদ্মা রেলওয়ে প্রকল্প ইত্যাদি। আমার জানামতে, ২০২৪ সালের পর থেকে এসব ঋণ পরিশোধ করা শুরু হবে। ঋণ পরিশোধের সময় হয়তো বাড়তে পারে, তবে চীনকে ঋণ পরিশোধ করতেই হবে। জাপান ও ভারত থেকেও ঋণ নেওয়া হয়েছে। চীনের তুলনায় ভারতের ঋণের ক্ষেত্রে চাপ অনেক কম। এর মানে এই নয় যে, বাংলাদেশে শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি হবে। শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, চীন, রাশিয়াসহ সবার সঙ্গে দারুণভাবে সম্পর্ক চালিয়ে গেছেন। সে জন্য বাংলাদেশকে অভিবাদন জানাতে হয়। তবে বর্তমানের অর্থনৈতিক সংকটের কারণে মনে হয়, চীন সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবে।
সমকাল: ’৯০-এর পরে বাংলাদেশে এক ধরনের উদার মানসিকতা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এখন বাংলাদেশের জনমত অপমানিত ও ক্ষুব্ধ। এর রাজনৈতিক পরিণতি কী হতে পারে বলে মনে করেন?
শ্রীরাধা দত্ত: বাংলাদেশে আওয়ামীবিরোধী পক্ষগুলো আরও বেশি ‘অ্যান্টি-ইন্ডিয়া’ হয়ে যাচ্ছে। অনেকে মনে করছেন, ২০১৪ সালে ভারতের সমর্থন ছিল বলে আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় এসেছিল। এসব কারণে ভারত-বিরোধিতা আরও বেশি বেড়েছে। এবারের নির্বাচন ঘিরে আওয়ামী লীগের মধ্যে যে বিভাজন ঘটছে, তা ভারতের ওপরেও পড়বে। তবে আমি বলব, এ সময় ভারতের বিকল্পই বা কী ছিল? তবে সুদূরবর্তী সময়ে এটার পরিণতি ভারতের জন্য ভালো হবে না বলে আমার মনে হয়। কেননা, এসব বাস্তবতায় আওয়ামী লীগের মধ্যে যে অংশটি ভারতবিরোধী ছিল, তারা আরও বেশি তীব্র হচ্ছে।
সমকাল: আপনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞার পদক্ষেপ থেকে বেরিয়ে আসবে না। এটা কীসের ভিত্তিতে বলছেন এবং এর ফলে বাংলাদেশের কী কী অসুবিধা হতে পারে?
শ্রীরাধা দত্ত: দেখুন, যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বেশ কিছু বিবৃতি এসেছে। আমার ধারণা, এতদিন ধরে তারা এত কিছু বলে এসেছে, তাই একদম সবকিছু ছেড়ে দেবে বলে মনে হচ্ছে না। যেমন সরকারি দল বিএনপির বিরুদ্ধে যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা একদম ঠিক হয়নি। আওয়ামী লীগ ২০১২, ২০১৩ সালের মামলা সামনে এনে বিএনপি নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। এগুলো নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশ্ন তুলেছে। তা ছাড়া কিছু কিছু ক্ষেত্রে সিকিউরিটির ব্যাপারে তাদের বক্তব্য তো আছেই। গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের কিছু কথাবার্তা থাকবেই বলে মনে হয়। একবারে সবকিছু মেনে নিয়ে চুপ থাকবে, এমন হবে না। তবে নির্বাচনের ফল তাদের গ্রহণ করতেই হবে। কিন্তু একটা চাপ থাকবেই। কারণ বাংলাদেশের দুর্বল জায়গাগুলো তাদের জানা আছে। সুতরাং একেবারে ছেড়ে দেবে বলে মনে হয় না। সারা দুনিয়া নির্বাচন মেনে নিচ্ছে; যুক্তরাষ্ট্র একা কী করবে? নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করার ক্ষেত্রে অন্তত কাগজ-কলমে যা করার কথা, তা বাংলাদেশ করেছে। পুরো প্রক্রিয়াটি সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। তাহলে আপনি প্রশ্নই বা তুলবেন কীভাবে? আমরা সবাই হয়তো বুঝতে পারি, অনেক কিছু সাজানো। কাগজপত্রে তো সেটা দেখা যায় না। আমার ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র এই ফলাফল মেনে নেবে। কিন্তু মানবাধিকার, গণমাধ্যম ও গুমের যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেসবের ব্যাপারে চাপ দেবে।
সমকাল: সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শ্রীরাধা দত্ত: সমকালকেও ধন্যবাদ।