
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করতে অনেক সময় ব্যয় হচ্ছে। এত দেরি হওয়া কাম্য নয়। আশা করি, দ্রুত তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ হবে। সাক্ষ্য-প্রমাণের ভেতর দিয়ে যা আসবে, তদন্ত কর্মকর্তা সেটা উপস্থাপন করবেন। এ ছাড়া তদন্তের নানা প্রক্রিয়া থাকে। যেটুকু মামলার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ, তা আদালতে উপস্থাপন করবেন তদন্ত কর্মকর্তা। যে কোনো মামলার তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঘটনার পেছনে কী রয়েছে, তা বের করা। এরপর আদালতে এর বিচার হবে। দুনিয়ার সব জায়গায় একইভাবে তদন্ত হয়। হয়তো কারও প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বেশি, কারও কম। আর দীর্ঘ সময় কোনো মামলার তদন্ত শেষ না হলে আলামত নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে আলামত সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও সংশ্নিষ্টদের থাকে। আলামত নষ্ট হলে অপরাধীরা এর সুযোগ নিতে পারে। আর কোনো মামলার তদন্ত সঠিকভাবে সঠিক পথে এগোচ্ছে কিনা, এটা দেখভালের দায়িত্ব ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের। মামলার প্রশাসনিক তদারক তারা করে থাকেন। আবার আদালতেরও দায়িত্ব রয়েছে। তদন্ত শেষ করার জন্য সুনির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়ার এখতিয়ার আদালতের।
লেখক :পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক
লেখক :পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক
মন্তব্য করুন