- মতামত
- টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড: অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দূর হোক
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড: অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা দূর হোক
সরকারি বিপণন সংস্থা টিসিবি নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য কিনতে 'ফ্যামিলি কার্ড'-এর যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা নিঃসন্দেহে সাধুবাদযোগ্য। বস্তুত দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এ সময়ে দরিদ্র মানুষের কিছুটা স্বস্তি দিতে এমন পদক্ষেপ জরুরি ছিল। যদিও সোমবার সমকালের এক প্রতিবেদন অনুসারে, একযোগে দেশের সব জেলায় চালু হওয়া এ উদ্যোগের প্রথম দিন রোববার কয়েকটি স্থানে হট্টগোল, ধাক্কাধাক্কি, কার্ড বিতরণ ও ডিলার নিয়োগে অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। আমরা মনে করি, সঠিক তদারকি ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এসব সংকট কাটানো কঠিন হবে না।
আমরা দেখেছি, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দিন দিন টিসিবির ট্রাকের পেছনে সারি লম্বা হচ্ছে। এমনকি টিসিবির ট্রাকের লাইনে মধ্যবিত্তের দাঁড়ানোর খবরও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। চাহিদার চেয়ে ট্রাকগুলোতে পণ্য সরবরাহ কম থাকায় প্রতিদিন অনেক ক্রেতা পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাওয়ার ঘটনায় আমরা এ সম্পাদকীয় স্তম্ভেই টিসিবির কার্যক্রম সম্প্রসারণের তাগিদ দিয়ে আসছিলাম। এমন পরিস্থিতিতে টিসিবির মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ড চালুর সরকারি এ উদ্যোগে উপকারভোগীরা উপকৃত হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। এক কোটি পরিবারে এ কার্ডের মাধ্যমে অন্তত চার কোটি মানুষ এর সুফল ভোগ করবে। তবে বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, করোনার প্রভাব ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার কারণে অন্তত ছয়-সাত কোটি মানুষ সংকটে আছে। সে বিবেচনায় আরও অধিকসংখ্যক মানুষকে সুযোগ দিতে এ উদ্যোগের আওতা বাড়ানো প্রয়োজন।
টিসিবির তথ্য অনুসারে, একই কার্ডধারী দুই কিস্তিতে পণ্য কিনতে পারবেন।
প্রথম দফায় ৩০ মার্চ এবং দ্বিতীয় দফায় ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলা এ সুযোগে কার্ডধারী সুলভ মূল্যে চাল, ডাল, তেল, চিনি ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে পারবেন। আসন্ন রমজান সামনে রেখে পণ্য হিসেবে ছোলা ও খেজুরের অন্তর্ভুক্তিও ইতিবাচক। তবে আমরা মনে করি, কার্ডের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে টিসিবির পণ্য কেনার এ ব্যবস্থা স্থায়ীকরণের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রতিবেশী ভারতেও স্থায়ী রেশন কার্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। সরকার ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যের এ ব্যবস্থা সারাবছর অব্যাহত রাখলে একদিকে যেমন দরিদ্র মানুষ উপকৃত হবে; একই সঙ্গে বাজারেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ফ্যামিলি কার্ড চালুর প্রথম দিনেই যেসব অভিযোগ উঠছে, তার কিছু অব্যবস্থাপনাগত হলেও অনিয়মের বিষয়গুলো দুর্ভাগ্যজনক। বিশেষ করে কার্ড বিতরণ ও ডিলার নিয়োগে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে তাতে ভালো উদ্যোগটি কেবল প্রশ্নের সম্মুখীনই হবে না; একই সঙ্গে এর সুফলও যাদের পাওয়া উচিত, তাদের কাছে পৌঁছবে না। আমরা জানি, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় অন্য যেসব ভাতা রয়েছে সেগুলোতেও অনিয়মের ঘটনা ঘটছে। এমনকি করোনা মহামারির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ পরিবারকে যে প্রণোদনা দিয়েছেন, সেখানেও যাদের প্রয়োজন নেই এমন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক ওই নগদ পেয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে। বলাবাহুল্য, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের বিষয়কে সেভাবে দেখার সুযোগ নেই। সারাদেশের বিশাল এ কর্মযজ্ঞে আমরা বিশ্বাস করি, স্থানীয় প্রতিনিধিরা সংশ্নিষ্ট এলাকার সত্যিকারের অসচ্ছল মানুষকেই কার্ডটি দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। অসাধু কোনো ডিলার যেন এ ক্ষেত্রে নিয়োগ না পায়, তাও নিশ্চিত করা দরকার। আমরা প্রত্যাশা করি, যেসব ক্ষেত্রে অনিয়ম ঘটছে, প্রশাসন তা তদারকি করবে। একটি পরিবারে দুটি কার্ড পাওয়া কিংবা প্রকৃত দরিদ্র পরিবারের কেউই কার্ড পাবে না- উভয়ই অন্যায়। কার্ড নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাকের জন্য দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টিও কাম্য নয়।
টিসিবির পারিবারিক কার্ডসহ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যেমন অব্যাহত রাখতে হবে, একই সঙ্গে স্বাভাবিক বাজারেও নজর রাখা প্রয়োজন। দীর্ঘমেয়াদে বাজারে অস্থিতিশীলতার কারণে মধ্যবিত্তও যেভাবে চাপে পড়ছে, তা অস্বীকারের উপায় নেই। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে বাজারের স্থিতিশীলতা আনতেই হবে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সংশ্নিষ্টদের পণ্য যথাসময়ে নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাজারেও জোগান স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে সবাই উপকৃত হবে এবং জনমনে স্বস্তি আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
আমরা দেখেছি, বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় দিন দিন টিসিবির ট্রাকের পেছনে সারি লম্বা হচ্ছে। এমনকি টিসিবির ট্রাকের লাইনে মধ্যবিত্তের দাঁড়ানোর খবরও সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। চাহিদার চেয়ে ট্রাকগুলোতে পণ্য সরবরাহ কম থাকায় প্রতিদিন অনেক ক্রেতা পণ্য না পেয়ে খালি হাতে ফিরে যাওয়ার ঘটনায় আমরা এ সম্পাদকীয় স্তম্ভেই টিসিবির কার্যক্রম সম্প্রসারণের তাগিদ দিয়ে আসছিলাম। এমন পরিস্থিতিতে টিসিবির মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ড চালুর সরকারি এ উদ্যোগে উপকারভোগীরা উপকৃত হবে বলেই আমাদের বিশ্বাস। এক কোটি পরিবারে এ কার্ডের মাধ্যমে অন্তত চার কোটি মানুষ এর সুফল ভোগ করবে। তবে বিভিন্ন সমীক্ষা অনুযায়ী অর্থনীতিবিদরা বলেছেন, করোনার প্রভাব ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ার কারণে অন্তত ছয়-সাত কোটি মানুষ সংকটে আছে। সে বিবেচনায় আরও অধিকসংখ্যক মানুষকে সুযোগ দিতে এ উদ্যোগের আওতা বাড়ানো প্রয়োজন।
টিসিবির তথ্য অনুসারে, একই কার্ডধারী দুই কিস্তিতে পণ্য কিনতে পারবেন।
প্রথম দফায় ৩০ মার্চ এবং দ্বিতীয় দফায় ২০ এপ্রিল পর্যন্ত চলা এ সুযোগে কার্ডধারী সুলভ মূল্যে চাল, ডাল, তেল, চিনি ও পেঁয়াজের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কিনতে পারবেন। আসন্ন রমজান সামনে রেখে পণ্য হিসেবে ছোলা ও খেজুরের অন্তর্ভুক্তিও ইতিবাচক। তবে আমরা মনে করি, কার্ডের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে টিসিবির পণ্য কেনার এ ব্যবস্থা স্থায়ীকরণের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। প্রতিবেশী ভারতেও স্থায়ী রেশন কার্ডের ব্যবস্থা রয়েছে। সরকার ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সাশ্রয়ী মূল্যের এ ব্যবস্থা সারাবছর অব্যাহত রাখলে একদিকে যেমন দরিদ্র মানুষ উপকৃত হবে; একই সঙ্গে বাজারেও তার ইতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।
ফ্যামিলি কার্ড চালুর প্রথম দিনেই যেসব অভিযোগ উঠছে, তার কিছু অব্যবস্থাপনাগত হলেও অনিয়মের বিষয়গুলো দুর্ভাগ্যজনক। বিশেষ করে কার্ড বিতরণ ও ডিলার নিয়োগে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে তাতে ভালো উদ্যোগটি কেবল প্রশ্নের সম্মুখীনই হবে না; একই সঙ্গে এর সুফলও যাদের পাওয়া উচিত, তাদের কাছে পৌঁছবে না। আমরা জানি, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় অন্য যেসব ভাতা রয়েছে সেগুলোতেও অনিয়মের ঘটনা ঘটছে। এমনকি করোনা মহামারির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী ৫০ লাখ পরিবারকে যে প্রণোদনা দিয়েছেন, সেখানেও যাদের প্রয়োজন নেই এমন উল্লেখযোগ্য সংখ্যক লোক ওই নগদ পেয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে। বলাবাহুল্য, টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের বিষয়কে সেভাবে দেখার সুযোগ নেই। সারাদেশের বিশাল এ কর্মযজ্ঞে আমরা বিশ্বাস করি, স্থানীয় প্রতিনিধিরা সংশ্নিষ্ট এলাকার সত্যিকারের অসচ্ছল মানুষকেই কার্ডটি দেওয়ার ব্যবস্থা করছেন। অসাধু কোনো ডিলার যেন এ ক্ষেত্রে নিয়োগ না পায়, তাও নিশ্চিত করা দরকার। আমরা প্রত্যাশা করি, যেসব ক্ষেত্রে অনিয়ম ঘটছে, প্রশাসন তা তদারকি করবে। একটি পরিবারে দুটি কার্ড পাওয়া কিংবা প্রকৃত দরিদ্র পরিবারের কেউই কার্ড পাবে না- উভয়ই অন্যায়। কার্ড নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ট্রাকের জন্য দাঁড়িয়ে থাকার বিষয়টিও কাম্য নয়।
টিসিবির পারিবারিক কার্ডসহ সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যেমন অব্যাহত রাখতে হবে, একই সঙ্গে স্বাভাবিক বাজারেও নজর রাখা প্রয়োজন। দীর্ঘমেয়াদে বাজারে অস্থিতিশীলতার কারণে মধ্যবিত্তও যেভাবে চাপে পড়ছে, তা অস্বীকারের উপায় নেই। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ লাঘবে বাজারের স্থিতিশীলতা আনতেই হবে। টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে সংশ্নিষ্টদের পণ্য যথাসময়ে নিশ্চিত করার পাশাপাশি বাজারেও জোগান স্বাভাবিক রাখার মাধ্যমে সবাই উপকৃত হবে এবং জনমনে স্বস্তি আসবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
বিষয় : টিসিবির ফ্যামিলি কার্ড সম্পাদকীয়
মন্তব্য করুন