চৈত্রের তীব্র দাবদাহে নাকাল দেশবাসী। তাই তো অনেকেই একটু স্বস্তি পাওয়ার আশায় রাস্তার পাশে যত্রতত্র ভ্যানগাড়ি থেকে শরবত বা ঠান্ডা পানীয় পান করে থাকেন, যা ডায়রিয়ার মতো পানিবাহিত রোগ ছড়ানোর অন্যতম কারণ। এ ছাড়া খোলা ও বাসি খাবার খাওয়াও ডায়রিয়ার প্রকোপ বাড়িয়ে দেয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে ঢাকা ও এর আশপাশের কয়েকটি জেলার অবস্থা খুবই খারাপ। শুধু মার্চ মাসেই রেকর্ড পরিমাণ ডায়রিয়ার রোগী ঢাকার আইসিডিডিআর'বিসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে এবং এর সংখ্যা বেড়েই চলেছে, যাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আমাদের চিকিৎসক ও পরামর্শকবৃন্দ বারবার সকলকে এ বিষয়ে সতর্ক হতে বলছেন। সতর্কতাস্বরূপ যত্রতত্র-রাস্তাঘাটে খোলা ও বাসী খাবার ও পানীয় পান করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। এছাড়া এসব খোলা ও বাসি খাবার না খাওয়ার পাশাপাশি খাবার পানি ফুটিয়ে পান করতে বলছেন, যা আমাদের ডায়রিয়ার মতো মহামারির হাত থেকে বাঁচাতে পারে। তাই এ সম্পর্কিত সচেতনতার জন্য জরুরি ভিত্তিতে সরকারি ও বেসরকারি উভয়ভাবেই জোর প্রচার চালানো এখন অতীব প্রয়োজন।
আমরা জানি সরকার দেশে কলেরা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এসেছিল। কিন্তু অতিসম্প্রতি ডায়রিয়ায় আক্রান্ত বেশিরভাগের শরীরে কলেরার জীবাণু শনাক্ত হওয়ায় বিষয়টি নতুন করে ভাবিয়ে তুলছে। ঢাকা শহরে সুপেয় পানি সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষ ওয়াসার প্রধান কর্তাব্যক্তি অর্থাৎ ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানিয়েছেন তার বাসার পানির লাইনেও নাকি দুর্গন্ধ বের হয়। তাহলে সাধারণ নাগরিকদের অবস্থা আর বলার অবকাশ থাকে না। পানিতে কেন দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে তার কারণ অনুসন্ধান করে যত দ্রুত সম্ভব নাগরিকদের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করতে হবে। একইসঙ্গে হঠাৎ ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়ার সঠিক কারণ অনুসন্ধান করে প্রতিকারের পাশাপাশি প্রতিরোধ ব্যবস্থা আরও জোরদার করতে হবে।
শিক্ষার্থী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়