বর্তমানে রাজধানীসহ সারাদেশে এক আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং। কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কিশোর গ্যাং নামে অপরাধী চক্রকে। নানা অপরাধের পাশাপাশি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুন করতেও দ্বিধা করছে না এই বেপরোয়া গোষ্ঠী। দেশজুড়ে অপরাধজগতে এখন ভয়ংকর আতঙ্কের নাম কিশোর গ্যাং। দেশের জেলা-উপজেলা, ইউনিয়ন ও মহানগর এলাকায় নামধারী ও নামহীন নানা কিশোর গ্যাং সক্রিয়। রাজধানী ঢাকাতেই সক্রিয় ৫০ কিশোর গ্যাং। সারাদেশে এই গ্যাংয়ের সদস্য সংখ্যা ৫-৬ হাজার হবে।
গত তিন বছরে সারাদেশে কিশোর গ্যাংয়ের হাতে খুন হয়েছে অর্ধশতাধিক মানুষ। এসব খুনের ঘটনায় আসামি করা হয়েছে পাঁচ শতাধিক কিশোর গ্যাং সদস্যকে। গত তিন বছরে কিশোর গ্যাংয়ের দেড় শতাধিক সদস্যকে সাজা দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সাজাপ্রাপ্ত ও গ্রেপ্তার গ্যাংয়ের সদস্যদের রাখা হয়েছে তিনটি সংশোধনাগারে। ছোট ছোট অপরাধ থেকে শুরু করে হত্যা, ইভটিজিং, ধর্ষণ, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদকাসক্তি, মাদক, আগ্নেয়াস্ত্র সম্পর্কিত গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়েছে এই কিশোর গ্যাং। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে এর সদস্যদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেপরোয়াভাবে বেড়ে যাওয়ার ঘটনা আশঙ্কাজনক। এদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বেড়েই চলেছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের নানামুখী তৎপরতার পরও কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে সামাজিক নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি হুমকির মুখে পড়েছে। তাই কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণে এখনই যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত।
শিক্ষার্থী জয়নাল হাজারী কলেজ, ফেনী