মশার কামড় ও বোঁ বোঁ শব্দে রাতে ঘুম আসে না। মশারি টাঙিয়ে ঘুমাতে গেলে সেখানেও একটু সুযোগ পেলেই মশা ঢুকে পড়ে। মাঝরাতে মশারির আশপাশে ঝাঁকে ঝাঁকে বোঁ বোঁ শব্দ করলে ঘুম ভেঙে যায়। কোনো কোনো রাতে মশার বিরক্তির জ্বালায় ঘুম আসে না। নগরীর রাস্তাঘাট, দোকানপাটে বসা যায় না, দাঁড়ানোও যায় না। পাঁচ মিনিটের জন্য ঘরে-বাইরে সব জায়গায় মশা আর মশা। গরমের দিনে একদিকে যেমন জনজীবন অতিষ্ঠ, তেমনি মশার যন্ত্রণায় নগর জীবন আরও অতিষ্ঠ। মশার বংশবিস্তারের কিছু কারণ হচ্ছে যেখানে সেখানে ময়লা-আবর্জনা ফেলে রাখা। নালা-নর্দমা ঠিকমতো ও যথাসময়ে পরিস্কার না করায় এর বংশবিস্তার ঘটছে ব্যাপক। হোটেল-রেস্তোরাঁর উচ্ছিষ্ট খাবার ঢাকনাযুক্ত ডাস্টবিনে না রেখে খোলামেলা স্থানে ফেলে রাখা হয়। ফুলের টব, ডাবের খোসা ও বিভিন্ন গর্তে জমে থাকা পানি এবং জলাবদ্ধ বাড়ির আশপাশের অপরিস্কার, পরিচর্যাহীন ঝোপঝাড়েও মশার বংশ বৃদ্ধি পায়। তা ছাড়া জমে থাকা স্বচ্ছ পানি থেকে এডিস মশার বিস্তার ঘটে। মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর, ম্যালেরিয়াসহ নানা উপসর্গ দেখা দেয়। পৌরসভা যথাসময়ে ময়লা-আবর্জনা, ড্রেন পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন কাজে বিলম্ব হলে মশার উপদ্রব বেড়ে যায়।
মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে রাতে কয়েল জ্বালানোর ধোঁয়া, স্প্রের ব্যবহার শিশু ও শ্বাসকষ্টের রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। তা ছাড়া অসাবধানতার কারণে অনেক অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয় মশার কয়েল থেকে। মশার কামড় ও ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পেতে বাড়ির আঙিনা বা আশপাশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে।
ঢাকা