- মতামত
- সাম্প্রদায়িকতা রুখবে কে?
সাম্প্রদায়িকতা রুখবে কে?

আমাদের জীবিত কবি-সাহিত্যিকদের মধ্যে আসাদ চৌধুরী ও নির্মলেন্দু গুণের অবস্থান উঁচুতে। এ দুই কবিই তাদের লেখনীর মাধ্যমে বলিষ্ঠভাবে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছেন। তাদের থেকে আমরা অনুপ্রেরণা পাই। আসাদ চৌধুরী টেলিভিশনে টকশোতে চমৎকার কথা বলেন। অনেক তিক্ত কথাও মিষ্টভাবে বলার মুনশিয়ানা রয়েছে তার। পহেলা বৈশাখে সমকালে 'সাম্প্রদায়িকতা রুখে দিয়ে মাথা উঁচু করে দাঁড়াও' শিরোনামে আসাদ চৌধুরীর নিবন্ধটি পড়েছি। তিনি অনেক সহজ ভাষায় সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে তার কঠোর মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। একই সঙ্গে তরুণ প্রজন্মকে সংস্কৃতিচর্চায় মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি পহেলা বৈশাখের মতো সর্বজনীন উৎসবকে হিন্দুয়ানি বলে অপপ্রচারকারীদের সতর্কবার্তা দিয়েছেন। আইয়ুব খানের সময় টিপ পরা নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানকালে টিপ পরাকে কেন্দ্র করে একজন কলেজ শিক্ষিকাকে কেন হেনস্তা করা হলো, সে বিষয়ও তুলে এনেছেন আসাদ চৌধুরী। কবিকে তার সময়োপযোগী বিশ্নেষণের জন্য ধন্যবাদ। তবে প্রশ্ন- সাম্প্রদায়িকতা রোখার দায়িত্ব নেবে কে?
পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ ভেদ ভুলে সব সম্প্রদায়ের এক মিলনমেলা। নববর্ষ আজ পরিণত হয়েছে বাঙালির জীবনের সর্বজনীন সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসবে। সংস্কৃতিচর্চার মধ্য দিয়েই মানুষ নিজের ব্যক্তিত্বের স্পষ্ট একটি রূপ তুলে ধরার চেষ্টা করে। নিজের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা যে কোনো জাতিকে বড় হওয়ার প্রাথমিক দীক্ষা দেয়। বাঙালির জীবনে বাংলা নববর্ষ একটি সচেতন প্রতিফলন। মূলত বাংলা নববর্ষ উদযাপনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি তার নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকে। নববর্ষের সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান।
নববর্ষ মানুষকে সচেতন করে তার সাংস্কৃতিক চেতনার আলোকে। জাতীয় জীবনে বর্ষবরণের প্রথম দিনে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর অর্থ নতুনকে বরণের উদার মনোভাব। মেলা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। মেলায় মাটির পুতুল, তালপাতার পাখা, শোলার পাখি, বাঁশের বাঁশি, ঝিনুকের ঝাড়, পুঁতিমালা- কত জিনিসের সমাবেশ ঘটে! জমিদারি প্রথা বাতিলের সঙ্গে পুণ্যাহ অনুষ্ঠান বিলুপ্ত হয়েছে। কিন্তু হালখাতা অনুষ্ঠান সগৌরবে উদযাপিত হয়। বিগত বছরের ধারদেনা শোধের পর্ব শুরু হয় এই দিনে। এর মধ্যে শুধু ব্যবসায়িক লেনদেন নয়; হৃদয়ের উষ্ণতার বিনিময়ও ঘটে। ব্যবসায়িক লেনদেনের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখে মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য বাড়ে। সম্প্রতি পহেলা বৈশাখ উদযাপনের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে শহুরে নাগরিক জীবনে। তবে ঢাকায় রমনার বটমূলে নববর্ষে প্রভাতি অনুষ্ঠান বিশেষ ব্যাপকতা লাভ করেছে। পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষের চেতনা বাঙালির অন্তরে মিশে আছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, বাংলা নববর্ষের ব্যবহারিক প্রয়োগ আমাদের জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই প্রায় অনুপস্থিত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বাংলা সন-তারিখের ব্যবহার নেই বললেই চলে। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতে বাংলা তারিখ ব্যবহূত হয় না। সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ও বাংলা তারিখ ব্যবহার করা অপরিহার্য। বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা, লালন, অনুশীলন বাড়ানোর পাশাপাশি সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রচলন চাই।
যুগ্ম মহাসচিব, নিরাপদ সড়ক চাই
পহেলা বৈশাখ ধর্ম-বর্ণ ভেদ ভুলে সব সম্প্রদায়ের এক মিলনমেলা। নববর্ষ আজ পরিণত হয়েছে বাঙালির জীবনের সর্বজনীন সবচেয়ে বড় অসাম্প্রদায়িক উৎসবে। সংস্কৃতিচর্চার মধ্য দিয়েই মানুষ নিজের ব্যক্তিত্বের স্পষ্ট একটি রূপ তুলে ধরার চেষ্টা করে। নিজের সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা যে কোনো জাতিকে বড় হওয়ার প্রাথমিক দীক্ষা দেয়। বাঙালির জীবনে বাংলা নববর্ষ একটি সচেতন প্রতিফলন। মূলত বাংলা নববর্ষ উদযাপনের মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতি তার নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে থাকে। নববর্ষের সঙ্গে বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক বিদ্যমান।
নববর্ষ মানুষকে সচেতন করে তার সাংস্কৃতিক চেতনার আলোকে। জাতীয় জীবনে বর্ষবরণের প্রথম দিনে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর অর্থ নতুনকে বরণের উদার মনোভাব। মেলা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। মেলায় মাটির পুতুল, তালপাতার পাখা, শোলার পাখি, বাঁশের বাঁশি, ঝিনুকের ঝাড়, পুঁতিমালা- কত জিনিসের সমাবেশ ঘটে! জমিদারি প্রথা বাতিলের সঙ্গে পুণ্যাহ অনুষ্ঠান বিলুপ্ত হয়েছে। কিন্তু হালখাতা অনুষ্ঠান সগৌরবে উদযাপিত হয়। বিগত বছরের ধারদেনা শোধের পর্ব শুরু হয় এই দিনে। এর মধ্যে শুধু ব্যবসায়িক লেনদেন নয়; হৃদয়ের উষ্ণতার বিনিময়ও ঘটে। ব্যবসায়িক লেনদেনের মধ্য দিয়ে পহেলা বৈশাখে মানুষে মানুষে সৌহার্দ্য বাড়ে। সম্প্রতি পহেলা বৈশাখ উদযাপনের মধ্যে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে শহুরে নাগরিক জীবনে। তবে ঢাকায় রমনার বটমূলে নববর্ষে প্রভাতি অনুষ্ঠান বিশেষ ব্যাপকতা লাভ করেছে। পহেলা বৈশাখ তথা বাংলা নববর্ষের চেতনা বাঙালির অন্তরে মিশে আছে। কিন্তু পরিতাপের বিষয়, বাংলা নববর্ষের ব্যবহারিক প্রয়োগ আমাদের জীবনে অনেক ক্ষেত্রেই প্রায় অনুপস্থিত। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বাংলা সন-তারিখের ব্যবহার নেই বললেই চলে। স্কুল-কলেজ, অফিস-আদালতে বাংলা তারিখ ব্যবহূত হয় না। সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ও বাংলা তারিখ ব্যবহার করা অপরিহার্য। বাঙালি সংস্কৃতির চর্চা, লালন, অনুশীলন বাড়ানোর পাশাপাশি সর্বক্ষেত্রে বাংলা ভাষার প্রচলন চাই।
যুগ্ম মহাসচিব, নিরাপদ সড়ক চাই
মন্তব্য করুন