- মতামত
- অবসাদ কমানোর উপায়ও বলুন
অবসাদ কমানোর উপায়ও বলুন

১২ মে সমকালের শেষ পাতার একটি সংবাদের শিরোনাম 'ডিপ্রেশন বেড়েই যাচ্ছে, মেনে নিতে পারছি না'- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর আত্মহত্যার পর তার সুইসাইড নোট উদ্ৃব্দত করে সংবাদটি ছাপা হয়েছে। এর এক দিন আগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র সুইসাইড নোট লিখে ছাদ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। গত সপ্তাহে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী প্রেমঘটিত কারণে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন। গত ফেব্রুয়ারিতে অনার্স পাস করে এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। ই-কমার্সে বিনিয়োগ করে টিউশনি করে জমানো ১২ লাখ টাকা হারিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন। সম্প্রতি কুয়েট শিক্ষার্থী অন্ত রায় আর্থিক অনটন ও বিষণ্ণতার কারণে আত্মহত্যা করেন। গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পল্লবী মণ্ডল ডিপ্রেশনে পড়ে আত্মহত্যা করেন।
আধুনিক যুগে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার। মা-বাবার ত্যাগ, শিক্ষার্থীর পরিশ্রম কিংবা দারিদ্র্যকে ডিঙিয়ে অনেকেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পড়ালেখার সুযোগ পান। সবার স্বপ্ন থাকে একদিন পড়াশোনা শেষ করে দেশ ও মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করবেন। পরিবারের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করবেন। হয়ে উঠবেন পরিবারের ভরসার ক্ষেত্র। কিন্তু সবার তো আর সেই সৌভাগ্য হয়ে ওঠে না। কেউ হেরে যান দারিদ্র্যের কাছে; কেউ হেরে যান অপরাজনীতির কাছে। আবার কেউবা সঙ্গীর প্রভাবে অচিরেই হারিয়ে যান। আঁচল ফাউন্ডেশন নামে এক বেসরকারি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০২১ সালে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৫০ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এর পেছনের কারণ কী? বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রেই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ ভিডিও কিংবা স্ট্যাটাস দিয়ে অনেকেই আত্মহত্যা করেন, যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করবে। তবে আত্মহত্যার পেছনে ভিন্ন ভিন্ন কারণ আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হাসানুল বান্নাহ পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে গলায় গামছা বেঁধে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শামীম সিদ্দিকী নামে এক শিক্ষার্থীর জন্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিভাগের এক শিক্ষক। পরে ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষার্থী। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার আগে পারিপার্শ্বি বিষয় চিন্তা করা উচিত- মৃত্যুর পর তার পরিবার, ভাইবোন, মা-বাবা, বন্ধু-বান্ধব কিংবা প্রতিষ্ঠানের কী ক্ষতি হতে পারে। আর ধ্বংস না হোক কারও স্বপ্ন। আসুন, নিজে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন করি।
শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
আধুনিক যুগে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার। মা-বাবার ত্যাগ, শিক্ষার্থীর পরিশ্রম কিংবা দারিদ্র্যকে ডিঙিয়ে অনেকেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে পড়ালেখার সুযোগ পান। সবার স্বপ্ন থাকে একদিন পড়াশোনা শেষ করে দেশ ও মা-বাবার মুখ উজ্জ্বল করবেন। পরিবারের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করবেন। হয়ে উঠবেন পরিবারের ভরসার ক্ষেত্র। কিন্তু সবার তো আর সেই সৌভাগ্য হয়ে ওঠে না। কেউ হেরে যান দারিদ্র্যের কাছে; কেউ হেরে যান অপরাজনীতির কাছে। আবার কেউবা সঙ্গীর প্রভাবে অচিরেই হারিয়ে যান। আঁচল ফাউন্ডেশন নামে এক বেসরকারি সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, শুধু ২০২১ সালে দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তত ৫০ শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। এর পেছনের কারণ কী? বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অনেক ক্ষেত্রেই বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাইভ ভিডিও কিংবা স্ট্যাটাস দিয়ে অনেকেই আত্মহত্যা করেন, যা পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করবে। তবে আত্মহত্যার পেছনে ভিন্ন ভিন্ন কারণ আছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারসি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী হাসানুল বান্নাহ পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে গলায় গামছা বেঁধে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৯-২০ বর্ষের শামীম সিদ্দিকী নামে এক শিক্ষার্থীর জন্ম নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিভাগের এক শিক্ষক। পরে ফেসবুক লাইভে এসে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ওই শিক্ষার্থী। একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আত্মহত্যার পথ বেছে নেওয়ার আগে পারিপার্শ্বি বিষয় চিন্তা করা উচিত- মৃত্যুর পর তার পরিবার, ভাইবোন, মা-বাবা, বন্ধু-বান্ধব কিংবা প্রতিষ্ঠানের কী ক্ষতি হতে পারে। আর ধ্বংস না হোক কারও স্বপ্ন। আসুন, নিজে সচেতন হই, অন্যকে সচেতন করি।
শিক্ষার্থী, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
মন্তব্য করুন